মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
২৪. আহকাম (রাষ্ট্রনীতি) অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৮৯
আহকামের বর্ণনা
হাদীস নং- ৪৮৯
হযরত বুরায়দা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: বিচারক (قاضى) তিন প্রকার। এর মধ্যে দু'প্রকার হবে দোযখবাসী। অর্থাৎ এক প্রকার হলো ঐ বিচারক যে কুরআন ও হাদীসের ইলম ব্যতীত মানুষের মধ্যে ফয়সালা দিয়ে থাকে এবং একজনকে অন্যজনের মাল নাহকভাবে ভোগের ব্যবস্থা করে দেয়। দ্বিতীয় ঐ বিচারক যে তার ইলম ত্যাগ করে (বা ভুলে যায়) এবং অন্যায়ভাবে ফয়সালা প্রদান করে। সুতরাং এ দু'প্রকার বিচারক দোযখবাসী হবে। অন্য এক প্রকার বিচারক যিনি আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী ফয়সালা প্রদান করবেন, তিনি হবেন বেহেশতবাসী।
হযরত বুরায়দা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: বিচারক (قاضى) তিন প্রকার। এর মধ্যে দু'প্রকার হবে দোযখবাসী। অর্থাৎ এক প্রকার হলো ঐ বিচারক যে কুরআন ও হাদীসের ইলম ব্যতীত মানুষের মধ্যে ফয়সালা দিয়ে থাকে এবং একজনকে অন্যজনের মাল নাহকভাবে ভোগের ব্যবস্থা করে দেয়। দ্বিতীয় ঐ বিচারক যে তার ইলম ত্যাগ করে (বা ভুলে যায়) এবং অন্যায়ভাবে ফয়সালা প্রদান করে। সুতরাং এ দু'প্রকার বিচারক দোযখবাসী হবে। অন্য এক প্রকার বিচারক যিনি আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী ফয়সালা প্রদান করবেন, তিনি হবেন বেহেশতবাসী।
عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِيهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " الْقُضَاةُ ثَلَاثَةٌ: قَاضِيَانِ فِي النَّارِ: قَاضٍ يَقْضِي فِي النَّاسِ بِغَيْرِ عِلْمٍ، وَيُوَكِّلُ بَعْضَهُمْ مَالَ بَعْضٍ، وَقَاضٍ يَتْرُكُ عَمَلَهُ وَيَقْضِي بِغَيْرِ الْحَقِّ، فَهَذَانِ فِي النَّارِ، وَقَاضٍ يَقْضِي بِكِتَابِ اللَّهِ تَعَالَى، فَهُوَ فِي الْجَنَّةِ "
হাদীসের ব্যাখ্যা:
আবু দাউদ, তিরমিযী, ইব্ন মাজাহ ও অন্যান্য কিভাবে সামান্য সংক্ষিপ্ত আকারে এ হাদীস বর্ণিত হয়েছে যে,
القضاة ثلاثة اثنان في النار وواحد في الجنة رجل علم الحق فقضى به فهو في الجنة ورجل قضى للناس على جهل فهو في النار ورجل عرف الحق فجار في الحق فهو في النار
“বিচারক তিন প্রকার দু প্রকার হবে দোযখবাসী এবং এক প্রকার বেহেশতবাসী। বেহেশতবাসী হবেন ঐ ব্যক্তি যিনি হক বা অধিকার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেছেন এবং তদনুযায়ী মীমাংসা প্রদান করেছেন। এছাড়া যে ব্যক্তি অজ্ঞতার সাথে লোকজনের মধ্যে ফয়সালা দান করে, সে হবে দোযখবাসী এবং যে ব্যক্তি হক বা অধিকার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেছে কিন্তু হক প্রদানে যুলুম করেছে, সেও দোযখবাসী হবে।”
যে ব্যক্তি হক ও ইনসাফ থেকে দূরে এবং এগুলো অজ্ঞ থেকে ফয়সালা করে, তা হলে সে নিজেও পথভ্রষ্ট হবে এবং অন্যকেও পথভ্রষ্ট করবে। এরূপ পথভ্রষ্ট ব্যক্তির শাস্তি দোযখেই হবে এবং যে জেনে বুঝে মন্দ কাজ করে, লোকজনকে পথভ্রষ্ট করে, ভুল ফয়সালা দেয়, এরূপ ব্যক্তি শুরু থেকেই বড় পাপী। কেননা ইলমকে গোপন করা একটি মারাত্মক পাপ যা তার দিকে স্বাভাবিকভাবেই আরোপিত হয় এবং যার শাস্তি স্বরূপ সে দোযখের উপযোগী হবে। তৃতীয় হলো, যে আল্লাহর কিতাবের বিধান অনুযায়ী ফয়সালা দিয়ে থাকে এবং লোকজনের মধ্যে আল্লাহর সত্য নির্দেশ জারী করে থাকে, দুনিয়াতে আল্লাহর সত্যিকার খিলাফতের ফরযসমূহ বাস্তবায়ন করে থাকে, এরূপ বিচারক (قاضى) বেহেশতের অধিকারী হবে।
القضاة ثلاثة اثنان في النار وواحد في الجنة رجل علم الحق فقضى به فهو في الجنة ورجل قضى للناس على جهل فهو في النار ورجل عرف الحق فجار في الحق فهو في النار
“বিচারক তিন প্রকার দু প্রকার হবে দোযখবাসী এবং এক প্রকার বেহেশতবাসী। বেহেশতবাসী হবেন ঐ ব্যক্তি যিনি হক বা অধিকার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেছেন এবং তদনুযায়ী মীমাংসা প্রদান করেছেন। এছাড়া যে ব্যক্তি অজ্ঞতার সাথে লোকজনের মধ্যে ফয়সালা দান করে, সে হবে দোযখবাসী এবং যে ব্যক্তি হক বা অধিকার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেছে কিন্তু হক প্রদানে যুলুম করেছে, সেও দোযখবাসী হবে।”
যে ব্যক্তি হক ও ইনসাফ থেকে দূরে এবং এগুলো অজ্ঞ থেকে ফয়সালা করে, তা হলে সে নিজেও পথভ্রষ্ট হবে এবং অন্যকেও পথভ্রষ্ট করবে। এরূপ পথভ্রষ্ট ব্যক্তির শাস্তি দোযখেই হবে এবং যে জেনে বুঝে মন্দ কাজ করে, লোকজনকে পথভ্রষ্ট করে, ভুল ফয়সালা দেয়, এরূপ ব্যক্তি শুরু থেকেই বড় পাপী। কেননা ইলমকে গোপন করা একটি মারাত্মক পাপ যা তার দিকে স্বাভাবিকভাবেই আরোপিত হয় এবং যার শাস্তি স্বরূপ সে দোযখের উপযোগী হবে। তৃতীয় হলো, যে আল্লাহর কিতাবের বিধান অনুযায়ী ফয়সালা দিয়ে থাকে এবং লোকজনের মধ্যে আল্লাহর সত্য নির্দেশ জারী করে থাকে, দুনিয়াতে আল্লাহর সত্যিকার খিলাফতের ফরযসমূহ বাস্তবায়ন করে থাকে, এরূপ বিচারক (قاضى) বেহেশতের অধিকারী হবে।
