ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার
১১. ইসলাম নির্ধারিত দন্ডবিধি
হাদীস নং: ১৮১৭
অমুসলিম বিবাহিত ব্যক্তি ‘মুহসান' বা ‘পরিপূর্ণ বিবাহিত’ বলে গণ্য নয় এবং তাকে রজম করা হবে না। ইয়াহুদিকে রজম করার ব্যাখ্যা
(১৮১৭) মা'কিল ইবন মুকারি্রন মুজানি থেকে বর্ণিত, তিনি আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রা.র নিকট এসে বলেন যে, তাঁর এক ক্রীতদাসী ব্যভিচার করেছে। ইবন মাসউদ বলেন, তাকে ৫০টি বেত্রাঘাত করো। তাকে বলা হয়, মেয়েটি বিবাহিতা নয়। তিনি বলেন, মুসলিম হওয়াই তার বিবাহ বলে গণ্য।
عن معقل بن مقرن المزني جاء إلى عبد الله فقال: إن جارية له زنت قال: اجلدها خمسين قال: ليس لها زوج قال: إسلامها إحصائها
হাদীসের ব্যাখ্যা:
গ্রন্থকার বলেন, এভাবে জানা যায় যে, অমুসলিম ব্যভিচার করলে তাকে রজম করা যাবে না, যদিও সে বিবাহিত হয়। কিন্তু বুখারি, মুসলিম ও অন্যান্য মুহাদ্দিস সঙ্কলিত হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দুইজন ইয়াহুদি নরনারীকে রজম করেছিলেন তারা বিবাহিত হওয়ার কারণে। আবু দাউদের বর্ণনায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, তিনি ইয়াহুদিদেরকে প্রশ্ন করেন, যদি বিবাহিত নারী-পুরুষ ব্যভিচার করে তাহলে তার বিষয়ে তাওরাতে কী বিধান দেওয়া আছে? আবু দাউদের বর্ণনা থেকে আরো বোঝা যায় যে, তিনি তাদেরকে ইসলামের আইনে রজম করেন নি। ইয়াহুদিদেরকে তাদের তাওরাতের আইনে রজম করেছিলেন; কারণ ইয়াহুদিরা তাঁকে পরীক্ষা করছিল । ইবন ইসহাকের সীরাত গ্রন্থে এর বিবরণ রয়েছে।
পরবর্তীকালে ইয়াহুদি, খ্রিস্টান বা অন্য কোনো অমুসলিমকে ইসলামি আইনে রজম করা যাবে না।
পরবর্তীকালে ইয়াহুদি, খ্রিস্টান বা অন্য কোনো অমুসলিমকে ইসলামি আইনে রজম করা যাবে না।
