আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৮- নামাযের ওয়াক্তের বিবরণ

হাদীস নং: ৫৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫৭১
৩৭৫। ঘুম প্রবল হলে ইশার আগে ঘুমানো।
৫৪৪। ইবনে জুরাইজ (রাহঃ) বলেন, এ বিষয়ে আমি আতা (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, আমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, এক রাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইশার নামায আদায় করতে দেরী করেছিলেন, এমন কি লোকজন একবার ঘুমিয়ে জেগে উঠল, আবার ঘুমিয়ে পড়ে জাগ্রত হল। তখন উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) উঠে গিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বললেন, ‘নামায’।
আতা (রাহঃ) বলেন যে, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন, তারপর আল্লাহর নবী (ﷺ) বেরিয়ে এলেন-যেন এখনো আমি তাঁকে দেখছি- তাঁর মাথা থেকে পানি টপকে পড়ছিল এবং তাঁর হাত মাথার উপর ছিল। তিনি এসে বললেনঃ যদি আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর হবে বলে মনে না করতাম, তাহলে তাদেরকে এভাবে (বিলম্ব করে) ইশার নামায আদায় করার নির্দেশ দিতাম।
ইবনে জুরাইজ (রাহঃ) বলেন, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর বর্ণনা অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে মাথায় হাত রেখেছিলেন তা কিভাবে রেখেছিলেন, বিষয়টি সুস্পষ্ট করে ব্যাখ্যা করার জন্য আতা (রাহঃ)-কে বললাম। আতা (রাহঃ) তাঁর আঙ্গুলগুলো সামান্য ফাঁকা করলেন, তারপর সেগুলোর অগ্রভাগ সম্মুখ দিক থেকে (চুলের অভ্যন্তরে) প্রবেশ করালেন। তারপর আঙ্গুলীগুলো একত্রিত করে মাথার উপর দিয়ে এভাবে টেনে নিলেন যে, তার বৃদ্ধাঙ্গুলী কানের সে পার্শ্বকে স্পর্শ করে গেল যা মুখমণ্ডল সংলগ্ন চোয়ালের হাড্ডির উপর শ্মশ্রুর পাশে অবস্থিত। নবী (ﷺ) চুলের পানি ঝরাতে কিংবা চুল চাপড়াতে এরূপই করতেন। এবং তিনি বলেছিলেনঃ যদি আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর হবে বলে মনে না করতাম, তাহলে তাদেরকে এভাবেই (বিলম্ব করে) নামায আদায় করার নির্দেশ দিতাম।
باب النَّوْمِ قَبْلَ الْعِشَاءِ لِمَنْ غُلِبَ
قَالَ** ابْنُ جُرَيْجٍ: قُلْتُ لِعَطَاءٍ:
571 - وَقَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ: أَعْتَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةً بِالعِشَاءِ، حَتَّى رَقَدَ النَّاسُ وَاسْتَيْقَظُوا، وَرَقَدُوا وَاسْتَيْقَظُوا، فَقَامَ عُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ فَقَالَ: الصَّلاَةَ - قَالَ عَطَاءٌ: قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ -: فَخَرَجَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهِ الآنَ، يَقْطُرُ رَأْسُهُ مَاءً، وَاضِعًا يَدَهُ عَلَى رَأْسِهِ، فَقَالَ: «لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي، لَأَمَرْتُهُمْ أَنْ يُصَلُّوهَا هَكَذَا» فَاسْتَثْبَتُّ عَطَاءً كَيْفَ وَضَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى رَأْسِهِ يَدَهُ، كَمَا أَنْبَأَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ فَبَدَّدَ لِي عَطَاءٌ بَيْنَ أَصَابِعِهِ شَيْئًا مِنْ تَبْدِيدٍ، ثُمَّ وَضَعَ أَطْرَافَ أَصَابِعِهِ عَلَى قَرْنِ الرَّأْسِ، ثُمَّ ضَمَّهَا يُمِرُّهَا كَذَلِكَ عَلَى الرَّأْسِ، حَتَّى مَسَّتْ إِبْهَامُهُ طَرَفَ الأُذُنِ، مِمَّا يَلِي الوَجْهَ عَلَى الصُّدْغِ، وَنَاحِيَةِ اللِّحْيَةِ، لاَ يُقَصِّرُ وَلاَ يَبْطُشُ إِلَّا كَذَلِكَ، وَقَالَ: «لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لَأَمَرْتُهُمْ أَنْ يُصَلُّوا هَكَذَا»

** قوله قال بن جريج هو بالإسناد الذي قبله وهو محمود عن عبد الرزاق عن بن جريج ووهم من زعم أنه معلق وقد أخرجه عبد الرزاق في مصنفه بالإسنادين وأخرجه من طريقه الطبراني وعنه أبو نعيم في مستخرجه كما في فتح الباري.
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন