রিয়াযুস সালিহীন-ইমাম নববী রহঃ

ভূমিকা অধ্যায়

হাদীস নং: ১৫৫
ভূমিকা অধ্যায়
আমলে যত্নবান থাকা ও তার ধারাবাহিকতা রক্ষা প্রসঙ্গ।
কোনও কারণে তাহাজ্জুদ ছুটে গেলে করণীয়
হাদীছ নং: ১৫৫

উম্মুল মু'মিনীন হযরত আয়েশা রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামের রাতের নামায যদি কোনও যন্ত্রণা বা অন্য কোনও কারণে ছুটে যেত, তবে দিনের বেলা বারো রাক'আত পড়ে নিতেন।-মুসলিম.
(সহীহ মুসলিম, হাদীছ নং ৭৪৬; সুনানে নাসাঈ, হাদীছ নং ১৬০১; মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ২৪৬৮, ২৬২৬২; সুনানে আবূ দাউদ, হাদীছ নং ১৩৪২; জামে তিরমিযী, হাদীছ নং ৪৪৫; বায়হাকী, হাদীছ নং ৪২৩৭; বাগাবী, হাদীছ নং ৯৬৩)
مقدمة الامام النووي
15 - باب في المحافظة عَلَى الأعمال
155 - وعن عائشة رضي الله عنها، قَالَتْ: كَانَ رَسُول الله - صلى الله عليه وسلم - إِذَا فَاتَتْهُ الصَّلاةُ مِنَ اللَّيلِ مِنْ وَجَعٍ أَوْ غَيرِهِ، صَلَّى مِنَ النَّهارِ ثنْتَيْ عَشرَةَ رَكْعَةً. رواه مسلم. (1)

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীছ দ্বারাও নফল ইবাদতের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার গুরুত্ব বোঝা যায়। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে তা রক্ষা করতেন এবং কোনও ওজরবশত ছুটে গেলে দিনের বেলা তা কাযা করে নিতেন, যেমনটা এ হাদীছে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি অন্যকেও উৎসাহিত করেছেন, যদি ওজরবশত তাহাজ্জুদ ছুটে যায়। তবে যেন তার কাযা করে নেয়, যেমন ১৫৩নং হাদীছ দ্বারা জানা যায়।

হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ

ক. এ হাদীছেরও শিক্ষা হচ্ছে কোনও নফল ইবাদত বিশেষত তাহাজ্জুদের নামায পড়া শুরু করার পর ইচ্ছাকৃত তা ছেড়ে দিতে নেই, যথাসাধ্য তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা উচিত।

খ. ঘুমিয়ে পড়া, ভুলে যাওয়া বা অন্য কোনও ওজরবশত ওযিফা আদায় করতে ভুলে গেলে সমপরিমাণ 'ইবাদত দিনের বেলা করে নেওয়া চাই, যদিও তা ওয়াজিব নয়।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)
রিয়াযুস সালিহীন - হাদীস নং ১৫৫ | মুসলিম বাংলা