রিয়াযুস সালিহীন-ইমাম নববী রহঃ
ভূমিকা অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৭৯
আল্লাহর জন্য ভালোবাসার ফযীলত, এর প্রতি উৎসাহদান এবং কেউ কাউকে ভালোবাসলে তাকে সে সম্পর্কে অবহিত করা আর তাকে তা অবহিত করা হলে জবাবে সে যা বলবে।
আল্লাহ তাআলার ভালোবাসা লাভের একটি উপায়
হাদীছ নং : ৩৭৯
হযরত আবূ হুরায়রা রাযি, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি অন্য এক পল্লিতে তার (মুসলিম) ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেল। আল্লাহ তা'আলা তার যাত্রাপথে এক ফিরিশতা নিযুক্ত করলেন। লোকটি যখন সেই ফিরিশতার কাছে পৌঁছল, তখন ফিরিশতা তাকে জিজ্ঞেস করল, কোথায় যেতে চাচ্ছেন? সে বলল, আমি এই পল্লিতে আমার ভাইয়ের কাছে যেতে চাচ্ছি। ফিরিশতা বলল, তার দায়িত্বে কি আপনার কোনও সম্পদ আছে, যার দেখাশোনা করার উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন? সে বলল, না। তবে আমি আল্লাহর জন্য তাকে ভালোবাসি। ফিরিশতা বলল, আমি আপনার কাছে এই মর্মে আল্লাহর বার্তাবাহক যে, আপনি যেমন তাঁর জন্য এই ব্যক্তিকে ভালোবেসেছেন, তেমনি আল্লাহ তা'আলাও আপনাকে ভালোবাসেন -মুসলিম।
সহীহ মুসলিম, হাদীছ নং ২৫৬৭; মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ৯২৯১; আল-আদাবুল মুফরাদ, হাদীছ নং ৩৫০; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীছ নং ৫৭২; শুআবুল ঈমান, হাদীছ নং ৮৫৯১; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ, হাদীছ নং ৩৪৬৫
হাদীছ নং : ৩৭৯
হযরত আবূ হুরায়রা রাযি, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি অন্য এক পল্লিতে তার (মুসলিম) ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেল। আল্লাহ তা'আলা তার যাত্রাপথে এক ফিরিশতা নিযুক্ত করলেন। লোকটি যখন সেই ফিরিশতার কাছে পৌঁছল, তখন ফিরিশতা তাকে জিজ্ঞেস করল, কোথায় যেতে চাচ্ছেন? সে বলল, আমি এই পল্লিতে আমার ভাইয়ের কাছে যেতে চাচ্ছি। ফিরিশতা বলল, তার দায়িত্বে কি আপনার কোনও সম্পদ আছে, যার দেখাশোনা করার উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন? সে বলল, না। তবে আমি আল্লাহর জন্য তাকে ভালোবাসি। ফিরিশতা বলল, আমি আপনার কাছে এই মর্মে আল্লাহর বার্তাবাহক যে, আপনি যেমন তাঁর জন্য এই ব্যক্তিকে ভালোবেসেছেন, তেমনি আল্লাহ তা'আলাও আপনাকে ভালোবাসেন -মুসলিম।
সহীহ মুসলিম, হাদীছ নং ২৫৬৭; মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ৯২৯১; আল-আদাবুল মুফরাদ, হাদীছ নং ৩৫০; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীছ নং ৫৭২; শুআবুল ঈমান, হাদীছ নং ৮৫৯১; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ, হাদীছ নং ৩৪৬৫
46 - باب فضل الحب في الله والحث عَلَيهِ وإعلام الرجل من يحبه، أنه يحبه، وماذا يقول لَهُ إِذَا أعلمه
379 - وعنه، عن النَّبيّ - صلى الله عليه وسلم: «أنَّ رَجُلًا زَارَ أخًا لَهُ في قَرْيَةٍ أخْرَى، فَأرصَدَ اللهُ لَهُ عَلَى مَدْرَجَتِهِ مَلَكًا ... » وذكر الحديث إِلَى قوله: «إنَّ الله قَدْ أحبَّكَ كَمَا أحْبَبْتَهُ فِيهِ». رواه مسلم، وقد سبق بالباب قبله. (1)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছ দ্বারা জানা যায়, কোনও মুসলিম ভাইয়ের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাত করতে যাওয়া অনেক বড় ফযীলতের কাজ। দেখা-সাক্ষাত দ্বারা পরস্পরে ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়। কোনও ব্যক্তি যখন অন্য কোনও পল্লীতে বসবাসকারী তার ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করতে যায়, আল্লাহ তাআলা তার যাত্রাপথে একজন ফিরিশতা নিযুক্ত করেন, সে ভাই তার রক্ত সম্পর্কিত ভাই হোক বা ইসলামী ভাই।
এখানে হাদীছটি সংক্ষেপে আনা হয়েছে। এর বিস্তারিত বর্ণনায় আছে-
কোনও এক কালে এক ব্যক্তি অন্য পল্লীতে বসবাসরত তার ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করতে যাচ্ছিল। পথে তার জন্য নিযুক্ত সেই ফিরিশতা তাকে জিজ্ঞেস করল সে কোথায় যাচ্ছে। সে তার ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করার উদ্দেশ্যে যাওয়ার কথা বললে ফিরিশতা বলল, তার দায়িত্বে কি আপনার কোনও সম্পদ আছে, যার দেখাশোনা করার উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন?
সে উত্তরে জানাল যে, তার যাওয়ার উদ্দেশ্য তা নয়। সে পার্থিব কোনও উদ্দেশ্যে তার কাছে যাচ্ছে না। বরং সে তাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসে আর সেই ভালোবাসার তাগিদেই সে তার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছে। তার এ কথা শুনে ফিরিশতা তাকে যে সুসংবাদ শুনিয়েছিল তা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। ফিরিশতা বলেছিল-
أَنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَبَّكَ كَمَا أَحْبَبْتَهُ فِيهِ
(আপনি যেমন আল্লাহর জন্য এই ব্যক্তিকে ভালোবেসেছেন, তেমনি তিনিও আপনাকে ভালোবাসেন)। এটা আল্লাহর জন্য কাউকে ভালোবাসা এবং সেই ভালোবাসার তাগিদে তাকে দেখতে যাওয়ার এক বিশাল পুরস্কার।
এ হাদীছটি পেছনের অধ্যায়ে ৩৬১ ক্রমিক নম্বরে গত হয়েছে। সেখানে এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য।
হাদীছটির শিক্ষা
ক. মুমিন-মুসলিম ভাইয়ের প্রতি অন্তরে ভালোবাসা পোষণ করা চাই। সে ভালোবাসার দাবি হলো মাঝেমধ্যে তার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাত করতে যাওয়া।
খ. মুমিন ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করতে যাওয়া উচিত কেবলই আল্লাহর মহব্বতে, দুনিয়াবী স্বার্থে নয় ।
গ. কারও সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলে যে সময় ও অর্থ খরচ হয়, তাকে অহেতুক খরচ মনে করা উচিত নয়। কেননা এর বিনিময়ে যা অর্জিত হয় তা অনেক বড়- আল্লাহর মহব্বত।
এখানে হাদীছটি সংক্ষেপে আনা হয়েছে। এর বিস্তারিত বর্ণনায় আছে-
কোনও এক কালে এক ব্যক্তি অন্য পল্লীতে বসবাসরত তার ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করতে যাচ্ছিল। পথে তার জন্য নিযুক্ত সেই ফিরিশতা তাকে জিজ্ঞেস করল সে কোথায় যাচ্ছে। সে তার ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করার উদ্দেশ্যে যাওয়ার কথা বললে ফিরিশতা বলল, তার দায়িত্বে কি আপনার কোনও সম্পদ আছে, যার দেখাশোনা করার উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন?
সে উত্তরে জানাল যে, তার যাওয়ার উদ্দেশ্য তা নয়। সে পার্থিব কোনও উদ্দেশ্যে তার কাছে যাচ্ছে না। বরং সে তাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসে আর সেই ভালোবাসার তাগিদেই সে তার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছে। তার এ কথা শুনে ফিরিশতা তাকে যে সুসংবাদ শুনিয়েছিল তা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। ফিরিশতা বলেছিল-
أَنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَبَّكَ كَمَا أَحْبَبْتَهُ فِيهِ
(আপনি যেমন আল্লাহর জন্য এই ব্যক্তিকে ভালোবেসেছেন, তেমনি তিনিও আপনাকে ভালোবাসেন)। এটা আল্লাহর জন্য কাউকে ভালোবাসা এবং সেই ভালোবাসার তাগিদে তাকে দেখতে যাওয়ার এক বিশাল পুরস্কার।
এ হাদীছটি পেছনের অধ্যায়ে ৩৬১ ক্রমিক নম্বরে গত হয়েছে। সেখানে এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য।
হাদীছটির শিক্ষা
ক. মুমিন-মুসলিম ভাইয়ের প্রতি অন্তরে ভালোবাসা পোষণ করা চাই। সে ভালোবাসার দাবি হলো মাঝেমধ্যে তার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাত করতে যাওয়া।
খ. মুমিন ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করতে যাওয়া উচিত কেবলই আল্লাহর মহব্বতে, দুনিয়াবী স্বার্থে নয় ।
গ. কারও সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলে যে সময় ও অর্থ খরচ হয়, তাকে অহেতুক খরচ মনে করা উচিত নয়। কেননা এর বিনিময়ে যা অর্জিত হয় তা অনেক বড়- আল্লাহর মহব্বত।
রিয়াযুস সালিহীন,মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম
