মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
১৯. পানাহারের দ্রব্যাদি, কুরবানী, শিকার এবং যবেহ সম্পর্কে বর্ণনা
হাদীস নং: ৪১৭
স্বর্ণ ও রৌপ্যের পাত্রে পান করা নিষিদ্ধ
হাদীস নং- ৪১৭
হযরত আব্দুর রহমান ইব্ন আবী লায়লা (রাহঃ) বলেন, আমরা হযরত হুযায়ফা (রাযিঃ)-এর সাথে মাদায়েনে কোন এক গ্রামবাসীর কাছে হাযির হলাম। সে আমাদের জন্য খাবার আনল, আমরা আহার করলাম। এরপর হুযায়ফা (রাযিঃ) পানি চাইলেন। তখন তারা রৌপ্যের পেয়ালায় পানি নিয়ে আসল। হযরত হুযায়ফা (রাযিঃ) পানির পেয়ালা তার মুখের উপর নিক্ষেপ করলেন। তাঁর এ কাজ আমাদের অপসন্দ হলো। তিনি বললেন, তোমরা কি জান আমি এ গ্রামবাসীর সাথে কেন এরূপ করেছি? আমরা বললাম, না। তখন তিনি বললেন, গত বছর আমি তাদের এখানে এসেছিলাম এবং আমি পানি চাইলে তারা আমাকে রৌপ্যের পেয়ালায় পানি সরবরাহ করে। আমি তাদেরকে বলেছি, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে স্বর্ণ-রৌপ্যের পাত্রে পানাহার করতে এবং রেশমের বস্ত্র পরিধান করতে নিষেধ করেছেন। কেননা এ সমস্ত বস্তু দুনিয়াতে মুশরিকদের জন্য এবং আখিরাতে আমাদের জন্য।
হযরত আব্দুর রহমান ইব্ন আবী লায়লা (রাহঃ) বলেন, আমরা হযরত হুযায়ফা (রাযিঃ)-এর সাথে মাদায়েনে কোন এক গ্রামবাসীর কাছে হাযির হলাম। সে আমাদের জন্য খাবার আনল, আমরা আহার করলাম। এরপর হুযায়ফা (রাযিঃ) পানি চাইলেন। তখন তারা রৌপ্যের পেয়ালায় পানি নিয়ে আসল। হযরত হুযায়ফা (রাযিঃ) পানির পেয়ালা তার মুখের উপর নিক্ষেপ করলেন। তাঁর এ কাজ আমাদের অপসন্দ হলো। তিনি বললেন, তোমরা কি জান আমি এ গ্রামবাসীর সাথে কেন এরূপ করেছি? আমরা বললাম, না। তখন তিনি বললেন, গত বছর আমি তাদের এখানে এসেছিলাম এবং আমি পানি চাইলে তারা আমাকে রৌপ্যের পেয়ালায় পানি সরবরাহ করে। আমি তাদেরকে বলেছি, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে স্বর্ণ-রৌপ্যের পাত্রে পানাহার করতে এবং রেশমের বস্ত্র পরিধান করতে নিষেধ করেছেন। কেননা এ সমস্ত বস্তু দুনিয়াতে মুশরিকদের জন্য এবং আখিরাতে আমাদের জন্য।
عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، قَالَ: نَزَلْنَا مَعَ حُذَيْفَةَ عَلَى دِهْقَانَ بِالْمَدَائِنِ، فَأَتَى بِطَعَامٍ فَطَعِمْنَا، ثُمَّ دَعَا حُذَيْفَةُ بِشَرَابٍ فَأَتَى بِشَرَابٍ فِي إِنَاءٍ فِضَّةٍ، فَضَرَبَ بِهِ وَجْهَهُ، فَسَاءَنَا مَا صَنَعَ، فَقَالَ: أَتَدْرُونَ لِمَ صَنَعْتُ بِهِ هَذَا؟ فَقُلْنَا: لَا، فَقَالَ: إِنِّي نَزَلَتُ عَلَيْهِ فِي الْعَامِ الْمَاضِي، فَدَعَوْتُ بِشَرَابٍ، فَأَتَانِي بِشَرَابٍ فِيهِ، فَأَخْبَرْتُهُ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَانَا أَنْ نَأْكُلَ فِي آنِيَةِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ، وَأَنْ نَشْرَبَ فِيهَا، وَأَنْ نَلْبَسَ الْحَرِيرَ وَالدِّيبَاجَ، فَإِنَّهَا لِلْمُشْرِكِينَ فِي الدُّنْيَا، وَهِيَ لَنَا فِي الْآخِرَةِ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হযরত হুযায়ফা (রা)-এর মারাত্মক অসন্তুষ্টির কারণ ছিল গ্রামবাসীর সুন্নত বিরোধী কাজ। কেননা তিনি গ্রামবাসীকে এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সা)-এর হাদীসও শুনিয়েছেন। এতদসত্ত্বেও যখন সে এরূপ করেছে, তখন তাঁর ক্রোধের উদ্রেক হয়েছে। তিনি মেজবানের সাথে খারাপ ব্যবহার করেননি, বরং শরীয়ত বিরোধী কাজের জন্য কঠোর নিন্দা করেছেন। হযরত হুযায়ফা (রা)-এর পক্ষ থেকে এটা রাসূলের সুন্নত অনুসরণের উজ্জ্বল প্রমাণ। তিনি এটা প্রত্যক্ষ করতে সম্মত নন যে, কোন ব্যক্তির রাসূলের সুন্নত অবগত হওয়ার পর সে এর বিরুদ্ধে চলবে।
