ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার
২. পাক-পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৪৮
বীর্যের বিধান
(২৪৮) আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রা. বলেন, কাপড়ে যদি বীর্য লাগে তাহলে তুমি একটি কাঠি বা ডাল দিয়ে তা সরিয়ে দেবে; কারণ তা থুথু, শ্লেষ্মা বা শিকনির পর্যায়ের।
عن ابن عباس رضي الله عنهما أنه قال في المني يصيب الثوب: امطه عنك …. يعود إذخر فإنما هو بمنزلة البصاق والمخاط
হাদীসের ব্যাখ্যা:
গ্রন্থকার রাহ. বলেন, সম্ভবত এই তুলনা খুঁচিয়ে পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে, পবিত্রতার ক্ষেত্রে নয়। অর্থাৎ এই তুলনা দ্বারা ইবন আব্বাস বোঝাচ্ছেন না যে, বীর্যও কফ, শ্লেষ্মা, থুথু ইত্যাদির ন্যায় পবিত্র। বরং তিনি সম্ভবত বোঝাচ্ছেন যে, কফ, শ্লেষ্মা ইত্যাদি যেমন শুকনো হলে কাঠি বা ডাল দিয়ে খুচিয়ে পরিষ্কার করা যায়, বীর্যও অনুরূপ। এ বিষয়ক সকল হাদীসের সমন্বয়ের জন্য এই অর্থ গ্রহণ করাই উচিত।
কোনো কোনো হাদীসে বীর্য ধোয়ার ও কোনো কোনো হাদীসে তা মুছে বা ডলে উঠানোর কথা বলা হয়েছে। এগুলোর সমন্বয়ের ক্ষেত্রে ফকীহগণ মতভেদ করেছেন। কোনো কোনো ফকীহ বীর্য অপবিত্র নয় বলে মনে করেছেন। তারা মোছা বা ডলার হাদীসগুলোর উপর নির্ভর করেছেন। তাদের মতে নাপাক হলে তা অবশ্যই ধুয়ে ফেলা জরুরি হত। যে সকল হাদীসে ধোওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেগুলোকে তারা মুসতাহাব নির্দেশ বলে গণ্য করেছেন। যেহেতু তা অপবিত্র নয় সেহেতু পরিচ্ছন্নতার জন্য মুছে ফেলতে হবে। ধোওয়া মুসতাহাব। ইমাম শাফিয়ি ও ইমাম আহমাদসহ অনেক ফকীহ এই মত পোষণ করেছেন। অপরদিকে ইমাম আবু হানীফা ও ইমাম মালিকসহ অন্য অনেক ফকীহ বীর্যকে নাপাক বলে গণ্য করেছেন। তারা ধোওয়ার নির্দেশনা জ্ঞাপক হাদীসগুলোর উপর নির্ভর করেছেন। বীর্য নাপাক না হলে তা অকারণে ধৌত করতে তিনি নির্দেশ দিতেন না বা তাঁর স্ত্রীগণ তা করতেন না। ইমাম মালিকের মতে পোশাকে বা দেহে বীর্য লাগলে সর্বাবস্থায় তা অবশ্যই ধৌত করতে হবে, তা শুষ্ক হোক বা তরল হোক। ইমাম আবু হানীফা বলেছেন যে, বীর্য নাপাক। তবে যদি শুকিয়ে যায় তাহলে তা ঘষে, ডলে বা মুছে উঠিয়ে দিলে পোশাক পবিত্র হয়ে যাবে। আর যদি তা আর্দ্র বা তরল হয় তাহলে তা অবশ্যই ধৌত করতে হবে। এভাবে তিনি এ বিষয়ক সকল হাদীসের মধ্যে সমন্বয় প্রদান করেছেন। (অনুবাদক)
কোনো কোনো হাদীসে বীর্য ধোয়ার ও কোনো কোনো হাদীসে তা মুছে বা ডলে উঠানোর কথা বলা হয়েছে। এগুলোর সমন্বয়ের ক্ষেত্রে ফকীহগণ মতভেদ করেছেন। কোনো কোনো ফকীহ বীর্য অপবিত্র নয় বলে মনে করেছেন। তারা মোছা বা ডলার হাদীসগুলোর উপর নির্ভর করেছেন। তাদের মতে নাপাক হলে তা অবশ্যই ধুয়ে ফেলা জরুরি হত। যে সকল হাদীসে ধোওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেগুলোকে তারা মুসতাহাব নির্দেশ বলে গণ্য করেছেন। যেহেতু তা অপবিত্র নয় সেহেতু পরিচ্ছন্নতার জন্য মুছে ফেলতে হবে। ধোওয়া মুসতাহাব। ইমাম শাফিয়ি ও ইমাম আহমাদসহ অনেক ফকীহ এই মত পোষণ করেছেন। অপরদিকে ইমাম আবু হানীফা ও ইমাম মালিকসহ অন্য অনেক ফকীহ বীর্যকে নাপাক বলে গণ্য করেছেন। তারা ধোওয়ার নির্দেশনা জ্ঞাপক হাদীসগুলোর উপর নির্ভর করেছেন। বীর্য নাপাক না হলে তা অকারণে ধৌত করতে তিনি নির্দেশ দিতেন না বা তাঁর স্ত্রীগণ তা করতেন না। ইমাম মালিকের মতে পোশাকে বা দেহে বীর্য লাগলে সর্বাবস্থায় তা অবশ্যই ধৌত করতে হবে, তা শুষ্ক হোক বা তরল হোক। ইমাম আবু হানীফা বলেছেন যে, বীর্য নাপাক। তবে যদি শুকিয়ে যায় তাহলে তা ঘষে, ডলে বা মুছে উঠিয়ে দিলে পোশাক পবিত্র হয়ে যাবে। আর যদি তা আর্দ্র বা তরল হয় তাহলে তা অবশ্যই ধৌত করতে হবে। এভাবে তিনি এ বিষয়ক সকল হাদীসের মধ্যে সমন্বয় প্রদান করেছেন। (অনুবাদক)
