মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
১৯. পানাহারের দ্রব্যাদি, কুরবানী, শিকার এবং যবেহ সম্পর্কে বর্ণনা
হাদীস নং: ৪২৪
নাবীয পান করা
হাদীস নং- ৪২৪
হযরত জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আঙ্গুর ও খেজুরের নাবীয এবং আধা পাকা ও পাকা খেজুর একত্রে মিলিয়ে নাবীয তৈরী করা থেকে নিষেধ করেছেন।
হযরত জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আঙ্গুর ও খেজুরের নাবীয এবং আধা পাকা ও পাকা খেজুর একত্রে মিলিয়ে নাবীয তৈরী করা থেকে নিষেধ করেছেন।
وَمِسْعَرٌ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: «نَهَى عَنْ نَبِيذِ الزَّبِيبِ وَالتَّمْرِ، وَالْبُسْرِ وَالتَّمْرِ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীস সহীহ হাদীস গ্রন্থে বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত আছে। বুখারী ও মুসলিম শরীফে আবি কাতাদা ইব্ন রিবঈ থেকে রিওয়ায়েত আছে যে, আধা পাকা ও পাকা খেজুর দ্বারা এবং পাকা খেজুর ও আঙ্গুর দিয়ে নাবীয তৈরি করো না। তবে পৃথক পৃথকভাবে এগুলো দ্বারা নাবীয তৈরি কারা জায়েয কিন্তু একত্রে জমা করে তা জায়েয নয়। এ বিধি-নিষেধ এ দৃষ্টিকোণ থেকে যে, একত্রে জমা করে তৈরি করার ফলে এর একটি খুব দ্রুত পরিবর্তন হয়ে এর মধ্যে মাদকতা সৃষ্টির যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকে এবং তা অন্য বস্তুর মধ্যে বিস্তার লাভ করতে পারে। কিন্তু অজ্ঞতার কারণে তখন হারাম বস্তু ব্যবহারের মধ্যে এসে যাবে। এজন্য এ পদ্ধতি নাজায়েয বলে স্থির করা হয়েছে। প্রকাশ থাকে যে, এ মাসয়ালার মধ্যেও মতপার্থক্য রয়েছে।
ইমাম আবু হানীফা ও ইমাম আবূ ইউসূফের মতে এ মিশ্রিত নাবীযের মধ্যে যদি নেশা সৃষ্টি না হয়, তা হলে এটা ব্যবহার করা জায়েয়। ইমাম শাফিঈ, ইমাম মালিক এবং ইমাম আহমদের মতে নেশা সৃষ্টি হোক বা না হোক, হাদীসের বাহ্যিক দৃষ্টিতে এটা হারাম। হানাফীদের মধ্যে ইমাম মুহাম্মদ উক্ত তিন আয়িম্মার সাথে একমত অর্থাৎ হারাম হওয়ার পক্ষেই তিনি মত প্রকাশ করেছেন। হারামের পক্ষে মতামত প্রদানকারীদের দলীল হলো বর্ণিত হাদীসসহ অন্যান্য হাদীস। হানাফীদের মতে এখানেও ফতওয়া হলো ইমাম মুহাম্মদের মতের উপর। ইমাম আবু হানীফা (র) নিষেধাজ্ঞার হাদীসসমূহ ইসলামের প্রাথমিক অবস্থার উপর আরোপ করেন। যখন দরিদ্রতার কারণে মুসলমানদের অবস্থা এরূপ ছিল যে, আমীরদের উপর একই সময় দুটি বস্তু ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল- যাতে দরিদ্রগণ দ্বিতীয়টি ব্যবহার করতে পারে এবং এটা যাতে না হতে পারে যে, কেউ দুটি ব্যবহার করবে আবার কেউ একটি থেকেও বঞ্চিত হবে। ইসলামের প্রাথমিক যুগে কয়েকটি বস্তুর ব্যাপারে এ বিধান জারী হয়েছিল। কারণ হিসেবে তারা এ হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করে থাকেন। ইমাম মুহাম্মদ 'কিতাবুল আসারে' উল্লেখ করেন, ইব্ন যিয়াদ বলেন, আমি হযরত ইব্ন উমর (রা)-এর নিকট গমন করি। তখন তিনি আমাকে শরবত পান করালেন, যার প্রতিক্রিয়ায় আমার স্বীয় ঘরে পৌঁছা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, দ্বিতীয় দিন সকালে যখন আমি তাঁর সাথে সাক্ষাত করি, তখন আমি তাঁর নিকট ঘটনা খুলে বললাম। হযরত ইব্ন উমর (রা) বললেন, আমি তোমাকে শুধু খেজুর ও আঙ্গুরের নাবীয পান করিয়েছি। সুতরাং যদি এ মিশ্রণ হারাম হতো তা হলে হযরত ইব্ন উমর (রা), যিনি রাসূলের সুন্নত পালনে খ্যাত ছিলেন, কিভাবে তিনি হারাম বস্তু পান করতেন অথবা অন্যকে পান করাতেন ? শায়খুল ইসলামের মাবসূতে ইবরাহীম নখঈ থেকেও এ ধরনের রিওয়ায়েত বর্ণিত আছে।
ইমাম আবু হানীফা ও ইমাম আবূ ইউসূফের মতে এ মিশ্রিত নাবীযের মধ্যে যদি নেশা সৃষ্টি না হয়, তা হলে এটা ব্যবহার করা জায়েয়। ইমাম শাফিঈ, ইমাম মালিক এবং ইমাম আহমদের মতে নেশা সৃষ্টি হোক বা না হোক, হাদীসের বাহ্যিক দৃষ্টিতে এটা হারাম। হানাফীদের মধ্যে ইমাম মুহাম্মদ উক্ত তিন আয়িম্মার সাথে একমত অর্থাৎ হারাম হওয়ার পক্ষেই তিনি মত প্রকাশ করেছেন। হারামের পক্ষে মতামত প্রদানকারীদের দলীল হলো বর্ণিত হাদীসসহ অন্যান্য হাদীস। হানাফীদের মতে এখানেও ফতওয়া হলো ইমাম মুহাম্মদের মতের উপর। ইমাম আবু হানীফা (র) নিষেধাজ্ঞার হাদীসসমূহ ইসলামের প্রাথমিক অবস্থার উপর আরোপ করেন। যখন দরিদ্রতার কারণে মুসলমানদের অবস্থা এরূপ ছিল যে, আমীরদের উপর একই সময় দুটি বস্তু ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল- যাতে দরিদ্রগণ দ্বিতীয়টি ব্যবহার করতে পারে এবং এটা যাতে না হতে পারে যে, কেউ দুটি ব্যবহার করবে আবার কেউ একটি থেকেও বঞ্চিত হবে। ইসলামের প্রাথমিক যুগে কয়েকটি বস্তুর ব্যাপারে এ বিধান জারী হয়েছিল। কারণ হিসেবে তারা এ হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করে থাকেন। ইমাম মুহাম্মদ 'কিতাবুল আসারে' উল্লেখ করেন, ইব্ন যিয়াদ বলেন, আমি হযরত ইব্ন উমর (রা)-এর নিকট গমন করি। তখন তিনি আমাকে শরবত পান করালেন, যার প্রতিক্রিয়ায় আমার স্বীয় ঘরে পৌঁছা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, দ্বিতীয় দিন সকালে যখন আমি তাঁর সাথে সাক্ষাত করি, তখন আমি তাঁর নিকট ঘটনা খুলে বললাম। হযরত ইব্ন উমর (রা) বললেন, আমি তোমাকে শুধু খেজুর ও আঙ্গুরের নাবীয পান করিয়েছি। সুতরাং যদি এ মিশ্রণ হারাম হতো তা হলে হযরত ইব্ন উমর (রা), যিনি রাসূলের সুন্নত পালনে খ্যাত ছিলেন, কিভাবে তিনি হারাম বস্তু পান করতেন অথবা অন্যকে পান করাতেন ? শায়খুল ইসলামের মাবসূতে ইবরাহীম নখঈ থেকেও এ ধরনের রিওয়ায়েত বর্ণিত আছে।
