ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার

৩৪. কুরবানী ও আকীকা অধ্যায়

হাদীস নং: ২৩০২
কুরবানীর পূর্বে চুল ও নখ কাটা
(২৩০২) উম্মু সালামা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যদি কারো কুরবানী দেওয়ার থাকে, তবে যুলহাজ্জ মাসের চাঁদ উঠার পরে কুরবানী করা পর্যন্ত সে যেন তার চুল এবং নখ না কাটে।
عن أم سلمة رضي الله عنها مرفوعا: من كان له ذبح يذبحه فإذا أهل هلال ذي الحجة فلا يأخذن من شعره ولا من أظفاره شيئا حتى يضحي

হাদীসের ব্যাখ্যা:

গ্রন্থকার বলেন, এই হাদীসের নির্দেশ** মুসতাহাব পর্যায়ের। ইতোপূর্বে হজ্জ অধ্যায়ে ‘হাদঈ বা হজ্জের পশু বিষয়ক পরিচ্ছেদে' উদ্ধৃত আয়িশা রা. বর্ণিত হাদীস (হাদীস নং ১৫২৭) থেকে তা বোঝা যায়। আল্লাহই ভালো জানেন ।

** [এই হাদীসে নির্দেশটি দেওয়া হয়েছে শুধু কুরবানিদাতাকে। তবে আবু দাউদ (২৭৮৯), নাসায়ি (৪৩৬৫), আহমাদ (৬৫৭৫), বাযযার (২৪৫৯), তাহাবি (৬১৬১), ইবন হিব্বান (৫৯১৪), দারাকুতনি (৪৭৪৯), হাকিম (৫৭২৯) ও বাইহাকি (১৯০২৮) সঙ্কলিত আব্দুল্লাহ ইবন আমরের হাদীসে কুরবানির সামর্থ্য না থাকা সর্বসাধারণের জন্যও এই নির্দেশনা ও ফযীলত বর্ণিত হয়েছে: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: أمرت بيوم الأضحى عيدا جعله الله لهذه الأمة قال الرجل: أرأيت إن لم أجد إلا منيحة أنثى أفأضحي بها؟ قال: لا ولكن تأخذ من شعرك وأظفارك وتقص شاربك وتحلق عانتك فتلك تمام أضحيتك عند الله 'রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি আযহার দিন ঈদ পালন করতে আদিষ্ট হয়েছি; আল্লাহ তাকে এ উম্মতের জন্য নির্ধারণ করেছেন। তখন একব্যক্তি বলল, আপনার অভিমত কী, দুগ্ধদানের একটি পশু ছাড়া কিছুই যদি আমি না পাই, তা দ্বারাই কুরবানি করব? তিনি বললেন, না। বরং তুমি তোমার চুল, নখ কাটবে, গোঁফ ছোট করবে এবং নাভির নিচের লোম কাটবে- এগুলোই আল্লাহর নিকট তোমার পূর্ণাঙ্গ কুরবানি বলে বিবেচিত হবে'। হাকিম, যাহাবি, ইবন হিব্বান, ইবনুল আসীর ও শুআইব আরনাউত প্রমুখ মুহাদ্দিস হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন । -সম্পাদক]
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন