মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

১৯. পানাহারের দ্রব্যাদি, কুরবানী, শিকার এবং যবেহ সম্পর্কে বর্ণনা

হাদীস নং: ৩৯৮
পানাহারের দ্রব্যাদি, কুরবানী, শিকার এবং যবেহ সম্পর্কে বর্ণনা
যমীনের কীট-পতঙ্গ খাওয়া নিষিদ্ধ
হাদীস নং- ৩৯৮

হযরত জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি ব্যাঙ হত্যা করবে, তার উপর একটি বকরী সদকা দেয়া ওয়াজিব। ঐ ব্যক্তি ইহরাম বাঁধা অবস্থায় হোক অথবা হালাল অবস্থায় হোক।
كتاب الأطعمة والأشربة والشرب والضحايا والصيد والذبائح
عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ الْمَكِّيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ قَتَلَ ضُفْدَعًا، فَعَلَيْهِ شَاةٌ مُحْرِمًا كَانَ أَوْ حَلَالًا»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

আবু দাউদ তায়ালিসী স্বীয় মুসনাদে, আবূ দাউদ স্বীয় মুসনাদে, এমনিভাবে নাসাঈ ও হাকিম আবদুর রহমান ইব্ন উসমান (রা)-এর সূত্রে মরফু হাদীস বর্ণনা করেন যে, একজন চিকিৎসক ঔষধের মধ্যে ব্যাঙ ব্যবহারের ব্যাপারে নবী করীম (সা)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করেন। তিনি তাকে ব্যাঙ নিধন করা থেকে নিষেধ করেন। ইমাম বায়হাকী (র) বলেন, ব্যাঙ সম্পর্কে আরো শক্তিশালী হাদীস রয়েছে। সুতরাং হাফিয মুনযিরী দলীল হিসেবে এর উপর আলোচনা করে বলেছেন, নবী করীম (সা) এটা হত্যা বা নিধন করা থেকে নিষেধ করেছেন এবং জীবজন্তু হত্যা করা থেকে নিষেধ করা হয়ত এটা হারাম হওয়ার কারণে হতে পারে। যেমন মানুষের ব্যাপারে। অথবা এ কারণে যে, এর গোশত হারাম। অধিকন্তু প্রথম কারণ অর্থাৎ হারাম হওয়ার বিষয়টি এখানে বিদ্যমান নেই, কাজেই দ্বিতীয় কারণ এখানে স্থীর হয়েছে যে, যেহেতু এটা খাওয়া হারাম, তাই এটা হত্যা ও নিধন করাও নিষিদ্ধ। এ কারণেই এটা নিধনকারীর উপর বকরী সদকা ওয়াজিব হয়েছে, যাতে মানুষ এ কাজ থেকে বিরত থাকে।