রিয়াযুস সালিহীন-ইমাম নববী রহঃ
ভূমিকা অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৮৭
বান্দাকে আল্লাহ তা'আলার ভালোবাসার আলামত ও তা অর্জনে সচেষ্ট থাকার প্রতি উৎসাহদান
কুল মাখলুকাতের কাছে প্রিয়-অপ্রিয় হওয়ার রহস্য
হাদীছ নং : ৩৮৭
হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহ তা'আলা যখন কোনও বান্দাকে ভালোবাসেন তখন জিবরীলকে ডেকে বলেন, আল্লাহ অমুককে ভালোবাসেন, সুতরাং তুমিও তাকে ভালোবাসো। ফলে জিবরীল তাকে ভালোবাসেন। তারপর তিনি আসমানবাসীদের মধ্যে ঘোষণা করেন, আল্লাহ অমুক ব্যক্তিকে ভালোবাসেন, সুতরাং তোমরাও তাকে ভালোবাসো। ফলে আসমানবাসী তাকে ভালোবাসে। অতঃপর পৃথিবীতে তাকে সমাদৃত করে তোলা হয়। -বুখারী ও মুসলিম।৩১৫
মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহ তাআলা যখন কোনও বান্দাকে ভালোবাসেন তখন জিবরীলকে ডেকে বলেন, আমি অমুককে ভালোবাসি, সুতরাং তুমিও তাকে ভালোবাসো। ফলে জিবরীল তাকে ভালোবাসেন। তারপর তিনি আসমানবাসীদের মধ্যে ঘোষণা করেন, আল্লাহ অমুক ব্যক্তিকে ভালোবাসেন, সুতরাং তোমরাও তাকে ভালোবাসো। ফলে আসমানবাসী তাকে ভালোবাসে। অতঃপর পৃথিবীতে তাকে সমাদৃত করে তোলা হয়। অপরদিকে আল্লাহ যখন কোনও বান্দাকে ঘৃণা করেন, তখন জিবরীলকে ডেকে বলেন, আমি অমুককে ঘৃণা করি, সুতরাং তুমিও তাকে ঘৃণা করো। ফলে জিবরীল তাকে ঘৃণা করেন। তারপর আসমানবাসীর মধ্যে ঘোষণা করে দেন, আল্লাহ তা'আলা অমুককে ঘৃণা করেন, সুতরাং তোমরাও তাকে ঘৃণা করো। ফলে আসমানবাসী তাকে ঘৃণা করে। অতঃপর পৃথিবীতে তাকে ঘৃণিত বানিয়ে দেওয়া হয়।
৩১৫. সহীহ বুখারী, হাদীছ নং ৬০৪০; সহীহ মুসলিম, হাদীছ নং ২৬৩৭; মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ১০৬৭৪; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা, হাদীছ নং ৭৭০; জামে তিরমিযী, হাদীছ নং ১১৯৩; তহাবী, শারহু মুশকিলিল আছার, হাদীছ নং ৩৭৮৮; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীছ নং ৩৬৫; তবারানী, আল-মু'জামুল আওসাত, হাদীছ নং ৩৬১৪
হাদীছ নং : ৩৮৭
হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহ তা'আলা যখন কোনও বান্দাকে ভালোবাসেন তখন জিবরীলকে ডেকে বলেন, আল্লাহ অমুককে ভালোবাসেন, সুতরাং তুমিও তাকে ভালোবাসো। ফলে জিবরীল তাকে ভালোবাসেন। তারপর তিনি আসমানবাসীদের মধ্যে ঘোষণা করেন, আল্লাহ অমুক ব্যক্তিকে ভালোবাসেন, সুতরাং তোমরাও তাকে ভালোবাসো। ফলে আসমানবাসী তাকে ভালোবাসে। অতঃপর পৃথিবীতে তাকে সমাদৃত করে তোলা হয়। -বুখারী ও মুসলিম।৩১৫
মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহ তাআলা যখন কোনও বান্দাকে ভালোবাসেন তখন জিবরীলকে ডেকে বলেন, আমি অমুককে ভালোবাসি, সুতরাং তুমিও তাকে ভালোবাসো। ফলে জিবরীল তাকে ভালোবাসেন। তারপর তিনি আসমানবাসীদের মধ্যে ঘোষণা করেন, আল্লাহ অমুক ব্যক্তিকে ভালোবাসেন, সুতরাং তোমরাও তাকে ভালোবাসো। ফলে আসমানবাসী তাকে ভালোবাসে। অতঃপর পৃথিবীতে তাকে সমাদৃত করে তোলা হয়। অপরদিকে আল্লাহ যখন কোনও বান্দাকে ঘৃণা করেন, তখন জিবরীলকে ডেকে বলেন, আমি অমুককে ঘৃণা করি, সুতরাং তুমিও তাকে ঘৃণা করো। ফলে জিবরীল তাকে ঘৃণা করেন। তারপর আসমানবাসীর মধ্যে ঘোষণা করে দেন, আল্লাহ তা'আলা অমুককে ঘৃণা করেন, সুতরাং তোমরাও তাকে ঘৃণা করো। ফলে আসমানবাসী তাকে ঘৃণা করে। অতঃপর পৃথিবীতে তাকে ঘৃণিত বানিয়ে দেওয়া হয়।
৩১৫. সহীহ বুখারী, হাদীছ নং ৬০৪০; সহীহ মুসলিম, হাদীছ নং ২৬৩৭; মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ১০৬৭৪; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা, হাদীছ নং ৭৭০; জামে তিরমিযী, হাদীছ নং ১১৯৩; তহাবী, শারহু মুশকিলিল আছার, হাদীছ নং ৩৭৮৮; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীছ নং ৩৬৫; তবারানী, আল-মু'জামুল আওসাত, হাদীছ নং ৩৬১৪
47 - باب علامات حُبِّ الله تَعَالَى للعبد والحث عَلَى التخلق بِهَا والسعي في تحصيله
387 - وعنه، عن النَّبيّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «إِذَا أَحَبَّ اللهُ تَعَالَى العَبْدَ، نَادَى
جِبْريلَ: إنَّ الله تَعَالَى يُحِبُّ فُلانًا، فَأَحْبِبْهُ، فَيُحِبُّهُ جِبريلُ، فَيُنَادِي في أَهْلِ السَّمَاءِ: إنَّ اللهَ يُحِبُّ فُلانًا، فَأَحِبُّوهُ، فَيُحِبُّهُ أَهْلُ السَّمَاءِ، ثُمَّ يُوضَعُ لَهُ القَبُولُ في الأرْضِ». متفق عليه. (1)
وفي رواية لمسلم: قال رسول الله - صلى الله عليه وسلم: «إنَّ الله تعالى إذا أحَبَّ عبدًا دَعَا جِبريلَ، فقال: إِنّي أُحِبُّ فُلانًا فأَحببهُ، فيُحبُّهُ جبريلُ، ثمَّ يُنادي في السماءِ، فيقول: إنَّ اللهَ يحبُّ فلانًا فأَحبُّوهُ، فيحبُّهُ أهلُ السماءِ، ثُمَّ يُوضعُ لَهُ القَبولُ في الأرضِ، وَإِذَا أَبْغَضَ عَبْدًا دَعَا جِبْريلَ، فَيَقُولُ: إنّي أُبْغِضُ فُلانًا فَأَبْغِضْهُ. فَيُبغِضُهُ جِبريلُ، ثُمَّ يُنَادِي في أَهْلِ السَّمَاءِ: إنَّ الله يُبْغِضُ فُلانًا فَأَبْغِضُوهُ، ثُمَّ تُوضَعُ لَهُ البَغْضَاءُ في الأَرْضِ».
جِبْريلَ: إنَّ الله تَعَالَى يُحِبُّ فُلانًا، فَأَحْبِبْهُ، فَيُحِبُّهُ جِبريلُ، فَيُنَادِي في أَهْلِ السَّمَاءِ: إنَّ اللهَ يُحِبُّ فُلانًا، فَأَحِبُّوهُ، فَيُحِبُّهُ أَهْلُ السَّمَاءِ، ثُمَّ يُوضَعُ لَهُ القَبُولُ في الأرْضِ». متفق عليه. (1)
وفي رواية لمسلم: قال رسول الله - صلى الله عليه وسلم: «إنَّ الله تعالى إذا أحَبَّ عبدًا دَعَا جِبريلَ، فقال: إِنّي أُحِبُّ فُلانًا فأَحببهُ، فيُحبُّهُ جبريلُ، ثمَّ يُنادي في السماءِ، فيقول: إنَّ اللهَ يحبُّ فلانًا فأَحبُّوهُ، فيحبُّهُ أهلُ السماءِ، ثُمَّ يُوضعُ لَهُ القَبولُ في الأرضِ، وَإِذَا أَبْغَضَ عَبْدًا دَعَا جِبْريلَ، فَيَقُولُ: إنّي أُبْغِضُ فُلانًا فَأَبْغِضْهُ. فَيُبغِضُهُ جِبريلُ، ثُمَّ يُنَادِي في أَهْلِ السَّمَاءِ: إنَّ الله يُبْغِضُ فُلانًا فَأَبْغِضُوهُ، ثُمَّ تُوضَعُ لَهُ البَغْضَاءُ في الأَرْضِ».
হাদীসের ব্যাখ্যা:
যারা আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দা, সাধারণত মানুষ তাদের ভালোবাসে। ওলী-বুযুর্গগণ পৃথিবীর সমস্ত মাখলূকের ভালোবাসা পায়। তারা সর্বজনপ্রিয় হয়ে যায়। অন্যদিকে পাপী ও অসৎকর্মশীলদের সকলে ঘৃণা করে। এর রহস্য কী? আলোচ্য হাদীছে এর জবাব দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আল্লাহ তাআলা তাঁর কোনও বান্দাকে ভালোবাসলে তিনি হযরত জিবরীল আলাইহিস সালামকে তাকে ভালোবাসতে হুকুম দেন। ফলে জিবরীল আলাইহিস সালাম তাকে ভালোবাসেন। তারপর তাকে ভালোবাসে সকল আসমানবাসী। তারপর পৃথিবীবাসীদের অন্তরে তার প্রতি ভালোবাসা সঞ্চার করে দেওয়া হয়। তাকে সকলের কাছে মকবূল করে তোলা হয়। সে হয়ে যায় সকলের প্রিয়। বোঝা গেল, পৃথিবীতে কারও সর্বজনপ্রিয় হওয়ার উৎস হলো আল্লাহর ভালোবাসা। আল্লাহ তাআলা কাউকে ভালোবাসলেই সে সকলের প্রিয় হয়ে যায়। তাহলে কারও সর্বজনপ্রিয় হওয়াটা এ কথার আলামত যে, আল্লাহ তাআলা তাকে ভালোবাসেন।
প্রকাশ থাকে যে, কারও প্রতি আল্লাহ তাআলার ভালোবাসা থাকার অর্থ তিনি তার কল্যাণ চান ও তাকে তার কৃতকর্মের জন্য পুরস্কৃত করেন। ফিরিশতাদের পক্ষ থেকে ভালোবাসার অর্থ তার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করা, তার দোজাহানের কল্যাণ কামনা করা এবং তার প্রতি তাদের আকর্ষণ বোধ করা। মাখলূকাতের ভালোবাসার অর্থ হলো তার প্রতি সুধারণা রাখা, শ্রদ্ধা-ভক্তি প্রকাশ করা এবং সাধ্যানুযায়ী বিপদ-আপদ থেকে তাকে সুরক্ষা দেওয়া।
বলার অপেক্ষা রাখে না, আল্লাহ তাআলা কাউকে ভালোবাসেন তখনই, যখন সে আল্লাহর মর্জিমত চলে। যেমন পেছনের হাদীছে আছে- বান্দা নফল ইবাদত-বন্দেগী দ্বারা আমার নিকটবর্তী হতে থাকে। একপর্যায়ে আমি তাকে ভালোবেসে ফেলি। কুরআন মাজীদেও ইরশাদ হয়েছে إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ سَيَجْعَلُ لَهُمُ الرَّحْمَنُ وُدًّا 'যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, নিশ্চয়ই দয়াময় (আল্লাহ) সত্বর তাদের জন্য সৃষ্টি করবেন ভালোবাসা।৩১৬
এক হাদীছে ইরশাদ হয়েছে
إن العبد ليلتمس مرضاة الله، فلا يزال بذلك، فيقول الله لجبريل : إن فلانا عبدي يلتمس أن يرضيني، ألا وإن رحمتي عليه، فيقول جبريل : رحمة الله على فلان ويقولها حملة العرش، ويقولها من حولهم، حتى يقولها أهل السماوات السبع ثم تهبط له إلى الأرض
“বান্দা নিরবচ্ছিন্নভাবে নেক আমলের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি সন্ধানে লিপ্ত থাকে। শেষে আল্লাহ জিবরীলকে বলেন, আমার অমুক বান্দা আমাকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টায় লেগে আছে। শুনে রাখ, তার উপর আমার রহমত রয়েছে। জিবরীল বলেন, অমুকের উপর আল্লাহর রহমত। তারপর আরশবাহী ফিরিশতাগণও বলেন, অমুকের উপর আল্লাহর রহমত। একই কথা বলেন আরশের চারপাশের ফিরিশতাগণ। তারপর সাত আসমানের অধিবাসীগণও সে কথা বলে থাকে। তারপর পৃথিবীতে তার উপর রহমত বর্ষিত হয়।৩১৭
মুসলিম শরীফের বর্ণনা দ্বারা জানা যায়, কারও প্রতি মানুষের অন্তরে ঘৃণা ও অশ্রদ্ধা জন্মানোরও মূল কারণ এটাই যে, সে প্রথমে আল্লাহ তাআলার কাছে অপ্রিয় হয়ে গেছে। আল্লাহ তাআলার কাছে অপ্রিয় হয়ে যাওয়ার কারণে পর্যায়ক্রমে সে সাত আসমানের ফিরিশতাদের কাছে অপ্রিয় হয়ে যায়। সবশেষে পৃথিবীবাসীর কাছেও তাকে অপ্রিয় করে তোলা হয়।
আল্লাহ তাআলার কাছে প্রিয় হওয়ার কারণ যেমন ছিল তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা, তেমনি তাঁর কাছে অপ্রিয় হওয়ার কারণ তাঁর আদেশ-নিষেধ অমান্য করা। সুতরাং কারও দ্বারা নাফরমানির কাজ হওয়া আল্লাহর কাছে তার অপ্রিয় হওয়ার আলামত।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. কারও প্রতি ব্যাপকভাবে মানুষের অন্তরে সমাদর ও শ্রদ্ধাভক্তি থাকা আল্লাহ তাআলার কাছে তার প্রিয় হওয়ার আলামত।
খ. জনমনে কারও ঘৃণ্য ও ধিকৃত হওয়াটা আল্লাহর কাছে তার অপ্রিয় হওয়ার আলামত।
৩১৬. সূরা মারয়াম (১৯), আয়াত ৯৬
৩১৭. মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ২২৪০১; তাবারানী, আল মু'জামুল আওসাত, হাদীছ নং ১২৪০
প্রকাশ থাকে যে, কারও প্রতি আল্লাহ তাআলার ভালোবাসা থাকার অর্থ তিনি তার কল্যাণ চান ও তাকে তার কৃতকর্মের জন্য পুরস্কৃত করেন। ফিরিশতাদের পক্ষ থেকে ভালোবাসার অর্থ তার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করা, তার দোজাহানের কল্যাণ কামনা করা এবং তার প্রতি তাদের আকর্ষণ বোধ করা। মাখলূকাতের ভালোবাসার অর্থ হলো তার প্রতি সুধারণা রাখা, শ্রদ্ধা-ভক্তি প্রকাশ করা এবং সাধ্যানুযায়ী বিপদ-আপদ থেকে তাকে সুরক্ষা দেওয়া।
বলার অপেক্ষা রাখে না, আল্লাহ তাআলা কাউকে ভালোবাসেন তখনই, যখন সে আল্লাহর মর্জিমত চলে। যেমন পেছনের হাদীছে আছে- বান্দা নফল ইবাদত-বন্দেগী দ্বারা আমার নিকটবর্তী হতে থাকে। একপর্যায়ে আমি তাকে ভালোবেসে ফেলি। কুরআন মাজীদেও ইরশাদ হয়েছে إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ سَيَجْعَلُ لَهُمُ الرَّحْمَنُ وُدًّا 'যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, নিশ্চয়ই দয়াময় (আল্লাহ) সত্বর তাদের জন্য সৃষ্টি করবেন ভালোবাসা।৩১৬
এক হাদীছে ইরশাদ হয়েছে
إن العبد ليلتمس مرضاة الله، فلا يزال بذلك، فيقول الله لجبريل : إن فلانا عبدي يلتمس أن يرضيني، ألا وإن رحمتي عليه، فيقول جبريل : رحمة الله على فلان ويقولها حملة العرش، ويقولها من حولهم، حتى يقولها أهل السماوات السبع ثم تهبط له إلى الأرض
“বান্দা নিরবচ্ছিন্নভাবে নেক আমলের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি সন্ধানে লিপ্ত থাকে। শেষে আল্লাহ জিবরীলকে বলেন, আমার অমুক বান্দা আমাকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টায় লেগে আছে। শুনে রাখ, তার উপর আমার রহমত রয়েছে। জিবরীল বলেন, অমুকের উপর আল্লাহর রহমত। তারপর আরশবাহী ফিরিশতাগণও বলেন, অমুকের উপর আল্লাহর রহমত। একই কথা বলেন আরশের চারপাশের ফিরিশতাগণ। তারপর সাত আসমানের অধিবাসীগণও সে কথা বলে থাকে। তারপর পৃথিবীতে তার উপর রহমত বর্ষিত হয়।৩১৭
মুসলিম শরীফের বর্ণনা দ্বারা জানা যায়, কারও প্রতি মানুষের অন্তরে ঘৃণা ও অশ্রদ্ধা জন্মানোরও মূল কারণ এটাই যে, সে প্রথমে আল্লাহ তাআলার কাছে অপ্রিয় হয়ে গেছে। আল্লাহ তাআলার কাছে অপ্রিয় হয়ে যাওয়ার কারণে পর্যায়ক্রমে সে সাত আসমানের ফিরিশতাদের কাছে অপ্রিয় হয়ে যায়। সবশেষে পৃথিবীবাসীর কাছেও তাকে অপ্রিয় করে তোলা হয়।
আল্লাহ তাআলার কাছে প্রিয় হওয়ার কারণ যেমন ছিল তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা, তেমনি তাঁর কাছে অপ্রিয় হওয়ার কারণ তাঁর আদেশ-নিষেধ অমান্য করা। সুতরাং কারও দ্বারা নাফরমানির কাজ হওয়া আল্লাহর কাছে তার অপ্রিয় হওয়ার আলামত।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. কারও প্রতি ব্যাপকভাবে মানুষের অন্তরে সমাদর ও শ্রদ্ধাভক্তি থাকা আল্লাহ তাআলার কাছে তার প্রিয় হওয়ার আলামত।
খ. জনমনে কারও ঘৃণ্য ও ধিকৃত হওয়াটা আল্লাহর কাছে তার অপ্রিয় হওয়ার আলামত।
৩১৬. সূরা মারয়াম (১৯), আয়াত ৯৬
৩১৭. মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ২২৪০১; তাবারানী, আল মু'জামুল আওসাত, হাদীছ নং ১২৪০
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
