ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার
৩. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৫৩
আযানের বিবরণ
(৩৫৩) আনাস ইবন মালিক রা. বলেন, বিলাল রা.কে নির্দেশ দেওয়া হয় আযান জোড়া করে বলতে এবং ইকামত বেজোড় করে বলতে ।
عن أنس بن مالك رضي الله عنه قال: أمر بلال أن يشفع الأذان وأن يوتر الإقامة. وزاد البخاري: إلا الإقامة يعني قد قامت الصلاة.
হাদীসের ব্যাখ্যা:
গ্রন্থকার রাহ. বলেন, আবু মাহযুরা রা.র হাদীসের ব্যাখ্যা সম্ভবত এইরূপ যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে ভালো করে শিক্ষা দানের জন্য শাহাদতের বাক্য দুইটিকে পুনরায় বলার নির্দেশ দেন। তিনি মনে করেন যে এইরূপ পুনরাবৃত্তি বা তারজী' আযানের অংশ। ইবন মাজাহ আবু মাহযুরার আযান শিক্ষার যে বিস্তারিত বিবরণ সঙ্কলন করেছেন তা থেকে এই কথাই বোঝা যায়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর এই মনে করাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন বা আপত্তি করেন নি ।
আর ইকামতের বাক্যগুলো বেজোড় বলার অর্থ কেউ কেউ মনে করেন যে, শব্দ বেজোড় করতে হবে বা দুইটি বাক্য একত্রে এক বাক্যের মতো বলতে হবে। অনেকে মনে করেন যে, আযানের ক্ষেত্রে তারজী' বা শাহাদাতাইনের পুনরাবৃত্তি করা (আযানের বাক্যগুলো উনিশবার বলা) ও পুনরাবৃত্তি ছাড়াই আযান দেওয়া (বাক্যগুলো পনেরোবার বলা) উভয় পদ্ধতিই জায়িয। অনুরূপভাবে ইকামতের ক্ষেত্রে ইকামতের শব্দগুলো জোড়ায় জোড়ায় (সতেরোবার) বলা বা বেজোড় (এগারোবার) বলা উভয়ই জায়িয। তবে আযানের ক্ষেত্রে পুনরাবৃত্তি না করা ও ইকামতের ক্ষেত্রে জোড়ায় বলা উত্তম। কারণ তাহাবি, দারাকুতনি ও আব্দুর রাযযাক সহীহ সনদে সঙ্কলিত করেছেন যে, বিলাল আযান ও ইকামত উভয় ক্ষেত্রে বাক্যগুলো জোড়ায় জোড়ায় বলতেন । দ্বিতীয়ত, আযানের স্বপ্নের বর্ণনায় পুনরাবৃত্তি ও বেজোড় বলার কথা উল্লেখ করা হয় নি। স্বপ্নের বিবরণে আযানে পুনরাবৃত্তি নেই এবং ইকামত জোড়ায় জোড়ায় বলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তৃতীয়ত, আব্দুল আযীয ইবন রুফাই বলেছেন, আমি শুনেছি আবু মাহযুরা রা. জোড়ায় জোড়ায় আযান দিয়েছেন এবং জোড়ায় জোড়ায় ইকামত দিয়েছেন। হাদীসটি তাহাবি সঙ্কলিত করেছেন। ইবনুত তুরকমানি হাদীসটিকে শক্তিশালী বলে গণ্য করেছেন। নীমাবি হাদীসটিকে হাসান বলে গণ্য করেছেন।
তিরমিযি, নাসায়ি, আবু দাউদ, ইবন মাজাহ, সহীহ ইবন হিব্বান ও অন্যান্য গ্রন্থে সঙ্কলিত সকল সহীহ বর্ণনায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, আবু মাহযুরা জোড়ায় জোড়ায় ইকামতের বাক্যগুলো বলতেন এবং তিনি ইকামতের বাক্যগুলো সতেরোবার বলতেন। [আবু দাউদ-৫০১ ও ৫০২; তিরমিযি ১৯২; ইবন মাজাহ-৭০৯; নাসায়ি ৬৩০; ইবন হিব্বান-১৬৮১; আহমাদ-১৫৩৮১] (অনুবাদক)
আর ইকামতের বাক্যগুলো বেজোড় বলার অর্থ কেউ কেউ মনে করেন যে, শব্দ বেজোড় করতে হবে বা দুইটি বাক্য একত্রে এক বাক্যের মতো বলতে হবে। অনেকে মনে করেন যে, আযানের ক্ষেত্রে তারজী' বা শাহাদাতাইনের পুনরাবৃত্তি করা (আযানের বাক্যগুলো উনিশবার বলা) ও পুনরাবৃত্তি ছাড়াই আযান দেওয়া (বাক্যগুলো পনেরোবার বলা) উভয় পদ্ধতিই জায়িয। অনুরূপভাবে ইকামতের ক্ষেত্রে ইকামতের শব্দগুলো জোড়ায় জোড়ায় (সতেরোবার) বলা বা বেজোড় (এগারোবার) বলা উভয়ই জায়িয। তবে আযানের ক্ষেত্রে পুনরাবৃত্তি না করা ও ইকামতের ক্ষেত্রে জোড়ায় বলা উত্তম। কারণ তাহাবি, দারাকুতনি ও আব্দুর রাযযাক সহীহ সনদে সঙ্কলিত করেছেন যে, বিলাল আযান ও ইকামত উভয় ক্ষেত্রে বাক্যগুলো জোড়ায় জোড়ায় বলতেন । দ্বিতীয়ত, আযানের স্বপ্নের বর্ণনায় পুনরাবৃত্তি ও বেজোড় বলার কথা উল্লেখ করা হয় নি। স্বপ্নের বিবরণে আযানে পুনরাবৃত্তি নেই এবং ইকামত জোড়ায় জোড়ায় বলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তৃতীয়ত, আব্দুল আযীয ইবন রুফাই বলেছেন, আমি শুনেছি আবু মাহযুরা রা. জোড়ায় জোড়ায় আযান দিয়েছেন এবং জোড়ায় জোড়ায় ইকামত দিয়েছেন। হাদীসটি তাহাবি সঙ্কলিত করেছেন। ইবনুত তুরকমানি হাদীসটিকে শক্তিশালী বলে গণ্য করেছেন। নীমাবি হাদীসটিকে হাসান বলে গণ্য করেছেন।
তিরমিযি, নাসায়ি, আবু দাউদ, ইবন মাজাহ, সহীহ ইবন হিব্বান ও অন্যান্য গ্রন্থে সঙ্কলিত সকল সহীহ বর্ণনায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, আবু মাহযুরা জোড়ায় জোড়ায় ইকামতের বাক্যগুলো বলতেন এবং তিনি ইকামতের বাক্যগুলো সতেরোবার বলতেন। [আবু দাউদ-৫০১ ও ৫০২; তিরমিযি ১৯২; ইবন মাজাহ-৭০৯; নাসায়ি ৬৩০; ইবন হিব্বান-১৬৮১; আহমাদ-১৫৩৮১] (অনুবাদক)
