ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার
৩. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৩২৯
ওয়াক্তের শুরুতেই সালাত আদায় করা
(৩২৯) ইবন মাসউদ রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, সর্বোত্তম কর্ম কী? তিনি বলেন, ওয়াক্তের শুরুতেই সালাত আদায় করা।
عن ابن مسعود رضي الله عنه قال: سألت رسول الله صلى الله عليه وسلم: أي الأعمال أفضل؟ قال: الصلاة في أول وقتها
হাদীসের ব্যাখ্যা:
১. গ্রন্থকার রাহ. বলেন, উপরের কোনো কোনো হাদীসে বলা হয়েছে আসর, ইশা, ফজর, গ্রীষ্মকালীন যুহর ইত্যাদি সালাত ওয়াক্ত শুরু হওয়ার কিছু পরে আদায় করা উত্তম। এই হাদীসে ওয়াক্তের শুরুতে সালাত আদায় উত্তম বলা হয়েছে। এ সকল হাদীসের সমন্বিত অর্থ হল, যে সালাতকে দেরি করে আদায়ের কোনো নির্দেশ দেওয়া হয় নি সেই সালাত ওয়াক্তের শুরুতেই আদায় করা উত্তম।
দ্বিতীয় বর্ণনায় ইবন মাসউদ রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: الصلاة لميقاتها وفي رواية الصلاة لوقتها 'সর্বোত্তম কর্ম সালাতকে তার ওয়াক্তমতো আদায় করা'। তিরমিযি এই বর্ণনা সহীহ বলে উল্লেখ করেছেন । এই বর্ণনা উপরের সমন্বিত অর্থ সমর্থন করে। আল্লাহই ভালো জানেন । [সুনান তিরমিযি, হাদীস-১৮৯৮; সহীহ বুখারি, হাদীস-৭৫৩৪]
২. এ হাদীছ দ্বারা নেক আমলের প্রতি সাহাবায়ে কেরামের আগ্রহ-উদ্দীপনার পরিচয় পাওয়া যায়। জানতে চাচ্ছেন, কোন আমল সবচে' শ্রেষ্ঠ। অর্থাৎ কোন আমল করলে আল্লাহ তাআলার বেশি নৈকট্য লাভ হবে। এ জিজ্ঞেস করার উদ্দেশ্য আল্লাহর কাছে যে আমল বেশি প্রিয় এবং যা দ্বারা তাঁর নৈকট্য বেশি লাভ হবে তাতে বেশি যত্নবান থাকা। দুনিয়াদারীতেও মানুষ সবচে' বেশি লাভজনক কাজ খোঁজে। সাহাবায়ে কেরামের অভ্যাস ছিল যে কাজ আখেরাতের পক্ষে বেশি লাভজনক তা জেনে নিয়ে তাতে বেশি বেশি মশগুল থাকা। এটা তাঁদের আখেরাতমুখী মানসিকতার পরিচায়ক।
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে জানালেন, ওয়াক্তমত নামায পড়া। অর্থাৎ ঈমানের পর ওয়াক্তমত নামায পড়া শ্রেষ্ঠতম আমল। এটাই আল্লাহ তাআলার কাছে সবচে' বেশি পসন্দ এবং এর দ্বারাই আল্লাহ তাআলার বেশি নৈকট্য লাভ করা যায়। অপর এক হাদীছে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন الصلاة خير موضوع، فمن استطاع أن يستكثر فليستكثر 'নামায আল্লাহপ্রদত্ত শ্রেষ্ঠতম কাজ। যার পক্ষে সম্ভব সে যেন তা বেশি বেশি করে।
ওয়াক্তমত নামায পড়া যখন শ্রেষ্ঠ আমল, তখন প্রত্যেকের উচিত পাঁচ ওয়াক্ত নামায ওয়াক্তমত আদায়ে সচেষ্ট থাকা। সতর্ক থাকা উচিত যাতে ইচ্ছাকৃতভাবে কোনও নামায কাযা না হয়ে যায়। ইচ্ছাকৃত নামায কাযা করা কবীরা গুনাহ। হাঁ, অসুস্থতা, ঘুম, শত্রুর হামলা বা অন্য কোনও গ্রহণযোগ্য ওযরের কারণে ওয়াক্তমত আদায় করতে না পারলে ভিন্ন কথা, তাতে গুনাহ নেই।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. ঈমানের পর নামাযই আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা বেশি প্রিয়। সুতরাং আমাদেরকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে এ আমলে মনোযোগী থাকতে হবে।
দ্বিতীয় বর্ণনায় ইবন মাসউদ রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: الصلاة لميقاتها وفي رواية الصلاة لوقتها 'সর্বোত্তম কর্ম সালাতকে তার ওয়াক্তমতো আদায় করা'। তিরমিযি এই বর্ণনা সহীহ বলে উল্লেখ করেছেন । এই বর্ণনা উপরের সমন্বিত অর্থ সমর্থন করে। আল্লাহই ভালো জানেন । [সুনান তিরমিযি, হাদীস-১৮৯৮; সহীহ বুখারি, হাদীস-৭৫৩৪]
২. এ হাদীছ দ্বারা নেক আমলের প্রতি সাহাবায়ে কেরামের আগ্রহ-উদ্দীপনার পরিচয় পাওয়া যায়। জানতে চাচ্ছেন, কোন আমল সবচে' শ্রেষ্ঠ। অর্থাৎ কোন আমল করলে আল্লাহ তাআলার বেশি নৈকট্য লাভ হবে। এ জিজ্ঞেস করার উদ্দেশ্য আল্লাহর কাছে যে আমল বেশি প্রিয় এবং যা দ্বারা তাঁর নৈকট্য বেশি লাভ হবে তাতে বেশি যত্নবান থাকা। দুনিয়াদারীতেও মানুষ সবচে' বেশি লাভজনক কাজ খোঁজে। সাহাবায়ে কেরামের অভ্যাস ছিল যে কাজ আখেরাতের পক্ষে বেশি লাভজনক তা জেনে নিয়ে তাতে বেশি বেশি মশগুল থাকা। এটা তাঁদের আখেরাতমুখী মানসিকতার পরিচায়ক।
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে জানালেন, ওয়াক্তমত নামায পড়া। অর্থাৎ ঈমানের পর ওয়াক্তমত নামায পড়া শ্রেষ্ঠতম আমল। এটাই আল্লাহ তাআলার কাছে সবচে' বেশি পসন্দ এবং এর দ্বারাই আল্লাহ তাআলার বেশি নৈকট্য লাভ করা যায়। অপর এক হাদীছে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন الصلاة خير موضوع، فمن استطاع أن يستكثر فليستكثر 'নামায আল্লাহপ্রদত্ত শ্রেষ্ঠতম কাজ। যার পক্ষে সম্ভব সে যেন তা বেশি বেশি করে।
ওয়াক্তমত নামায পড়া যখন শ্রেষ্ঠ আমল, তখন প্রত্যেকের উচিত পাঁচ ওয়াক্ত নামায ওয়াক্তমত আদায়ে সচেষ্ট থাকা। সতর্ক থাকা উচিত যাতে ইচ্ছাকৃতভাবে কোনও নামায কাযা না হয়ে যায়। ইচ্ছাকৃত নামায কাযা করা কবীরা গুনাহ। হাঁ, অসুস্থতা, ঘুম, শত্রুর হামলা বা অন্য কোনও গ্রহণযোগ্য ওযরের কারণে ওয়াক্তমত আদায় করতে না পারলে ভিন্ন কথা, তাতে গুনাহ নেই।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. ঈমানের পর নামাযই আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা বেশি প্রিয়। সুতরাং আমাদেরকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে এ আমলে মনোযোগী থাকতে হবে।
২. ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
