রিয়াযুস সালিহীন-ইমাম নববী রহঃ
ভূমিকা অধ্যায়
হাদীস নং: ১২৭
ভূমিকা অধ্যায়
সৎকর্মের বহুবিধ পন্থা।
রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে দেওয়ার ফযীলত
হাদীছ নং: ১২৭
হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. থেকে আরও বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, আমি এক ব্যক্তিকে রাস্তার উপর থেকে একটি গাছ কেটে ফেলার কারণে জান্নাতে ঘুরে বেড়াতে দেখেছি, যে গাছটি (যাতায়াতকারী) মুসলিমদের কষ্ট দিত- মুসলিম
মুসলিম শরীফের অপর এক বর্ণনায় আছে, এক ব্যক্তি রাস্তার উপর থাকা একটি বৃক্ষশাখার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। সে বলল, আল্লাহর কসম! আমি এটি মুসলিমদের (যাতায়াত পথ) থেকে দূর করে দেব, যাতে এটা তাদের কষ্ট না দিতে পারে। ফলে তাকে জান্নাতে দাখিল করা হয়।
বুখারী ও মুসলিম শরীফের অপর এক বর্ণনায় আছে, এক ব্যক্তি একটি রাস্তার উপর দিয়ে চলছিল। এ অবস্থায় সে রাস্তার উপর একটি কাঁটাযুক্ত ডাল দেখতে পেল। সে ডালটি সরিয়ে দিল। আল্লাহ তা'আলা তার এ কাজটি কবুল করলেন এবং তাকে ক্ষমা করে দিলেন। সহীহ মুসলিম,
(হাদীছ নং ১৯১৪; সহীহ বুখারী, হাদীছ নং ৬৫২; মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ১০৮৯৬; মুআত্তা মালিক, হাদীছ নং ৪৩১; বাগাবী, শারহুস্ সুন্নাহ, হাদীছ নং ৩৮৪)
হাদীছ নং: ১২৭
হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. থেকে আরও বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, আমি এক ব্যক্তিকে রাস্তার উপর থেকে একটি গাছ কেটে ফেলার কারণে জান্নাতে ঘুরে বেড়াতে দেখেছি, যে গাছটি (যাতায়াতকারী) মুসলিমদের কষ্ট দিত- মুসলিম
মুসলিম শরীফের অপর এক বর্ণনায় আছে, এক ব্যক্তি রাস্তার উপর থাকা একটি বৃক্ষশাখার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। সে বলল, আল্লাহর কসম! আমি এটি মুসলিমদের (যাতায়াত পথ) থেকে দূর করে দেব, যাতে এটা তাদের কষ্ট না দিতে পারে। ফলে তাকে জান্নাতে দাখিল করা হয়।
বুখারী ও মুসলিম শরীফের অপর এক বর্ণনায় আছে, এক ব্যক্তি একটি রাস্তার উপর দিয়ে চলছিল। এ অবস্থায় সে রাস্তার উপর একটি কাঁটাযুক্ত ডাল দেখতে পেল। সে ডালটি সরিয়ে দিল। আল্লাহ তা'আলা তার এ কাজটি কবুল করলেন এবং তাকে ক্ষমা করে দিলেন। সহীহ মুসলিম,
(হাদীছ নং ১৯১৪; সহীহ বুখারী, হাদীছ নং ৬৫২; মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ নং ১০৮৯৬; মুআত্তা মালিক, হাদীছ নং ৪৩১; বাগাবী, শারহুস্ সুন্নাহ, হাদীছ নং ৩৮৪)
مقدمة الامام النووي
13 - باب في بيان كثرة طرق الخير
127 - الحادي عشر: عَنْهُ، عن النَّبيّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «لَقدْ رَأيْتُ رَجُلًا يَتَقَلَّبُ في الجَنَّةِ في شَجَرَةٍ قَطَعَهَا مِنْ ظَهْرِ الطَرِيقِ كَانَتْ تُؤذِي المُسْلِمِينَ». رواه مسلم. (1)
وفي رواية: «مَرَّ رَجُلٌ بِغُصْنِ شَجَرَةٍ عَلَى ظَهرِ طَرِيقٍ، فَقَالَ: وَاللهِ لأُنْحِيَنَّ هَذَا عَنِ المُسْلِمينَ لا يُؤذِيهِمْ، فَأُدخِلَ الجَنَّةَ».
وفي رواية لهما: «بَيْنَمَا رَجُلٌ يَمْشي بِطَريقٍ وَجَدَ غُصْنَ شَوكٍ عَلَى الطريقِ فأخَّرَه فَشَكَرَ اللهُ لَهُ، فَغَفَرَ لَهُ».
وفي رواية: «مَرَّ رَجُلٌ بِغُصْنِ شَجَرَةٍ عَلَى ظَهرِ طَرِيقٍ، فَقَالَ: وَاللهِ لأُنْحِيَنَّ هَذَا عَنِ المُسْلِمينَ لا يُؤذِيهِمْ، فَأُدخِلَ الجَنَّةَ».
وفي رواية لهما: «بَيْنَمَا رَجُلٌ يَمْشي بِطَريقٍ وَجَدَ غُصْنَ شَوكٍ عَلَى الطريقِ فأخَّرَه فَشَكَرَ اللهُ لَهُ، فَغَفَرَ لَهُ».
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছে বলা হয়েছে যে, এক ব্যক্তি রাস্তা থেকে একটি ডাল সরিয়ে দেওয়ার অছিলায় জান্নাত লাভ করেছে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে জান্নাতে সানন্দে ঘুরে বেড়াতে দেখেছেন। তিনি তা কখন দেখেছেন তা এ হাদীছে উল্লেখ করা হয়নি। হতে পারে মি'রাজের সফরকালে দেখেছেন। এমনও হতে পারে যে, স্বপ্নে দেখেছেন। নবীদের স্বপ্ন ওহী হয়ে থাকে। সুতরাং এর সত্যতায় কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। এ লোকটি কোন কালের তাও বলা হয়নি। ধারণা করা যায় সে ছিল অতীতকালের কোনও নবীর উম্মত। সব কালের নবীদের ধর্মই ছিল ইসলাম এবং তার অনুসারীদেরও মুসলিমই বলা হত। কাজেই এ হাদীছে মুসলিম বলা হয়েছে দেখে এই উম্মতের লোক হওয়া অনিবার্য নয়।
এই লোকটির অন্তরে ছিল মানুষের প্রতি মমতা। রাস্তার উপর একটা গাছের ডাল ঝুলে আছে কিংবা কোনও কাঁটাদার ডাল পড়ে আছে। এ ডালে কারও মাথায় আঘাত লাগতে পারে কিংবা এর কাঁটা কারও পায়ে ফুটতে পারে। এভাবে আল্লাহর বান্দাগণ কষ্ট পাবে এ চিন্তা করে সে ডালটি কেটে ফেলেছিল কিংবা পড়ে থাকা কাঁটাদার ডালটি সরিয়ে ফেলেছিল। মানুষের প্রতি তার এ দরদী কাজটি আল্লাহ তা'আলা পসন্দ করলেন এবং এর অছিলায় তাকে জান্নাত দান করলেন। সুবহানাল্লাহ! মানুষের কষ্ট দূর করে দেওয়ার যে-কোনও পদক্ষেপ কতই না ফযীলতের কাজ!
এমনিতে কাজটি তো অতি সাধারণ। কিন্তু আল্লাহ তা'আলা তার বদলা দিলেন কত বিরাট! এর দ্বারা বোঝা যায় মানুষের কষ্টনিবারণ আল্লাহর কাছে কী মূল্য রাখে এবং মুসলিম সাধারণের উপকার হয় এমন কাজ আল্লাহ তা'আলার কত পসন্দ। তাই তো এরূপ কাজকে ঈমানের শাখা বলা হয়েছে।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছ দ্বারাও শিক্ষা পাওয়া যায় যে, কোনও নেক আমলকেই তুচ্ছ মনে করতে নেই।
খ. এর দ্বারা রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে ফেলার ফযীলত জানা যায়।
গ. আরও জানা যায় মুসলিম সাধারণের কোনও উপকার করা এবং তাদের কোনও ক্ষতি লাঘব করার কাজ আল্লাহ তা'আলার কত প্রিয়। আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে এ জাতীয় কাজ বেশি বেশি করার তাওফীক দান করুন, আমীন।
এই লোকটির অন্তরে ছিল মানুষের প্রতি মমতা। রাস্তার উপর একটা গাছের ডাল ঝুলে আছে কিংবা কোনও কাঁটাদার ডাল পড়ে আছে। এ ডালে কারও মাথায় আঘাত লাগতে পারে কিংবা এর কাঁটা কারও পায়ে ফুটতে পারে। এভাবে আল্লাহর বান্দাগণ কষ্ট পাবে এ চিন্তা করে সে ডালটি কেটে ফেলেছিল কিংবা পড়ে থাকা কাঁটাদার ডালটি সরিয়ে ফেলেছিল। মানুষের প্রতি তার এ দরদী কাজটি আল্লাহ তা'আলা পসন্দ করলেন এবং এর অছিলায় তাকে জান্নাত দান করলেন। সুবহানাল্লাহ! মানুষের কষ্ট দূর করে দেওয়ার যে-কোনও পদক্ষেপ কতই না ফযীলতের কাজ!
এমনিতে কাজটি তো অতি সাধারণ। কিন্তু আল্লাহ তা'আলা তার বদলা দিলেন কত বিরাট! এর দ্বারা বোঝা যায় মানুষের কষ্টনিবারণ আল্লাহর কাছে কী মূল্য রাখে এবং মুসলিম সাধারণের উপকার হয় এমন কাজ আল্লাহ তা'আলার কত পসন্দ। তাই তো এরূপ কাজকে ঈমানের শাখা বলা হয়েছে।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছ দ্বারাও শিক্ষা পাওয়া যায় যে, কোনও নেক আমলকেই তুচ্ছ মনে করতে নেই।
খ. এর দ্বারা রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে ফেলার ফযীলত জানা যায়।
গ. আরও জানা যায় মুসলিম সাধারণের কোনও উপকার করা এবং তাদের কোনও ক্ষতি লাঘব করার কাজ আল্লাহ তা'আলার কত প্রিয়। আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে এ জাতীয় কাজ বেশি বেশি করার তাওফীক দান করুন, আমীন।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)