ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার

১১. ইসলাম নির্ধারিত দন্ডবিধি

হাদীস নং: ১৭৮৬
হদ্দ বা শরীআতি শাস্তির মাধ্যমে কৃত অপরাধের আংশিক মার্জনা, পূর্ণ ক্ষমার জন্য তাওবার প্রয়োজন
(১৭৮৬) উবাদা ইবনুস সামিত রা. বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে এক মজলিসে বসে ছিলাম। এমতাবস্থায় তিনি বলেন, তোমরা আমার কাছে বাইআত-প্রতিজ্ঞা করো যে, তোমরা আল্লাহর সাথে কোনো কিছুকে শরীক করবে না, ব্যভিচার করবে না, চুরি করবে না ও আল্লাহ যে জীবনকে সম্মানিত করেছেন সে জীবন তোমরা আইনানুগ পদ্ধতি ছাড়া হত্যা করবে না । তোমাদের মধ্যে যে এই প্রতিজ্ঞাগুলো পালন করবে তার পুরস্কার সে আল্লাহর নিকট লাভ করবে। আর যদি কোনো ব্যক্তি এ সকল পাপের মধ্যে কোনো পাপে লিপ্ত হয় এবং তাকে সে জন্য শাস্তি প্রদান করা হয় তবে সেই শাস্তি তার পাপের জন্য কাফফারা বা মার্জনা। আর যদি কেউ এগুলোর কোনো পাপে জড়িয়ে পড়ে, কিন্তু আল্লাহ তার অপরাধ গোপন করে রাখেন তবে তার বিষয়টি আল্লাহর উপরে ন্যস্ত। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাকে ক্ষমা করবেন এবং ইচ্ছা করলে তাকে শাস্তি দিবেন।
عن عبادة بن الصامت رضي الله عنه قال: كنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم في مجلس فقال: تبايعوني على أن لا تشركوا بالله شيئا ولا تزنوا ولا تسرقوا ولا تقتلوا النفس التي حرم الله إلا بالحق فمن وفى منكم فأجره على الله ومن أصاب شيئا من ذلك فعوقب به فهو كفارة له ومن أصاب شيئا من ذلك فستره الله عليه فأمره إلى الله إن شاء عفا عنه وإن شاء عذبه
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন
ফিকহুস সুনান - হাদীস নং ১৭৮৬ | মুসলিম বাংলা