রিয়াযুস সালিহীন-ইমাম নববী রহঃ
ভূমিকা অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৯৩
ভূমিকা অধ্যায়
অধ্যায়ঃ ৫৬ অনাহারে থাকা, কৃচ্ছতাপূর্ণ জীবনযাপন করা, অল্প পানাহার, অল্প পোশাক ও অল্প ভোগে পরিতুষ্ট থাকা এবং চাহিদা ত্যাগের ফযীলত।
টেবিলে খাওয়া ও পাতলা রুটি খাওয়া
হাদীছ নং : ৪৯৩
হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওফাতের পূর্ব পর্যন্ত কখনও টেবিলের উপর খাননি এবং তিনি কখনও পাতলা মিহি রুটিও খাননি - বুখারী।
অপর এক বর্ণনায় আছে, তিনি নিজ চোখে কখনও আস্ত ভুনা ছাগল দেখেননি।
হাদীছ নং : ৪৯৩
হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওফাতের পূর্ব পর্যন্ত কখনও টেবিলের উপর খাননি এবং তিনি কখনও পাতলা মিহি রুটিও খাননি - বুখারী।
অপর এক বর্ণনায় আছে, তিনি নিজ চোখে কখনও আস্ত ভুনা ছাগল দেখেননি।
مقدمة الامام النووي
56 - باب فضل الجوع وخشونة العيش والاقتصار على القليل من المأكول والمشروب والملبوس وغيرها من حظوظ النفس وترك الشهوات
493 - وعن أنس - رضي الله عنه - قَالَ: لَمْ يَأكُلِ النَّبيُّ - صلى الله عليه وسلم - عَلَى خِوَانٍ (1) حَتَّى مَاتَ، وَمَا أكَلَ خُبْزًا مُرَقَّقًا حَتَّى مَاتَ. رواه البخاري. (2)
وفي رواية لَهُ: وَلاَ رَأى شَاةً سَمِيطًا بعَيْنِهِ قَطُّ.
وفي رواية لَهُ: وَلاَ رَأى شَاةً سَمِيطًا بعَيْنِهِ قَطُّ.
হাদীসের ব্যাখ্যা:
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনও টেবিলের উপর খাননি। তিনি নিচে দস্তরখানের উপর খানা রেখে খেতেন। বিনয়ের ভঙ্গিতে বসতেন। খাবার আল্লাহ তা'আলার দান। তা বিনয়ের সঙ্গেই খাওয়া উচিত। টেবিলের উপর খাবার রেখে খেলে খাওয়ার সময় মাথা নোওয়াতে হয় না। ফলে খাওয়ার ভঙ্গি বিনয়ের হয় না। তাই এভাবে খাওয়া পসন্দনীয় নয়, যদিও জায়েয আছে। খাওয়ার এ পদ্ধতি মূলত অমুসলিমদের থেকেই এসেছে। তাই যথাসম্ভব এটা বর্জন করা উত্তম। নিচে বসেই খাবার খাওয়া সুন্নত। অবশ্য ওজরের কথা ভিন্ন।
(তিনি কখনও পাতলা মিহি রুটিও খাননি)। মোটা খাবার ও মোটা পোশাকই তাঁর পসন্দ ছিল। তিনি সাদামাটা জীবনে অভ্যস্ত ছিলেন। সর্বদা বিলাসিতা পরিহার করে চলতেন। তাই জীবনে কখনও পাতলা ও মিহি রুটি তিনি খাননি। যবের রুটি খেতেন এবং তাও আচালা, যেমনটা হাদীছে এসেছে।
(তিনি নিজ চোখে কখনও আস্ত ভুনা ছাগল দেখেননি)। سميط বলা হয় এমন ভুনা পশুকে, যা যবাই করার পর গরম পানি দিয়ে পশম দূর করা হয়, তারপর চামড়াসহ ভুনা করা হয়। সাধারণত অল্পবয়সী পশুর ক্ষেত্রে এমন করা হয়। আয়েশী কিসিমের লোক এরকম বিলাসিতা করে থাকে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিলাসিতা পসন্দ করতেন না। তাই তাঁর দস্তরখানে কখনও এরকম আস্ত ভুনা ছাগল রাখা হতো না। এ কারণেই ওফাত পর্যন্ত তিনি নিজ চোখে আস্ত ভুনা ছাগল দেখেননি অর্থাৎ খাননি।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
পানাহারে বিলাসিতা এড়িয়ে চলা উচিত। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন এতে অভ্যস্ত ছিলেন না, তখন তাঁর আশেক-প্রেমিকদের জন্যও এটা শোভা পায় না।
(তিনি কখনও পাতলা মিহি রুটিও খাননি)। মোটা খাবার ও মোটা পোশাকই তাঁর পসন্দ ছিল। তিনি সাদামাটা জীবনে অভ্যস্ত ছিলেন। সর্বদা বিলাসিতা পরিহার করে চলতেন। তাই জীবনে কখনও পাতলা ও মিহি রুটি তিনি খাননি। যবের রুটি খেতেন এবং তাও আচালা, যেমনটা হাদীছে এসেছে।
(তিনি নিজ চোখে কখনও আস্ত ভুনা ছাগল দেখেননি)। سميط বলা হয় এমন ভুনা পশুকে, যা যবাই করার পর গরম পানি দিয়ে পশম দূর করা হয়, তারপর চামড়াসহ ভুনা করা হয়। সাধারণত অল্পবয়সী পশুর ক্ষেত্রে এমন করা হয়। আয়েশী কিসিমের লোক এরকম বিলাসিতা করে থাকে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিলাসিতা পসন্দ করতেন না। তাই তাঁর দস্তরখানে কখনও এরকম আস্ত ভুনা ছাগল রাখা হতো না। এ কারণেই ওফাত পর্যন্ত তিনি নিজ চোখে আস্ত ভুনা ছাগল দেখেননি অর্থাৎ খাননি।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
পানাহারে বিলাসিতা এড়িয়ে চলা উচিত। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন এতে অভ্যস্ত ছিলেন না, তখন তাঁর আশেক-প্রেমিকদের জন্যও এটা শোভা পায় না।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)