আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৬৩- পোষাক-পরিচ্ছদের বর্ণনা

হাদীস নং: ৫৪২০
আন্তর্জতিক নং: ৫৮৩৮

পরিচ্ছেদঃ ৩০৮৭. কাসসী পরিধান করা।
আসিম আবু বুরদা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি আলী (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘কাসসী’ কী? তিনি বললেন, এটা এক প্রকার কাপড়, যা শাম (সিরিয়া) অথবা মিশর থেকে আমাদের দেশে আমদানী হয়ে থাকে। তার চওড়া দিক থেকে নকশা করা হয়, তাতে রেশম থাকে এবং উৎরুনজের মত তা কারুকার্যখচিত হয়। আর মীসারা এমন বস্ত্র, যা স্ত্রীলোকেরা তাদের স্বামীদের জন্য প্রস্তুত করে, মখমলের চাদরের মত তা হলুদ বর্ণের করা হয়ে থাকে।
জারীর ইয়াযীদ থেকে বর্ণনা করেন, -তাঁর বর্ণনায় আছে- কাসসী হল নকশাদার কাপড়, যা মিশর থেকে আমদানী হয়, তাতে রেশম থাকে। আর মীছারা হলো হিংস্র জন্তুর চামড়া (দিয়ে বুনা কাপড়)।
আবু আব্দুল্লাহ বুখারী বলেন, মীছারার সংজ্ঞায় আসিমের বর্ণনা অধিকতর বিশুদ্ধ।

৫৪২০। মুহাম্মাদ ইবনে মুকাতিল (রাহঃ) ......... বারা' ইবনে আযিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) আমাদের লাল রংয়ের মীছারা ও কাসসী পরতে নিষেধ করেছেন।

হাদীসের ব্যাখ্যাঃ

বিভিন্ন রেশমী পোশাকের নিষেধাজ্ঞা وعن المياثر الحمر এবং (তিনি নিষেধ করেছেন) লাল মায়াছির ব্যবহার করতে”। ইমাম নববী রহ. "المياثر -এর ব্যাখ্যা করেছেন যে, এ শব্দটি ميثرة এর বহুবচন। এটা একরকম গদি। রেশম দ্বারা তৈরি করা হয়। ভেতরে তুলা বা অন্যকিছুর পুর দেওয়া হয়। এটা উট, গাধা ইত্যাদি বাহনের পিঠে রেখে আরোহী তার উপর বসে। হাদীছে বিশেষভাবে লাল মায়াছির নিষেধ করা হয়েছে এ কারণে যে, অনারব জাতির বিভিন্ন লোক বিলাসিতা হিসেবে সাধারণত লাল মায়াছির ব্যবহার করে থাকে। প্রকৃতপক্ষে রেশমের তৈরি সব মায়াছিরই হারাম, তা যে রঙেরই হোক। وعن القسي এবং (নিষেধ করেছেন) কাস্সী ব্যবহার করতে'। ইমাম নববী রহ. বলেন, এটা রেশম ও তুলার সুতায় বোনা একরকম কাপড়। এরূপ কাপড়ও ব্যবহার করা নাজায়েয, যদি রেশমের পরিমাণ সুতা অপেক্ষা বেশি হয়। 'কাস্স' মিসরের একটি জায়গার নাম। এ কাপড় বেশিরভাগ সেখানে তৈরি হত। তাই একে 'কাস্সী' বলা হয়। কেউ বলেছেন, قس (কাস্‌স) মূলত قز (কাযয)-এর পরিবর্তিত রূপ। কাযয মানে নিম্নমানের রেশম।


tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক নিষ্প্রয়োজন

সহীহ বুখারী - হাদীস নং ৫৪২০ | মুসলিম বাংলা