ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার

১২. জিহাদ অধ্যায়

হাদীস নং: ১৯৩৪
শত্রু যুদ্ধবন্দিদেরকে হত্যা করা, ক্রীতদাস বানানো, বিনা বিনিময়ে মুক্তি প্রদান ও বিনিময় গ্রহণ করে মুক্তি প্রদান
(১৯৩৪) ইমরান ইবন হুসাইন রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দুইজন মুসলিম যুদ্ধবন্দির বিনিময়ে একজন মুশরিক যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দান করেন।
عن عمران بن حصين رضي الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم فدى رجلين من المسلمين برجل من المشركين

হাদীসের ব্যাখ্যা:

গ্রন্থকার বলেন, আল্লাহ ইরশাদ করেছেন: فَإِذَا انْسَلَخَ الْأَشْهُرُ الْحُرُمُ فَاقْتُلُوا الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدْتُمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُوا لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ فَإِنْ تَابُوا وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ فَخَلُّوا سَبِيلَهُمْ 'নিষিদ্ধ মাসগুলো, অর্থাৎ কাফিরদের সাথে যুদ্ধবিরতির চুক্তির মাসগুলো অতিবাহিত হলে মুশরিকদেরকে যেখানে পাবে হত্যা করবে, তাদেরকে বন্দি করবে, অবরোধ করবে এবং প্রত্যেক ঘাটিতে তাদের জন্য ওৎ পেতে থাকবে। কিন্তু যদি তারা তাওবা করে, সালাত কায়িম করে এবং যাকাত দেয় তবে তাদেরকে পথ ছেড়ে দিবে'।** এই আয়াতটি এ সকল ঘটনার পরে নাযিল হয়েছে। এজন্য কাফির যুদ্ধবন্দিদের জন্য শুধুমাত্র হত্যার বিধানই বলবৎ । ক্রীতদাস বানানো ও জিযইয়া আরোপ করাও হত্যার পর্যায়ভুক্ত। এছাড়া মুক্তিপণে বা বিনা-বিনিময়ে দয়া করে ছেড়ে দেওয়া বা বন্দি বিনিময় শুধুমাত্র রাষ্ট্রপ্রধান জরুরি মনে করলেই করতে পারেন । আল্লাহই ভালো জানেন।

** সূরা: [৯] তাওবা, ৫ আয়াত ।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান