মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
২৪. আহকাম (রাষ্ট্রনীতি) অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৯০
আহকামের বর্ণনা
হাদীস নং- ৪৯০
হযরত আবু বাকরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তাঁর পিতা তাঁর কাছে লিখেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এটা বলতে শুনেছেন, কোন হাকিম বা বিচারক ক্রোধের অবস্থায় ফয়সালা দেবে না।
হযরত আবু বাকরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তাঁর পিতা তাঁর কাছে লিখেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এটা বলতে শুনেছেন, কোন হাকিম বা বিচারক ক্রোধের অবস্থায় ফয়সালা দেবে না।
عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ أَبِيْ بَكْرَةٍ، أَنَّ أَبَاهُ كَتَبَ إِلَيْهِ، إِنَّهُ سَمِعَ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ: «لَا يَقْضِيْ الْحَاكِمُ وَهُوَ غَضْبَانِ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
বিচারকের জন্য এটা অতীব প্রয়োজন যে, কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়ার সময় তার মন ও মস্তিষ্ক ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় থাকতে হবে। কেননা তিনি যদি ভারসাম্যতা পরিত্যাগ করেন, তা হলে অবশ্যই তাঁর মতামত ও ফয়সালা হক ও ন্যায় থেকে দূরে সরে যাবে। ক্রোধের সময় মন ও মেজাজ থেকে ভারসাম্য হারিয়ে যায়। গরমে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। সুতরাং ফয়সালার মধ্যে ও কঠোরতা, রূঢ় মেজাজ ও রুক্ষতা সৃষ্টি হওয়াই বাঞ্ছনীয়। তাই এ অবস্থায় সিদ্ধান্ত দেয়া নিষিদ্ধ। সুতরাং ফকীহগণ এ প্রকৃতিগত বিধানের দৃষ্টিকোণ থেকে এ হাদীসের আওতায় এ অবস্থায় সিদ্ধান্ত ও ফয়সালা প্রদান করা অবৈধ বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং ঐ সময়ে যাতে মানুষের মন ও মস্তিষ্ক স্থির না থাকে। যেমন প্রচন্ড ক্ষুধার সময়, কষ্টদায়ক রোগের কারণে অস্থিরতার সময়, ভয়-ভীতির কারণে আতঙ্কের মধ্যে পতিত হলে, অত্যধিক আনন্দের সময়, নিদ্রারভাব বৃদ্ধি পেলে, মন ও মস্তিষ্কে চিন্তার উদ্রেক হলে, প্রস্রাব-পায়খানার চাপে অস্থির হলে, অত্যাধিক গরম ও উষ্ণতার কারণে অথবা অধিক শীতে কাতর হলে কোন সিদ্ধান্ত প্রদান করা জায়েয নয়।
