মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
২৭. অসীয়ত ও ফারাইযের বর্ণনা
হাদীস নং: ৫১৯
অসীয়ত ও ফারাইয়ের বর্ণনা
হাদীস নং-৫১৯
হযরত আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: যখন এ আয়াত নাযিল হলো :
إِنَّ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ أَمْوَالَ الْيَتَامَى ظُلْمًا إِنَّمَا يَأْكُلُونَ فِي بُطُونِهِمْ نَارًا وَسَيَصْلَوْنَ سَعِيرًا
“নিশ্চয়ই যারা অন্যায়ভাবে ইয়াতীমের সম্পদ খেয়ে থাকে অর্থাৎ ভোগ করে, তারা যেন তাদের পেটে অগ্নি খেল এবং তারা অচিরেই দোযখে প্রবেশ করবে।”
সুতরাং যারা ইয়াতীমের সম্পদ দেখাশোনা, রক্ষণাবেক্ষণ করে, তারা যেন সমস্ত মাল থেকে দূরে থাকে, এ মাল হিফাযত করা তাদের উপর কঠিন হয়ে যায়। কেননা তারা এ ব্যাপারে নিজের পাপে লিপ্ত হওয়ার ভয় করে। তখন আল্লাহ তা'আলা এ আয়াত নাযিল করেনঃ وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْيَتَامَى قُلْ إِصْلَاحٌ لَهُمْ خَيْرٌ وَإِنْ تُخَالِطُوهُمْ الآية তারা আপনার নিকট ইয়াতীমদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। আপনি তাদেরকে বলুন, তাদের জন্য মীমাংসা করা হলো উত্তম। যদি (ব্যয় ইত্যাদিতে) তাদের সাথে মিলে মিশে থাকে, তা হলে তারা তোমাদের ভাই।"
হযরত আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: যখন এ আয়াত নাযিল হলো :
إِنَّ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ أَمْوَالَ الْيَتَامَى ظُلْمًا إِنَّمَا يَأْكُلُونَ فِي بُطُونِهِمْ نَارًا وَسَيَصْلَوْنَ سَعِيرًا
“নিশ্চয়ই যারা অন্যায়ভাবে ইয়াতীমের সম্পদ খেয়ে থাকে অর্থাৎ ভোগ করে, তারা যেন তাদের পেটে অগ্নি খেল এবং তারা অচিরেই দোযখে প্রবেশ করবে।”
সুতরাং যারা ইয়াতীমের সম্পদ দেখাশোনা, রক্ষণাবেক্ষণ করে, তারা যেন সমস্ত মাল থেকে দূরে থাকে, এ মাল হিফাযত করা তাদের উপর কঠিন হয়ে যায়। কেননা তারা এ ব্যাপারে নিজের পাপে লিপ্ত হওয়ার ভয় করে। তখন আল্লাহ তা'আলা এ আয়াত নাযিল করেনঃ وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْيَتَامَى قُلْ إِصْلَاحٌ لَهُمْ خَيْرٌ وَإِنْ تُخَالِطُوهُمْ الآية তারা আপনার নিকট ইয়াতীমদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। আপনি তাদেরকে বলুন, তাদের জন্য মীমাংসা করা হলো উত্তম। যদি (ব্যয় ইত্যাদিতে) তাদের সাথে মিলে মিশে থাকে, তা হলে তারা তোমাদের ভাই।"
عَنِ الْهَيْثَمِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: " لَمَّا نَزَلَتْ: {إِنَّ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ أَمْوَالَ الْيَتَامَى ظُلْمًا إِنَّمَا يَأْكُلُونَ فِي بُطُونِهِمْ نَارًا وَسَيَصْلَوْنَ سَعِيرًا} [النساء: 10] عَدَلَ مَنْ كَانَ يَعُولُ أَمْوَالَ الْيَتَامَى، فَلَمْ يَقْرَبُوهَا وَشَقَّ عَلَيْهِمْ حِفْظُهَا، وَخَافُوا الْإِثْمَ عَلَى أَنْفُسِهِمْ، فَنَزَلَتِ الْآيَةُ، فَخَفَّفَ عَلَيْهِمْ: {وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْيَتَامَى قُلْ إِصْلاحٌ لَهُمْ خَيْرٌ وَإِنْ تُخَالِطُوهُمْ فَإِخْوَانُكُمْ} [البقرة: 220] الْآيَةُ "
হাদীসের ব্যাখ্যা:
আবূ দাউদে হযরত ইব্ন আব্বাস (রা) বর্ণিত হাদীসে এর আরো অতিরিক্ত ব্যাখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে যে, যখন আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কুরআনের এ আয়াত নাযিল করেন : وَلَا تَقْرَبُوا مَالَ الْيَتِيمِ إِلَّا بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ - إِنَّ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ أَمْوَالَ الْيَتَامَى ظُلْمًا الآية "তোমরা ইয়াতীমের ধনসম্পদের কাছেও যেয়ো না। হাঁ, তবে যা তাদের জন্য উত্তম এবং নিশ্চয়ই যারা অন্যায়ভাবে ইয়াতীমের মাল ভক্ষণ করে ......।"
তখন যার যার অভিভাবকত্বে কোন ইয়াতীম ছিল, তারা সেখানে গিয়ে ইয়াতীমদের পানাহার তাদের থেকে পৃথক করে ফেলে। সুতরাং যখন ইয়াতীমদের খাদ্যদ্রব্য অতিরিক্ত হয়ে যেত, তখন এভাবেই রেখে দিত তখন ইয়াতীমগণ তা খেয়ে ফেলত অথবা তা নষ্ট হয়ে যেত। কাজেই এ সংবাদ যখন আঁ হযরত (সা)-এর নিকট জানান হলো, তখন আল্লাহ্ পাক এ আয়াত নাযিল করেন: وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْيَتَامَى অতঃপর অভিভাবকগণ ইয়াতীমদেরকে তাদের পানাহারের মধ্যে শরীক করে নেয়।
তখন যার যার অভিভাবকত্বে কোন ইয়াতীম ছিল, তারা সেখানে গিয়ে ইয়াতীমদের পানাহার তাদের থেকে পৃথক করে ফেলে। সুতরাং যখন ইয়াতীমদের খাদ্যদ্রব্য অতিরিক্ত হয়ে যেত, তখন এভাবেই রেখে দিত তখন ইয়াতীমগণ তা খেয়ে ফেলত অথবা তা নষ্ট হয়ে যেত। কাজেই এ সংবাদ যখন আঁ হযরত (সা)-এর নিকট জানান হলো, তখন আল্লাহ্ পাক এ আয়াত নাযিল করেন: وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْيَتَامَى অতঃপর অভিভাবকগণ ইয়াতীমদেরকে তাদের পানাহারের মধ্যে শরীক করে নেয়।
