মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

২৬. পবিত্র কুরআনের তাফসীর অধ্যায়

হাদীস নং: ৫১৩
পবিত্র কুরআনের তাফসীর
হাদীস নং-৫১৩

আবু সালিহ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, আয়াতঃ لَابِثِينَ فِيهَا أَحْقَابًا ( সেখানে থাকবে তারা অনেক হুকবা) এক হুকবার পরিমাণ আশি বছর যার ছ'দিন দুনিয়ার সমস্ত দিনের সমান।
حَمَّادٌ: عَنْ أَبِيْهِ، عَنْ أَبِيْ عِصَامٍ، عَنْ أَبِيْ صَالِحٍ، قَالَ: اَلْحُقْبُ ثَمَانُوْنَ سَنَةً، مِنْهَا سِتَّةُ أَيَّامٍ عَدَدَ أَيَّامِ الدُّنْيَا.

হাদীসের ব্যাখ্যা:

মোল্লা আলী ক্বারী এ হাদীসের ব্যাখ্যায় লিখেছেন, হয়ত এ ছ'দিন দ্বারা আসমান ও যমীন সৃষ্টির ছ'দিন বুঝানো হয়েছে।পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছেঃ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ (তিনি ঐ পবিত্র সত্তা যিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলকে ছ’ দিনে তৈরি করেছেন।) অথবা দুনিয়ার সমগ্র বয়স ছ'দিনের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। কেননা রিওয়ায়েতের দৃষ্টিকোণ থেকে عمر دنيا সাত দিন মেনে নেয়া হয়েছে। প্রত্যেক দিন হবে এক হাযার বছরের এবং এরূপ বর্ণিত আছে যে, সর্বশেষে ঐ নাফরমান মুসলমান, যাকে দোযখ থেকে বের করা হবে, তাকে সাত হাযার বছর পর বের করা হবে। অর্থাৎ সে عمر دنيا বা দুনিয়ার সামগ্রিক বয়সের সমান শাস্তি ভোগ করবে এবং এরও হিসাব করা হবে যে, এটা আমাদের উম্মতের যে হাযার বছর সমাপ্ত হয়েছে, এটা যেন দুনিয়ার বয়সের এক-সপ্তমাংশ দিন ছিল। সুতরাং এ হিসেবে সাত দিনের উপর কিছু কম ধরা হবে, যেটা সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, পাঁচশ' থেকে অধিক ঘাটতি বা হ্রাস পাবে না। কিন্তু এটা অনুমানভিত্তিক, যার উপর পূর্ণাঙ্গ বিশ্বাস স্থাপন করা যায় না। এটা আল্লাহ্ পাকই ভাল জানেন যে, এ চলমান পৃথিবী আর কত দিন স্থায়ী হবে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান