আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৬৪- আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৬১৬৩
৩২৫৭. কাউকে ‘ওয়াইলাকা’ বলা।
৫৭৩২। আব্দুর রহমান ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা নিজ অধিকারভুক্ত কিছু মাল নবী (ﷺ) ভাগ করে দিলেন। এমন সমর তামীম গোত্রের যুল খুয়াইসিরা নামক এক ব্যক্তি বলে উঠলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইনসাফ করুন। তখন তিনি বললেনঃ ওয়াইলাকা (তোমার অমঙ্গল হোক), আমি ইনসাফ না করলে আর কে ইনসাফ করবে? তখন উমর (রাযিঃ) বললেনঃ আপনি আমাকে অনুমতি দিন, আমি এর গর্দান উড়িয়ে দিই। তিনি বললেনঃ না। কারণ, তার এমন কতক সাথী রয়েছে; যাদের নামাযের সামনে নিজেদের নামাযকে তোমরা তুচ্ছ মনে করবে এবং তাদের রোযার সামনে তোমাদের নিজেদের রোযাকে তুচ্ছ মনে করবে। তারা দ্বীন থেকে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে! যেমনিভাবে তীর শিকার ভেদ করে বেরিয়ে যায়; গোবর ও রক্তকে এমনভাবে অতিক্রম করে যায় যে, তীরের অগ্রভাগ লক্ষ্য করলে তাতে কোন চিহ্ন পাওয়া যায় না, তার উপরিভাগে লক্ষ্য করলেও কোন চিহ্ন পাওয়া যায়না। তার কাঠামোতেও কোন চিহ্ন নেই। তার পাতির মধ্যেও কোন চিহ্ন নেই।
এমন সময় তাদের আবির্ভাব হবে, যখন মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ দেখা দিবে। তাদের পরিচয় হল, তাদের নেতা এমন এক ব্যক্তি হবে, যার একহাত স্ত্রীলোকের স্তনের মত অথবা পিত্তের মত তা কাপতে থাকবে।
রাবী আবু সাঈদ (রাযিঃ) বলেন, আমি সাক্ষ্য দিয়ে বলছি যে, আমি নিশ্চয়ই নবী (ﷺ) থেকে একথা শুনেছি এবং আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি নিজে আলী (রাযিঃ) এর সাথে ছিলাম, যখন তিনি এ দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিলেন। তখন সে লোকটিকে যুদ্ধের নিহত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে খুজে বের করে আনার পর তাকে ঠিক সেই অবস্থায়ই পাওয়া গেল, যে অবস্থার বর্ণনা নবী (ﷺ) দিয়েছিলেন।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন