আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৬৫- অনুমতি গ্রহণ - প্রদান সংক্রান্ত
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৬২৯৪
৩৩৩৯. ঘুমানোর সময় ঘরে আগুন রাখবে না।
৫৮৫৭। মুহাম্মাদ ইবনে আ’লা (রাহঃ) ......... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার রাত্রিকালে মদীনার এক ঘরে আগুন লেগে ঘরের লোকজনসহ পুড়ে গেল। এদের অবস্থা নবী (ﷺ) এর নিকট জানানো হলে, তিনি বললেনঃ এ আগুন নিঃসন্দেহে তোমাদের জন্য চরম শত্রু। সুতরাং তোমরা যখন ঘুমাতে যাবে, তখন তোমাদেরই হেফাযতের জন্য তা নিভিয়ে ফেলবে।
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছে ঘুমের একটি আদব শিক্ষা দেওয়া হয়েছে যে, ঘরে যদি প্রদীপ জ্বালানো থাকে অথবা চুলার আগুন জ্বালানো থাকে, তবে ঘুমানোর আগে তা অবশ্যই নিভিয়ে রাখবে। কেননা ঘুমের অবস্থায় আগুন জ্বলতে থাকলে তা অনেক বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। অনেক বড় বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এভাবেও ঘটেছে বলে জানা যায়। এ হাদীছেও সেরকম একটি ঘটনার কথা বর্ণিত হয়েছে। মদীনা মুনাওয়ারার একটি বাড়ির লোকজন রাতের বেলা আগুন জ্বালিয়ে রেখে ঘুমিয়ে পড়েছিল। কোনওভাবে সে আগুন ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে ঘরটিও পুড়ে যায় এবং পরিবারের লোকজনও দগ্ধিভূত হয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই দয়ালু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাতের বেলা ঘুমানোর আগে আগুন নিভিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ হাদীছে আগুনকে মানুষের শত্রু সাব্যস্ত করেছেন। তা করেছেন এ কারণে যে, শত্রুর মতই আগুন মানুষের জান-মাল ক্ষতিগ্রস্ত করে। তার মানে এ নয় যে, আগুন মানুষের কোনও উপকারে আসে না। প্রকৃতপক্ষে আগুন মানুষের জন্য অতি বড় এক নি'আমতও বটে। এর মধ্যে মানুষের বহুবিধ উপকার রয়েছে। তাই তো কুরআন মাজীদে আল্লাহ তা'আলা একটি বড় নি'আমত হিসেবে আগুনের কথা উল্লেখ করেছেন।
প্রশ্ন আসে, একটি উপকারী নি'আমত শত্রুরূপে গণ্য হয় কিভাবে? বস্তুত তা হয় মানুষের অসতর্কর্তা ও অসংযত ব্যবহারের কারণে। আগুন যদি সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা হয়, তবে তা দ্বারা প্রভূত কল্যাণ সাধিত হয়। আবার এর অসতর্ক ব্যবহার সর্বনাশেরও কারণ হয়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছ দ্বারা ঘুমের আদব জানা গেল যে, ঘুমানোর আগে জ্বলন্ত আগুন নিভিয়ে রাখা চাই।
খ. আরও শিক্ষা পাওয়া গেল, যে বস্তু দ্বারা কোনওরকম অনিষ্ট ও ক্ষতির আশঙ্কা থাকে, সে ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন অবশ্যকর্তব্য।
গ. নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতের প্রতি কতটা দরদী ছিলেন, সে ব্যাপারেও এ হাদীছ দ্বারা ধারণা পাওয়া যায়।
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ হাদীছে আগুনকে মানুষের শত্রু সাব্যস্ত করেছেন। তা করেছেন এ কারণে যে, শত্রুর মতই আগুন মানুষের জান-মাল ক্ষতিগ্রস্ত করে। তার মানে এ নয় যে, আগুন মানুষের কোনও উপকারে আসে না। প্রকৃতপক্ষে আগুন মানুষের জন্য অতি বড় এক নি'আমতও বটে। এর মধ্যে মানুষের বহুবিধ উপকার রয়েছে। তাই তো কুরআন মাজীদে আল্লাহ তা'আলা একটি বড় নি'আমত হিসেবে আগুনের কথা উল্লেখ করেছেন।
প্রশ্ন আসে, একটি উপকারী নি'আমত শত্রুরূপে গণ্য হয় কিভাবে? বস্তুত তা হয় মানুষের অসতর্কর্তা ও অসংযত ব্যবহারের কারণে। আগুন যদি সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা হয়, তবে তা দ্বারা প্রভূত কল্যাণ সাধিত হয়। আবার এর অসতর্ক ব্যবহার সর্বনাশেরও কারণ হয়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছ দ্বারা ঘুমের আদব জানা গেল যে, ঘুমানোর আগে জ্বলন্ত আগুন নিভিয়ে রাখা চাই।
খ. আরও শিক্ষা পাওয়া গেল, যে বস্তু দ্বারা কোনওরকম অনিষ্ট ও ক্ষতির আশঙ্কা থাকে, সে ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন অবশ্যকর্তব্য।
গ. নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতের প্রতি কতটা দরদী ছিলেন, সে ব্যাপারেও এ হাদীছ দ্বারা ধারণা পাওয়া যায়।


বর্ণনাকারী: