রিয়াযুস সালিহীন-ইমাম নববী রহঃ
ভূমিকা অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৩৭
আল্লাহর কাছে আশাবাদী থাকা
আল্লাহ তাআলার অপরিসীম ক্ষমাশীলতা
হাদীছ নং : ৪৩৭
হযরত আবু মূসা রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহ তাআলা দিনের গুনাহগারদের তাওবা কবুল করার জন্য রাতের বেলা তাঁর হাত প্রসারিত করেন এবং রাতের গুনাহগারদের তাওবা কবুল করার জন্য দিনের বেলা তাঁর হাত প্রসারিত করেন, যতক্ষণ না পশ্চিমাকাশে সূর্য উদিত হবে (এরূপ চলতে থাকবে) - মুসলিম।
হাদীছ নং : ৪৩৭
হযরত আবু মূসা রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহ তাআলা দিনের গুনাহগারদের তাওবা কবুল করার জন্য রাতের বেলা তাঁর হাত প্রসারিত করেন এবং রাতের গুনাহগারদের তাওবা কবুল করার জন্য দিনের বেলা তাঁর হাত প্রসারিত করেন, যতক্ষণ না পশ্চিমাকাশে সূর্য উদিত হবে (এরূপ চলতে থাকবে) - মুসলিম।
51 - باب الرجاء
437 - وعن أَبي موسى - رضي الله عنه - عن النَّبيّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «إنَّ اللهَ تَعَالَى يَبْسُطُ يَدَهُ بِاللَّيلِ ليَتُوبَ مُسِيءُ النَّهَارِ، وَيَبْسُطُ يَدَهُ بالنَّهَارِ لِيَتُوبَ مُسِيءُ اللَّيلِ، حَتَّى تَطلُعَ الشَّمْسُ مِنْ مَغْرِبِهَا». رواه مسلم. (1)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
إنَّ اللهَ تَعَالَى يَبْسُطُ يَدَهُ
(আল্লাহ তা'আলা তাঁর হাত প্রসারিত করেন)।
আল্লাহ তা'আলার হাত দ্বারা মাখলুকের মত বিশেষ অঙ্গ বোঝানো উদ্দেশ্য নয়। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ধারণা থেকে তিনি মুক্ত ও পবিত্র। কেননা এটা শরীর ও সৃষ্টির বৈশিষ্ট্য। আল্লাহর জন্য এটা কল্পনা করা যায় না। কাজেই হাত প্রসারিত করা দ্বারা রূপকার্থে দয়া ও অনুগ্রহ করা বোঝানো উদ্দেশ্য। অর্থাৎ আল্লাহ তা'আলা নিজ দয়া ও অনুগ্রহ বিস্তার করে দেন এবং তিনি চান যারা দিনের বেলা অপরাধ করেছে তারা রাতের বেলা তাওবা করুক ও তাঁর কাছে ক্ষমা চাক। তাহলে তিনি তাদের তাওবা কবুল করবেন ও তাদের ক্ষমা করে দেবেন। এমনিভাবে তিনি চান যারা রাতে অপরাধ করেছে তারা দিনের বেলা তাঁর কাছে তাওবা ও ইস্তিগফার করুক, তিনি তাদের তাওবা ও ইস্তিগফার কবুল করবেন।
হাদীছের সারমর্ম এই যে, আল্লাহ তা'আলা সর্বদা তাঁর পাপী বান্দার তাওবা ইস্তিগফার কবুল করেন এবং তার পাপরাশি ক্ষমা করে দেন।
বান্দার জন্য আল্লাহর কাছে তাওবা কবুলের এই ধারা অব্যাহত থাকবে, যতক্ষণ না পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয় হবে। পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উদিত হওয়া কিয়ামতের সর্বাপেক্ষা বড় আলামত। এ আলামত প্রকাশের পর আর কারও তাওবা কবুল হবে না।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছটি আমাদের মত পাপী বান্দাদের জন্য অতি বড় আশা সঞ্চারকারী। আমরা যত বড় পাপীই হই না কেন, খাটিমনে তাওবা করলে আল্লাহ তা'আলা অবশ্যই ক্ষমা করবেন।
খ. দিবারাত্র সর্বক্ষণই তাওবার দুয়ার খোলা। কাজেই পাপ হওয়ামাত্রই তাওবা করে ফেলা উচিত। দিনের বেলা যে পাপ হয়ে যায়, তার জন্যে সেই দিবাগত রাতে এবং রাতে যেই পাপ হয়ে যায়, তার জন্যে রাতপরবর্তী দিনের মধ্যেই তাওবা করে ফেলা বাঞ্ছনীয়। কে জানে কখন আয়ু ফুরিয়ে যায় আর তাওবার সুযোগ হারিয়ে যায়।
গ. এ হাদীছ প্রমাণ করে, একসময় পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উদিত হবে। এটা কিয়ামতের বড় আলামত। এতে বিশ্বাস রাখা জরুরি।
(আল্লাহ তা'আলা তাঁর হাত প্রসারিত করেন)।
আল্লাহ তা'আলার হাত দ্বারা মাখলুকের মত বিশেষ অঙ্গ বোঝানো উদ্দেশ্য নয়। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ধারণা থেকে তিনি মুক্ত ও পবিত্র। কেননা এটা শরীর ও সৃষ্টির বৈশিষ্ট্য। আল্লাহর জন্য এটা কল্পনা করা যায় না। কাজেই হাত প্রসারিত করা দ্বারা রূপকার্থে দয়া ও অনুগ্রহ করা বোঝানো উদ্দেশ্য। অর্থাৎ আল্লাহ তা'আলা নিজ দয়া ও অনুগ্রহ বিস্তার করে দেন এবং তিনি চান যারা দিনের বেলা অপরাধ করেছে তারা রাতের বেলা তাওবা করুক ও তাঁর কাছে ক্ষমা চাক। তাহলে তিনি তাদের তাওবা কবুল করবেন ও তাদের ক্ষমা করে দেবেন। এমনিভাবে তিনি চান যারা রাতে অপরাধ করেছে তারা দিনের বেলা তাঁর কাছে তাওবা ও ইস্তিগফার করুক, তিনি তাদের তাওবা ও ইস্তিগফার কবুল করবেন।
হাদীছের সারমর্ম এই যে, আল্লাহ তা'আলা সর্বদা তাঁর পাপী বান্দার তাওবা ইস্তিগফার কবুল করেন এবং তার পাপরাশি ক্ষমা করে দেন।
বান্দার জন্য আল্লাহর কাছে তাওবা কবুলের এই ধারা অব্যাহত থাকবে, যতক্ষণ না পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয় হবে। পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উদিত হওয়া কিয়ামতের সর্বাপেক্ষা বড় আলামত। এ আলামত প্রকাশের পর আর কারও তাওবা কবুল হবে না।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছটি আমাদের মত পাপী বান্দাদের জন্য অতি বড় আশা সঞ্চারকারী। আমরা যত বড় পাপীই হই না কেন, খাটিমনে তাওবা করলে আল্লাহ তা'আলা অবশ্যই ক্ষমা করবেন।
খ. দিবারাত্র সর্বক্ষণই তাওবার দুয়ার খোলা। কাজেই পাপ হওয়ামাত্রই তাওবা করে ফেলা উচিত। দিনের বেলা যে পাপ হয়ে যায়, তার জন্যে সেই দিবাগত রাতে এবং রাতে যেই পাপ হয়ে যায়, তার জন্যে রাতপরবর্তী দিনের মধ্যেই তাওবা করে ফেলা বাঞ্ছনীয়। কে জানে কখন আয়ু ফুরিয়ে যায় আর তাওবার সুযোগ হারিয়ে যায়।
গ. এ হাদীছ প্রমাণ করে, একসময় পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উদিত হবে। এটা কিয়ামতের বড় আলামত। এতে বিশ্বাস রাখা জরুরি।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
