ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার

৩. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ৬০৭
কুরআনের সূরা ও আয়াতের পরম্পরা উল্টে পাঠ করা
(৬০৭) তাবিয়ি আব্দুল্লাহ ইবন শাকীক (১০৮ হি.) বলেন, তাবিয়ি আহনাফ ইবন কাইস (মৃ: ৬৭ হি.) আমাদেরকে ইমামতি করে সালাত আদায় করান । তিনি প্রথম রাকআতে সূরা কাহাফ (১৮ নং সূরা) ও দ্বিতীয় রাকআতে সূরা ইউনূস (১০ নং সূরা) পাঠ করেন। আহনাফ বলেন যে, তিনি উমার রা.র সাথে ফজরের সালাত আদায় করেন, তখন উমার এভাবে এই দুই সূরা দিয়ে সালাত আদায় করেন।
عن عبد الله بن شقيق قال: صلى بنا الأحنف بالكهف في الأولى وفي الثانية بيونس وزعم أنه صلى مع عمر رضي الله عنه الصبح بهما

হাদীসের ব্যাখ্যা:

গ্রন্থকার রাহ. বলেন, এই হাদীসকে জায়িযের বর্ণনা হিসাবে ধরতে হবে। অর্থাৎ এভাবে উল্টে সূরা পাঠ করা জায়িয। তবে মুসতাহাব ও উত্তম হল কুরআন কারীমের সূরার পরম্পরা রক্ষা করা। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ইন্তিকালের পরের বছর আবু বাকর রা. কুরআন কারীম একত্র সঙ্কলিত করেন। এর ২০ বছর পরে উসমান রা. সকল সাহাবির ঐকমত্যের ভিত্তিতে আবু বাকর সঙ্কলিত পরম্পরার আলোকে কুরআনের সূরাগুলোর এভাবে তারতীব বা পরম্পরা প্রদান করেন । সাধারণভাবে কুরআন তিলাওয়াত এই পরম্পরার উপরেই করতে হবে। সম্ভবত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নির্দেশের আলোকেই সাহাবিগণ এই পরম্পরা নির্ধারণ করেছেন। ফরয সালাতে এই পরম্পরা রক্ষা করা উত্তম। তবে নফল সালাতের বিষয় অত্যন্ত প্রশস্ত।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ফিকহুস সুনান - হাদীস নং ৬০৭ | মুসলিম বাংলা