মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
২৭. অসীয়ত ও ফারাইযের বর্ণনা
হাদীস নং: ৫১৮
অসীয়ত ও ফারাইয়ের বর্ণনা
হাদীস নং-৫১৮
হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন শাদ্দাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত,হযরত হামযা (রাযিঃ)-এর কন্যা একটি গোলাম আযাদ করেন। এরপর উক্ত গোলাম মৃত্যুবরণ করে এবং সে একটি কন্যা সন্তান রেখে যায়। তখন নবী করীম (ﷺ) তার কন্যাকে তার সম্পত্তির অর্ধাংশ প্রদান করেন এবং হামযা (রাযিঃ)-এর কন্যাকে বাকী অর্ধেক দান করেন।
হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন শাদ্দাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত,হযরত হামযা (রাযিঃ)-এর কন্যা একটি গোলাম আযাদ করেন। এরপর উক্ত গোলাম মৃত্যুবরণ করে এবং সে একটি কন্যা সন্তান রেখে যায়। তখন নবী করীম (ﷺ) তার কন্যাকে তার সম্পত্তির অর্ধাংশ প্রদান করেন এবং হামযা (রাযিঃ)-এর কন্যাকে বাকী অর্ধেক দান করেন।
عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ: أَنَّ ابْنَةً لِحَمْزَةَ أَعْتَقَتْ مَمْلُوكًا، فَمَاتَ، فَتَرَكَ ابْنَةً، فَأَعْطَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الِابْنَةَ النِّصْفَ، وَأَعْطَى ابْنَةَ حَمْزَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا النِّصْفَ "
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ গোলাম আযাদকারী মহিলা হযরত আবদুল্লাহ ইব্ন শাদ্দাদের কন্যার আত্মীয় ছিলেন। কারো কারো মতে আযাদকারী স্বয়ং হযরত হামযা (রা) ছিলেন। দারে কুতনীর বিওয়ায়েত দ্বারা এটাই প্রতীয়মান হয়। কিন্তু বিশুদ্ধ হলো এই যে, আযাদকারিণী ছিলেন তাঁর কন্যা, তিনি আযাদকারী ছিলেন না। সুতরাং হাদীসের দ্বারা এ মাসায়ালা প্রমাণিত হয় যে, مولى العتاقة যাকে আসাবায়ে সাবাবীয়া (عصبة سببيه) বলা হয়, আসাবা হওয়ার কারণেই উত্তরাধিকারের হকদার হয়ে থাকে। ذوى الأرحام এর উপর তাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়ে থাকে। অবশ্য عصبة سببية থেকে এর মর্যাদা একটু কম। এ ছাড়া বর্ণিত হাদীস দ্বারা এটাও প্রতীয়মান হয় যে, مولى العتاقة (আযাদকারী মনিব)-এর মধ্যে পুরুষ হোক বা নারী, সেই حق ولا বা আযাদকারী হিসেবে উত্তরাধিকার লাভ করবে।
