ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার
৬. হজ্ব - উমরার অধ্যায়
হাদীস নং: ১৫৩৫
বিদায়ের সময় ও প্রত্যাবর্তনের সময় হাজিকে কী বলতে হবে
(১৫৩৫) ইবন উমার রা. থেকে বর্ণিত, একজন কিশোর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট আগমন করে বলে, আমি হজ্জের উদ্দেশ্যে এই দিকে বেরোনোর ইচ্ছা করছি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার সাথে হ্যাঁটেন এবং তাঁর মাথা তুলে তার দিকে তাকান এবং বলেন, হে যুবক, আল্লাহ তোমাকে তাকওয়ার পাথেয় দান করুন, তোমাকে কল্যাণের দিকে ধাবিত করুন এবং তোমার চিন্তা মিটিয়ে দিন। যখন সে ফিরে আসল তখন নবী (ﷺ) কে সালাম জানাল। তখন তিনি তার দিকে মাথা তুলে তাকালেন এবং বললেন, হে যুবক, আল্লাহ তোমার হজ্জ কবুল করুন, তোমার গোনাহ ক্ষমা করুন এবং তোমার ব্যয়িত সম্পদের সম্পূরক (সম্পদ) প্রদান করুন।
عن ابن عمر رضي الله عنهما قال: جاء غلام إلى النبي صلى الله عليه وسلم فقال: إني أريد هذه الناحية للحج قال: فمشى معه رسول الله صلى الله عليه وسلم فرفع رأسه إليه فقال: يا غلام زودك الله التقوى ووجهك في الخير وكفاك الهم فلما رجع سلم على النبي صلى الله عليه وسلم فرفع رأسه إليه فقال: يا غلام قبل الله حجك وكفر ذنبك وأخلف نفقتك
হাদীসের ব্যাখ্যা:
সাহাবী সফরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যাওয়ার আগে তিনি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এলেন। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য দু‘আ করলেন-
زَوَّدَكَ الله التَّقْوَى (আল্লাহ তোমাকে তাকওয়ার পাথেয় দান করুন)। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন ওই সাহাবীর পথখরচার প্রয়োজন নেই; তার প্রয়োজন দু'আর। তাই তিনি এ দু'আ করলেন। দু'আ করেছেন তাকওয়া সম্পর্কে। আল্লাহ তা'আলা যেন তাকে তাকওয়ার অধিকারী করেন। তাকওয়া মানে আল্লাহভীরুতা। অর্থাৎ আল্লাহ তা'আলার ভয়ে তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা। তাকওয়াকে পাথেয় বলা হয়েছে। বরং এটা উত্তম পাথেয়। যেমন কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে-
فَإِنَّ خَيْرَ الزَّادِ التَّقْوَى
‘বস্তুত তাকওয়াই উৎকৃষ্ট পাথেয়।’ (সূরা বাকারা (২), আয়াত ১৯৭)
কেননা বস্তুগত পাথেয় অর্থাৎ টাকা-পয়সা মানুষের ইহজীবন রক্ষার কাজে লাগে। ইহজীবন ক্ষণস্থায়ী। আখিরাতের জীবন স্থায়ী। সে স্থায়ী জীবন রক্ষার জন্য তাকওয়ার প্রয়োজন। কেননা তাকওয়া দ্বারা মানুষের ঈমান-আমল রক্ষা হয়। ঈমান-আমল রক্ষা হলে আখিরাতে মানুষ জাহান্নাম থেকে নাজাত পেয়ে জান্নাতের অধিকারী হয়। কাজেই বস্তুগত পাথেয়র চেয়ে তাকওয়ার পাথেয় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু'আপ্রার্থী সাহাবীর জন্য দু'আ করেছেন যেন আল্লাহ তা'আলা তাকে পুরোটা সফরে তাকওয়ার সঙ্গে রাখেন।
সফর থেকে ফিরে আসলে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে দু'আ করলেন তাতে আছে- وَغَفَرَ ذَنْبَكَ (আল্লাহ তোমার গুনাহ মাফ করুন)। অর্থাৎ তাকওয়ার পাথেয় থাকলে ভবিষ্যতে তোমার দ্বারা কোনও গুনাহ হবে না। কিন্তু অতীতের যে গুনাহ হয়ে গেছে তা থেকে তো মাফ পাওয়া দরকার। কেননা সে গুনাহ থেকে গেলে আখিরাতে মুক্তি পাওয়া কঠিন হয়ে যেতে পারে। তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার অতীত গুনাহর জন্য মাগফিরাতের দু'আ করেছেন যে, আল্লাহ তা'আলা তোমার অতীতের গুনাহসমূহ মাফ করে দিন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
এ হাদীছে হজ্জযাত্রীর জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে দু'আটি করেছেন, আমরাও সে দু'আ করতে পারি।
زَوَّدَكَ الله التَّقْوَى (আল্লাহ তোমাকে তাকওয়ার পাথেয় দান করুন)। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন ওই সাহাবীর পথখরচার প্রয়োজন নেই; তার প্রয়োজন দু'আর। তাই তিনি এ দু'আ করলেন। দু'আ করেছেন তাকওয়া সম্পর্কে। আল্লাহ তা'আলা যেন তাকে তাকওয়ার অধিকারী করেন। তাকওয়া মানে আল্লাহভীরুতা। অর্থাৎ আল্লাহ তা'আলার ভয়ে তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা। তাকওয়াকে পাথেয় বলা হয়েছে। বরং এটা উত্তম পাথেয়। যেমন কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে-
فَإِنَّ خَيْرَ الزَّادِ التَّقْوَى
‘বস্তুত তাকওয়াই উৎকৃষ্ট পাথেয়।’ (সূরা বাকারা (২), আয়াত ১৯৭)
কেননা বস্তুগত পাথেয় অর্থাৎ টাকা-পয়সা মানুষের ইহজীবন রক্ষার কাজে লাগে। ইহজীবন ক্ষণস্থায়ী। আখিরাতের জীবন স্থায়ী। সে স্থায়ী জীবন রক্ষার জন্য তাকওয়ার প্রয়োজন। কেননা তাকওয়া দ্বারা মানুষের ঈমান-আমল রক্ষা হয়। ঈমান-আমল রক্ষা হলে আখিরাতে মানুষ জাহান্নাম থেকে নাজাত পেয়ে জান্নাতের অধিকারী হয়। কাজেই বস্তুগত পাথেয়র চেয়ে তাকওয়ার পাথেয় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু'আপ্রার্থী সাহাবীর জন্য দু'আ করেছেন যেন আল্লাহ তা'আলা তাকে পুরোটা সফরে তাকওয়ার সঙ্গে রাখেন।
সফর থেকে ফিরে আসলে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে দু'আ করলেন তাতে আছে- وَغَفَرَ ذَنْبَكَ (আল্লাহ তোমার গুনাহ মাফ করুন)। অর্থাৎ তাকওয়ার পাথেয় থাকলে ভবিষ্যতে তোমার দ্বারা কোনও গুনাহ হবে না। কিন্তু অতীতের যে গুনাহ হয়ে গেছে তা থেকে তো মাফ পাওয়া দরকার। কেননা সে গুনাহ থেকে গেলে আখিরাতে মুক্তি পাওয়া কঠিন হয়ে যেতে পারে। তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার অতীত গুনাহর জন্য মাগফিরাতের দু'আ করেছেন যে, আল্লাহ তা'আলা তোমার অতীতের গুনাহসমূহ মাফ করে দিন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
এ হাদীছে হজ্জযাত্রীর জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে দু'আটি করেছেন, আমরাও সে দু'আ করতে পারি।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
