ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার

৩. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ৪৫৫
প্রত্যেক উঠানামার সময় তাকবীর বলা, রুকু থেকে উঠতে ‘সামিআল্লাহু...’ বলা এবং ইমামের জন্য সেগুলো সশব্দে বলার বিধান
(৪৫৫) আনাস ইবন মালিক রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ইমাম বানানো হয়েছে অনুসরণ করার জন্য। অতএব যখন ইমাম আল্লাহু আকবার' বলবে তখন তোমরা 'আল্লাহু আকবার' বলবে। যখন ইমাম সাজদা করবে তখন তোমরা সাজদা করবে। যখন ইমাম উঠবে তখন তোমরা উঠবে। যখন ইমাম ‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ' (যে ব্যক্তি প্রশংসা করে আল্লাহ তাকে শুনেন) বলবে তখন তোমরা বলবে, 'রাব্বানা, ওয়া লাকাল হামদ' (হে আমাদের প্রভু, এবং আপনার জন্যই প্রশংসা)।
عن أنس بن مالك رضي الله عنه مرفوعا: إنما جعل الإمام ليؤتم به فإذا كبر فكبروا وإذا سجد فاسجدوا وإذا رفع فارفعوا وإذا قال سمع الله لمن حمده فقولوا: ربنا ولك الحمد

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, একাকী নামাযী রুকু থেকে উঠার সময় سَمِعَ الله لِمَنْ حَمِدَهُ এবং রুকু থেকে দাঁড়িয়ে رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ বলবে। ইমামও অনুরূপ বলবে। অবশ্য বুখারী শরীফের ৭৬০ নাম্বার হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, ইমাম শুধু سَمِعَ الله لِمَنْ حَمِدَهُ বলবেন। আর মুক্তাদীরা শুধু رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ বলবে। উভয় হাদীসের উপরই আমল করা যেতে পারে। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৪৯৭) বুখারী শরীফের ৭৬৩ নাম্বার হাদীসে বর্ণিত আছে যে, জনৈক সাহাবা রসূল স.-এর পেছনে নামায পড়ছিলেন। রসূল স. سَمِعَ الله لِمَنْ حَمِدَهُ বলে রুকু থেকে উঠলে তিনি বললেন, رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ নামায শেষে রসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করলেন, আমি ত্রিশজনেরও বেশী ফেরেশ্তাকে দেখলাম কে আগে এর সওয়াব লিখবে তা নিয়ে প্রতিযোগিতা করছে। এটাকেও আমরা ছুন্নাত আমল বলে বিশ্বাস করি। রসূল স. নিজে কখনো এ আমল করেছেন বলে আমার জানা নেই। অবশ্য, তাঁর প্রশংসাই আমলের জন্য যথেষ্ট।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন