আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৬৪- আদব - শিষ্টাচারের অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৬১২৭
৩২৪২. নবী (ﷺ) এর বাণীঃ তোমরা নম্র হও, কঠোর ব্যবহার করো না। এবং নবী (ﷺ) মানুষের সাথে নম্র ব্যবহার পছন্দ করতেন।
৫৬৯৭। আবু নু’মান (রাহঃ) ......... আযরাক ইবনে কায়স (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমরা আহওয়ায নামক স্থানে একটা খালের কিনারায় অবস্থান করছিলাম। খালটির পানি শুকিয়ে গিয়েছিল। এমন সময় আবু বারযা আসলামী (রাযিঃ) একটি ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে সেখানে এলেন। তিনি ঘোড়াটিকে ছেড়ে দিয়ে নামাযে দাঁড়ালেন। তখন ঘোড়াটা (দূরে) চলে গেল দেখে তিনি নামায ছেড়ে দিয়ে ঘোড়ার অনুসরণ করলেন এবং ঘোড়াটিকে পেয়ে ধরে আনলেন। তারপর নামায পূর্ণ করলেন। এ সময় আমাদের মধ্যে একজন বিরূপ সমালোচক ছিলেন। তিনি তা দেখে বললেনঃ এই বৃদ্ধের দিকে তাকাও, সে ঘোড়ার খাতিরে নামায ছেড়ে দিল। তখন আবু বারযা (রাযিঃ) এগিয়ে এসে বললেনঃ যখন থেকে আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে হারিয়েছি, তখন থেকে আজ পর্যন্ত কেউ আমাকে এরূপ তিরস্কার করেনি। তিনি আরও বললেনঃ আমার বাড়ী বহুদূরে, সুতরাং যদি আমি নামায আদায় করতে থাকতাম এবং ঘোড়াটিকে এভাবেই ছেড়ে দিতাম তাহলে আমি রাতে নিজ পরিবারের নিকট পৌঁছতে পারতাম না। তিনি আরও উল্লেখ করলেন যে, তিনি নবী (ﷺ) এর সাহচর্য লাভ করেছেন এবং তার নম্র ব্যবহার প্রত্যক্ষ করেছেন।
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীসে বর্ণিত হযরত আবু বারযা আসলামী রা.-এর উক্ত মন্তব্য থেকে বুঝা যায় যে, নামাযরত অবস্থায় যদি এমন কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় যাতে নামায ছেড়ে না দিলে বড় কোন ক্ষতি হওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে। যেমন, মালামাল চুরি হওয়া, যানবাহন ছেড়ে দেয়া (যেখানে বিকল্প নেই) তাহলে নামায ছেড়ে দেয়া জায়েয হবে। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ২/৫২)
