ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার
৩. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১১০১
মৃতকে গোসল করানো ও কাফন পরানোর বিস্তারিত বিবরণ
(১১০১) তাবিয়ি আবু সালামা বলেন, আমি আয়িশা রা.কে প্রশ্ন করলাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে কয়টি কাপড় দিয়ে কাফন পরানো হয়? তিনি বলেন, তিনটি সাদা সুতি কাপড়।
عن أبي سلمة أنه قال: سألت عائشة رضي الله عنها في كم كفن رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالت: في ثلاثة أثواب سحولية... ليس فيها قميص ولا عمامة
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এখানে হাদীসটি সংক্ষিপ্ত আকারে আনা হয়েছে। অন্যান্য বর্ণনার আলোকে নিম্নে পূর্ণাঙ্গ হাদীস ও তার ব্যাখ্যা পেশ করা হলো।
উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তিনটি সাদা সুতি সাহূলী কাপড় দ্বারা কাফন পরানো হয়েছে। তাতে কামীস ও পাগড়ি ছিল না।
এ হাদীছটিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাফনের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, তাঁকে সাদা সাহূলী কাপড় দ্বারা কাফন দেওয়া হয়েছে। সাহূল ইয়ামানের একটি জায়গার নাম। সেকালে কাপড় তৈরির জন্য জায়গাটি বিখ্যাত ছিল। সেখানকার তৈরি কাপড়কে সাহূলী কাপড় বলা হত। হাদীছটিতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাফনে তিনটি কাপড় ব্যবহৃত হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে এ কথাও বলা হয়েছে যে, তাতে কামীস (জামা) ও পাগড়ি ছিল না। মায়্যিতের কাফনে তিনটি কাপড় ব্যবহার সম্পর্কে সকলেই একমত। তবে তাতে কামীস থাকবে কি না, এ বিষয়ে মতভিন্নতা আছে। হানাফী মাযহাব অনুযায়ী তিনটি কাপড়ের একটি হল কামীস। অন্যদু'টি হল ইযার ও লিফাফা। আলোচ্য হাদীছটি বাহ্যত হানাফী মতের পরিপন্থি মনে হয়। প্রকৃতপক্ষে পরিপন্থি নয়। কারণ এতে যে কামীস ছিল না বলা হয়েছে, তার মানে জীবিতরা যেরকম কামীস বা জামা পরে, মায়্যিতের কামীস সেরকম নয়। মায়্যিতের কামীসে কলি, হাতা ও সেলাই থাকে না। কেবল মাথা ঢোকানোর জন্য একটা ফোকর থাকে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যে কামীস পরানো হয়েছিল, খুবসম্ভব তা এরকমই ছিল। জীবিতদের কামীসের মতো ছিল না। সে হিসেবেই হাদীছটিতে কামীস না থাকার কথা বলা হয়েছে। এরকম ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন এজন্য যে, অন্যান্য বর্ণনায় তাঁর কাফনের মধ্যে কামীস থাকার কথা বলা হয়েছে। এক বর্ণনায় আছে কামীস নেই, অপর বর্ণনায় আছে কামীস ছিল। বাহ্যত এটা সাংঘর্ষিক। এর সমাধান এভাবে হতে পারে যে, কামীস ছিল না মানে জীবিতদের জামার মতো জামা ছিল না। আর কামীস থাকার মানে সেলাই ও হাতাবিহীন জামা।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
মায়্যিতকে তিনটি কাপড় দিয়ে কাফন পরাতে হয়। তা সাদা হওয়া উত্তম।
উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তিনটি সাদা সুতি সাহূলী কাপড় দ্বারা কাফন পরানো হয়েছে। তাতে কামীস ও পাগড়ি ছিল না।
এ হাদীছটিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাফনের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, তাঁকে সাদা সাহূলী কাপড় দ্বারা কাফন দেওয়া হয়েছে। সাহূল ইয়ামানের একটি জায়গার নাম। সেকালে কাপড় তৈরির জন্য জায়গাটি বিখ্যাত ছিল। সেখানকার তৈরি কাপড়কে সাহূলী কাপড় বলা হত। হাদীছটিতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাফনে তিনটি কাপড় ব্যবহৃত হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে এ কথাও বলা হয়েছে যে, তাতে কামীস (জামা) ও পাগড়ি ছিল না। মায়্যিতের কাফনে তিনটি কাপড় ব্যবহার সম্পর্কে সকলেই একমত। তবে তাতে কামীস থাকবে কি না, এ বিষয়ে মতভিন্নতা আছে। হানাফী মাযহাব অনুযায়ী তিনটি কাপড়ের একটি হল কামীস। অন্যদু'টি হল ইযার ও লিফাফা। আলোচ্য হাদীছটি বাহ্যত হানাফী মতের পরিপন্থি মনে হয়। প্রকৃতপক্ষে পরিপন্থি নয়। কারণ এতে যে কামীস ছিল না বলা হয়েছে, তার মানে জীবিতরা যেরকম কামীস বা জামা পরে, মায়্যিতের কামীস সেরকম নয়। মায়্যিতের কামীসে কলি, হাতা ও সেলাই থাকে না। কেবল মাথা ঢোকানোর জন্য একটা ফোকর থাকে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যে কামীস পরানো হয়েছিল, খুবসম্ভব তা এরকমই ছিল। জীবিতদের কামীসের মতো ছিল না। সে হিসেবেই হাদীছটিতে কামীস না থাকার কথা বলা হয়েছে। এরকম ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন এজন্য যে, অন্যান্য বর্ণনায় তাঁর কাফনের মধ্যে কামীস থাকার কথা বলা হয়েছে। এক বর্ণনায় আছে কামীস নেই, অপর বর্ণনায় আছে কামীস ছিল। বাহ্যত এটা সাংঘর্ষিক। এর সমাধান এভাবে হতে পারে যে, কামীস ছিল না মানে জীবিতদের জামার মতো জামা ছিল না। আর কামীস থাকার মানে সেলাই ও হাতাবিহীন জামা।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
মায়্যিতকে তিনটি কাপড় দিয়ে কাফন পরাতে হয়। তা সাদা হওয়া উত্তম।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
