রিয়াযুস সালিহীন-ইমাম নববী রহঃ
ভূমিকা অধ্যায়
হাদীস নং: ৩০৬
প্রতিবেশীর হক এবং তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার উপদেশ
প্রতিবেশিনীর কোনও হাদিয়াকেই তুচ্ছ মনে না করা
হাদীছ নং : ৩০৬
হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, হে মুসলিম নারীগণ! কোনও প্রতিবেশিনী যেন তার অপর প্রতিবেশিনীর জন্য তুচ্ছ মনে না করে, তা বকরির একটা পায়া হলেও -বুখারী ও মুসলিম।
সহীহ বুখারী, হাদীছ নং ২৫৬৬; সহীহ মুসলিম, হাদীছ নং ১০৩০; জামে তিরমিযী, হাদীছ নং ২১৩০; মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ৭৫৯১; আল-আদাবুল মুফরাদ, হাদীছ নং ১২৩; তাবারানী, আল-মু'জামুল কাবীর, হাদীছ নং ৫৬২; বায়হাকী, আসসুনানুল কুবরা: ১১৩২৮; শুআবুল ঈমান, হাদীছ নং ২১৬০; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ, হাদীছ নং ১৬৪১
হাদীছ নং : ৩০৬
হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, হে মুসলিম নারীগণ! কোনও প্রতিবেশিনী যেন তার অপর প্রতিবেশিনীর জন্য তুচ্ছ মনে না করে, তা বকরির একটা পায়া হলেও -বুখারী ও মুসলিম।
সহীহ বুখারী, হাদীছ নং ২৫৬৬; সহীহ মুসলিম, হাদীছ নং ১০৩০; জামে তিরমিযী, হাদীছ নং ২১৩০; মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ৭৫৯১; আল-আদাবুল মুফরাদ, হাদীছ নং ১২৩; তাবারানী, আল-মু'জামুল কাবীর, হাদীছ নং ৫৬২; বায়হাকী, আসসুনানুল কুবরা: ১১৩২৮; শুআবুল ঈমান, হাদীছ নং ২১৬০; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ, হাদীছ নং ১৬৪১
39 - باب حق الجار والوصية بِهِ
306 - وعنه، قَالَ: قَالَ رَسُول الله - صلى الله عليه وسلم: «يَا نِسَاء المُسْلِمَاتِ، لاَ تَحْقِرَنَّ جَارةٌ لِجَارَتِهَا وَلَوْ فِرْسِنَ شَاة». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ. (1)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছ দ্বারা মুসলিম নারীদেরকে প্রতিবেশিনীদের সঙ্গে হাদিয়া বিনিময়ে উৎসাহিত করা হয়েছে, যদিও সে হাদিয়ার পরিমাণ অতি অল্প হয়। একে অপরকে হাদিয়া দেওয়া একটি উৎকৃষ্ট সৎকর্ম। হাদিয়া বিনিময় দ্বারা পরস্পরে হিংসা-বিদ্বেষ দূর হয় ও ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। যেমন এক হাদীছে আছে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন تهادوا، فإن الهدية تذهب وحر الصدر 'তোমরা একে অন্যকে হাদিয়া দাও। কেননা হাদিয়া মনের বিদ্বেষ দূর করে।৩১
অপর এক হাদীছে আছে, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন تهادوا تحابوا “তোমরা একে অন্যকে হাদিয়া দাও। এতে তোমাদের পরস্পরে ভালোবাসা সৃষ্টি হবে।৩২
তাবি'ঈদের সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, তারা একে অন্যের কাছে এই বলে হাদিয়া পাঠাতেন যে, আমরা জানি এ জিনিসের কোনও প্রয়োজন আপনার নেই। তারপরও এটি পাঠালাম যাতে আপনি বুঝতে পারেন যে, আমাদের অন্তরে আপনার একটা জায়গা আছে।
হাদিয়ার বস্তু যদি খাদ্যদ্রব্য হয়, তবে তা রিযিক বৃদ্ধিতেও সহায়ক হয়ে থাকে।
কোনও কোনও বর্ণনায় আছে-
تهادوا الطعام بينكم، فإن ذلك توسعة في أرزاقكم
“তোমরা নিজেদের মধ্যে খাদ্যদ্রব্যের হাদিয়া বিনিময় কর। কেননা এটা রিযিক বৃদ্ধির পক্ষে সহায়ক।৩৩
এ হাদীছ দ্বারা প্রতিবেশীদের মধ্যে খাদ্যদ্রব্য বা যে-কোনও হাদিয়া বিনিময়ের প্রতি উৎসাহ দানের পাশাপাশি একটি মূলনীতিও বলে দেওয়া হয়েছে। মূলনীতিটি এই যে, এক প্রতিবেশীর পক্ষে অপর প্রতিবেশীকে হাদিয়া হিসেবে যা দেওয়া সম্ভব হয় তাই দেবে। এজন্য কোনও দামী বস্তু হওয়া বা পরিমাণে বেশি হওয়া জরুরি নয়। অনেকে মনে করে প্রতিবেশী বা অন্য কাউকে কিছু দিতে চাইলে দামী জিনিস দিতে হবে কিংবা যা দেওয়া হবে তার পরিমাণ বেশি হতে হবে। অন্যথায় তা দেওয়া যাবে না। এটা ভুল ধারাণা। এ কারণে গরীবদের অনেকেই এই নেক কাজটির ফযীলত অর্জন থেকে বঞ্চিত থাকে। নেক কাজ যতটুকু করা যায় ততটুকুই লাভজনক। আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন فَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ “সুতরাং কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করে থাকলে সে তা দেখতে পাবে।"৩৪
এ হাদীছ দ্বারা শেখানো হয়েছে হাদিয়ার জন্য বস্তুটি মূল্যবান হওয়া শর্ত নয়। ব্যস প্রত্যেকে আপন সঙ্গতি অনুযায়ী দেবে। দৃষ্টান্তস্বরূপ এ হাদীছে ছাগলের খুরের কথা বলা হয়েছে। ছাগলের খুর এমনই তুচ্ছ জিনিস, যা বিশেষ কোনও কাজের নয়। এর দ্বারা রূপকার্থে সামান্য বস্তু বোঝানো উদ্দেশ্য। অর্থাৎ যে ব্যক্তি অতি সামান্য কিছু দিতে পারে সে তাই দেবে এবং তাতেই হাদিয়া দেওয়ার ফযীলত পেয়ে যাবে।
এ হাদীছে যেমন প্রতিবেশী মহিলাকে অপর প্রতিবেশী মহিলার সামান্য দানকে তুচ্ছ মনে করতে নিষেধ করা হয়েছে, তেমনি যে প্রতিবেশিনী তার পাশের ঘরে কিছু দিতে চায় তাকেও শেখানো হয়েছে, যেন সে নিজ দানের পরিমাণ কম হওয়ায় লজ্জাবোধ না করে এবং তা দেওয়া হতে বিরত না থাকে।
অনেক সময় দেখা যায় মানুষ অল্প দামের বস্তু কাউকে দিতে কুণ্ঠাবোধ করে, তেমনি অনেকে এমনও আছে, যাদেরকে অল্প দামের কোনও জিনিস দেওয়া হলে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে এবং দাতার সমালোচনা করে। এ হাদীছ তাদেরকে তা করতে নিষেধ করছে। এক প্রতিবেশীর পক্ষ হতে অপর প্রতিবেশীকে হাদিয়া প্রদান আন্তরিকতার পরিচায়ক। আর আন্তরিকতা অতি মূল্যবান জিনিস। সুতরাং হাদিয়া হিসেবে দেওয়া বস্তুটির বাজারমূল্য না দেখে দাতার আন্তরিকতার মূল্য দেওয়া চাই। প্রকৃতপক্ষে আন্তরিকতার মূল্য এত বেশি যে, টাকাপয়সা দিয়ে তার মান পরিমাপ করা সম্ভব নয়। তাই তো নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
لو دعيت إلى ذراع أو كراع لأجبت، ولو أهدي إلي ذراع أو كراع لقبلت
‘আমাকে যদি (ছাগলের) গোশতবিহীন একটি নলা খাওয়ার জন্যও দাওয়াত দেওয়া হয়, তবে আমি অবশ্যই তা কবুল করব। আমাকে যদি গোশতবিহীন একটি নলা হাদিয়া দেওয়া হয়, তবে অবশ্যই তা গ্রহণ করব।৩৫
উল্লেখ্য, নারী-পুরুষ সকলেই এ আদেশের অন্তর্ভুক্ত। তবে বিশেষভাবে মহিলাদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এজন্য যে, প্রতিবেশীদের মধ্যে হাদিয়া বিনিময় সাধারণত তাদের মাধ্যমেই হয়ে থাকে। কাজেই এর দ্বারা এ কথাও বোঝা গেল যে, পুরুষদের উচিত নারীদের প্রতি এমন উদার থাকা, যাতে তারা অকুণ্ঠভাবে প্রতিবেশীদের মধ্যে হাদিয়া বিতরণ করতে পারে।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছ দ্বারা প্রতিবেশীদের মধ্যে হাদিয়া বিনিময়ের প্রতি উৎসাহ পাওয়া যায়।
খ. এ হাদীছ শিক্ষা দেয় প্রতিবেশীকে খাদ্যবস্তু বা অন্য কোনও জিনিস দেওয়ার ক্ষেত্রে যেন সে বস্তুর পরিমাণ ও মূল্যমানকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া না হয়। যার পক্ষে যা সম্ভব তাই দেবে।
গ. প্রতিবেশীর পক্ষ হতে দেওয়া হাদিয়াকে কোনও অবস্থায়ই তুচ্ছ মনে করতে নেই; বরং মহব্বতের নিদর্শন হিসেবে গ্রহণ করে নেওয়া চাই।
ঘ. মহিলাগণ যাতে একে অন্যকে হাদিয়া দিতে পারে, পুরুষদের উচিত তাদেরকে সে সুযোগ দেওয়া।
৩১. মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ৯২৫০; জামে তিরমিযী, হাদীছ নং ২১৩০
৩২. বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ, হাদীছ নং ৫৯৪; বায়হাকী, হাদীছ নং ১১৯৪৬; বাগাবী, হাদীছ নং ১৬১২
৩৩. আল্লামা মুনাবী, ফায়যুল কাদীর, হাদীছ নং ৩৩৭৬
৩৪. সূরা যিলযাল (৯৯), আয়াত ৭
৩৫. সহীহ বুখারী, হাদীছ নং ২৫৬৮; জামে তিরমিযী, হাদীছ নং ১৩৩৮; মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ১০২৩; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীছ নং ২১৯৮৬; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীছ নং ৫২৯১; তাবারানী, আল মুজামুল কাবীর, হাদীছ নং ৩৯২; বায়হাকী, আস্ সুনানুল কুবরা, হাদীছ নং ১১৯৪০; শুআবুল ঈমান, হাদীছ নং ৮৫৬৯
অপর এক হাদীছে আছে, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন تهادوا تحابوا “তোমরা একে অন্যকে হাদিয়া দাও। এতে তোমাদের পরস্পরে ভালোবাসা সৃষ্টি হবে।৩২
তাবি'ঈদের সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, তারা একে অন্যের কাছে এই বলে হাদিয়া পাঠাতেন যে, আমরা জানি এ জিনিসের কোনও প্রয়োজন আপনার নেই। তারপরও এটি পাঠালাম যাতে আপনি বুঝতে পারেন যে, আমাদের অন্তরে আপনার একটা জায়গা আছে।
হাদিয়ার বস্তু যদি খাদ্যদ্রব্য হয়, তবে তা রিযিক বৃদ্ধিতেও সহায়ক হয়ে থাকে।
কোনও কোনও বর্ণনায় আছে-
تهادوا الطعام بينكم، فإن ذلك توسعة في أرزاقكم
“তোমরা নিজেদের মধ্যে খাদ্যদ্রব্যের হাদিয়া বিনিময় কর। কেননা এটা রিযিক বৃদ্ধির পক্ষে সহায়ক।৩৩
এ হাদীছ দ্বারা প্রতিবেশীদের মধ্যে খাদ্যদ্রব্য বা যে-কোনও হাদিয়া বিনিময়ের প্রতি উৎসাহ দানের পাশাপাশি একটি মূলনীতিও বলে দেওয়া হয়েছে। মূলনীতিটি এই যে, এক প্রতিবেশীর পক্ষে অপর প্রতিবেশীকে হাদিয়া হিসেবে যা দেওয়া সম্ভব হয় তাই দেবে। এজন্য কোনও দামী বস্তু হওয়া বা পরিমাণে বেশি হওয়া জরুরি নয়। অনেকে মনে করে প্রতিবেশী বা অন্য কাউকে কিছু দিতে চাইলে দামী জিনিস দিতে হবে কিংবা যা দেওয়া হবে তার পরিমাণ বেশি হতে হবে। অন্যথায় তা দেওয়া যাবে না। এটা ভুল ধারাণা। এ কারণে গরীবদের অনেকেই এই নেক কাজটির ফযীলত অর্জন থেকে বঞ্চিত থাকে। নেক কাজ যতটুকু করা যায় ততটুকুই লাভজনক। আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন فَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ “সুতরাং কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করে থাকলে সে তা দেখতে পাবে।"৩৪
এ হাদীছ দ্বারা শেখানো হয়েছে হাদিয়ার জন্য বস্তুটি মূল্যবান হওয়া শর্ত নয়। ব্যস প্রত্যেকে আপন সঙ্গতি অনুযায়ী দেবে। দৃষ্টান্তস্বরূপ এ হাদীছে ছাগলের খুরের কথা বলা হয়েছে। ছাগলের খুর এমনই তুচ্ছ জিনিস, যা বিশেষ কোনও কাজের নয়। এর দ্বারা রূপকার্থে সামান্য বস্তু বোঝানো উদ্দেশ্য। অর্থাৎ যে ব্যক্তি অতি সামান্য কিছু দিতে পারে সে তাই দেবে এবং তাতেই হাদিয়া দেওয়ার ফযীলত পেয়ে যাবে।
এ হাদীছে যেমন প্রতিবেশী মহিলাকে অপর প্রতিবেশী মহিলার সামান্য দানকে তুচ্ছ মনে করতে নিষেধ করা হয়েছে, তেমনি যে প্রতিবেশিনী তার পাশের ঘরে কিছু দিতে চায় তাকেও শেখানো হয়েছে, যেন সে নিজ দানের পরিমাণ কম হওয়ায় লজ্জাবোধ না করে এবং তা দেওয়া হতে বিরত না থাকে।
অনেক সময় দেখা যায় মানুষ অল্প দামের বস্তু কাউকে দিতে কুণ্ঠাবোধ করে, তেমনি অনেকে এমনও আছে, যাদেরকে অল্প দামের কোনও জিনিস দেওয়া হলে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে এবং দাতার সমালোচনা করে। এ হাদীছ তাদেরকে তা করতে নিষেধ করছে। এক প্রতিবেশীর পক্ষ হতে অপর প্রতিবেশীকে হাদিয়া প্রদান আন্তরিকতার পরিচায়ক। আর আন্তরিকতা অতি মূল্যবান জিনিস। সুতরাং হাদিয়া হিসেবে দেওয়া বস্তুটির বাজারমূল্য না দেখে দাতার আন্তরিকতার মূল্য দেওয়া চাই। প্রকৃতপক্ষে আন্তরিকতার মূল্য এত বেশি যে, টাকাপয়সা দিয়ে তার মান পরিমাপ করা সম্ভব নয়। তাই তো নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
لو دعيت إلى ذراع أو كراع لأجبت، ولو أهدي إلي ذراع أو كراع لقبلت
‘আমাকে যদি (ছাগলের) গোশতবিহীন একটি নলা খাওয়ার জন্যও দাওয়াত দেওয়া হয়, তবে আমি অবশ্যই তা কবুল করব। আমাকে যদি গোশতবিহীন একটি নলা হাদিয়া দেওয়া হয়, তবে অবশ্যই তা গ্রহণ করব।৩৫
উল্লেখ্য, নারী-পুরুষ সকলেই এ আদেশের অন্তর্ভুক্ত। তবে বিশেষভাবে মহিলাদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এজন্য যে, প্রতিবেশীদের মধ্যে হাদিয়া বিনিময় সাধারণত তাদের মাধ্যমেই হয়ে থাকে। কাজেই এর দ্বারা এ কথাও বোঝা গেল যে, পুরুষদের উচিত নারীদের প্রতি এমন উদার থাকা, যাতে তারা অকুণ্ঠভাবে প্রতিবেশীদের মধ্যে হাদিয়া বিতরণ করতে পারে।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছ দ্বারা প্রতিবেশীদের মধ্যে হাদিয়া বিনিময়ের প্রতি উৎসাহ পাওয়া যায়।
খ. এ হাদীছ শিক্ষা দেয় প্রতিবেশীকে খাদ্যবস্তু বা অন্য কোনও জিনিস দেওয়ার ক্ষেত্রে যেন সে বস্তুর পরিমাণ ও মূল্যমানকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া না হয়। যার পক্ষে যা সম্ভব তাই দেবে।
গ. প্রতিবেশীর পক্ষ হতে দেওয়া হাদিয়াকে কোনও অবস্থায়ই তুচ্ছ মনে করতে নেই; বরং মহব্বতের নিদর্শন হিসেবে গ্রহণ করে নেওয়া চাই।
ঘ. মহিলাগণ যাতে একে অন্যকে হাদিয়া দিতে পারে, পুরুষদের উচিত তাদেরকে সে সুযোগ দেওয়া।
৩১. মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ৯২৫০; জামে তিরমিযী, হাদীছ নং ২১৩০
৩২. বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ, হাদীছ নং ৫৯৪; বায়হাকী, হাদীছ নং ১১৯৪৬; বাগাবী, হাদীছ নং ১৬১২
৩৩. আল্লামা মুনাবী, ফায়যুল কাদীর, হাদীছ নং ৩৩৭৬
৩৪. সূরা যিলযাল (৯৯), আয়াত ৭
৩৫. সহীহ বুখারী, হাদীছ নং ২৫৬৮; জামে তিরমিযী, হাদীছ নং ১৩৩৮; মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ১০২৩; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীছ নং ২১৯৮৬; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীছ নং ৫২৯১; তাবারানী, আল মুজামুল কাবীর, হাদীছ নং ৩৯২; বায়হাকী, আস্ সুনানুল কুবরা, হাদীছ নং ১১৯৪০; শুআবুল ঈমান, হাদীছ নং ৮৫৬৯
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
