ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার

৩. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ৫৮২
যুহর ও আসরের সালাতে কুরআন পাঠ
(৫৮২) আবু সায়ীদ খুদরি রা. বলেন, আমরা যুহরে ও আসরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর দাঁড়িয়ে থাকার সময় আন্দায করতাম। তখন আমরা আন্দায করলাম যে, তিনি যুহরের প্রথম দুই রাকআতে 'আলিফ লাম মীম তানযীল, আস-সাজদা' বা সূরা সাজদা** পাঠের পরিমাণ সময় দাঁড়িয়ে থাকতেন । দ্বিতীয় বর্ণনায় তিনি বলেন, তিনি ৩০টি আয়াত পাঠ করতে যত সময় লাগে ততক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতেন। আর আমরা আন্দায করলাম যে, যুহরের শেষ দুই রাকআতে তিনি এর অর্ধেক পরিমাণ সময় দাঁড়াতেন। আমরা আসরের প্রথম দুই রাকআতে তাঁর দাঁড়ানোর সময় আন্দায করে দেখলাম তিনি যুহরের শেষ দুই রাকআতে যে পরিমাণ দাঁড়ান আসরের প্রথম দুই রাকআতেও সেই পরিমাণ দাঁড়ান। আর আসরের শেষ দুই রাকআতে এর অর্ধেক পরিমাণ দাঁড়ান।
عن أبي سعيد الخدري رضي الله عنه قال: كنا نحزر قيام رسول الله صلى الله عليه وسلم في الظهر والعصر فحزرنا قيامه في الركعتين الأوليين من الظهر قدر قراءة (الم تنزيل السجدة) وحزرنا قيامه في الأخريين قدر النصف من ذلك وحزرنا قيامه في الركعتين الأوليين من العصر على قدر قيامه في الأخريين من الظهر وفي الأخريين من العصر على النصف من ذلك، وفي رواية قال: قدر ثلاثين آية

হাদীসের ব্যাখ্যা:

রসূল স. যোহরের নামাযে আলিফ লাম মীম সিজদা বা ভিন্ন বর্ণনা অনুযায়ী ৩০ আয়াত বিশিষ্ট ছূরা তিলাওয়াত করেছেন। আর এটা তিওয়ালে মুফাছ্‌ছাল (হুজুরাত থেকে বুরুজ পর্যন্ত)-এর সমপরিমাণ বা তার কাছাকাছি হয়। আর আসরের নামাযে তিনি যোহরের অর্ধেক পরিমাণ তিলাওয়াত করেছেন যা আওসাতে মুফাছ্‌ছাল (ত্বরিক থেকে বায়্যিনাহ পর্যন্ত)-এর সমপরিমাণ হয়। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, যোহরের নামাযের উত্তম কিরাত হলো তিওয়ালে মুফাছ্‌ছাল। আর আসরের নামাযের উত্তম কিরাত হলো আওসাতে মুফাছ্‌ছাল। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৪৯২) এর বিপরীতে মুসলিম শরীফের ৯১৩ নং হাদীসে বর্ণিত আছে যে, রসূলুলস্নাহ স. যোহরের নামাযে ছূরা আল-লাইল পড়তেন। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, তিনি যোহরের নামাযে আওসাতে মুফাছ্‌ছাল (ত্বরিক থেকে বায়্যিনাহ পর্যন্ত) পড়তেন। এটাও আমল করা যেতে পারে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন