মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

১৮. ফযীলত ও সম্মানের বর্ণনা

হাদীস নং: ৩৭৮
ফযীলত ও সম্মানের বর্ণনা
হযরত খাদীজা (রাযিঃ)-এর ফযীলত
হাদীস নং- ৩৭৮

হযরত আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, হযরত খাদীজা (রাযিঃ)-কে বেহেশতে এমন ঘরের সুসংবাদ দেয়া হয়েছে, যেখানে কোন শোরগোল চিৎকার থাকবে না এবং কোন দুঃখ-কষ্টও থাকবে না।
كتاب الفضائل والشمائل
عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: «بُشِّرَتْ خَدِيجَةُ بِبَيْتٍ فِي الْجَنَّةِ، لَا صَخَبَ فِيهَا وَلَا نَصَبَ»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

ব্যাখ্যা: উম্মুল মু'মিনীন হযরত খাদীজা (রা) হলেন মহিলাদের মধ্যে অপরিসীম সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী। তাঁর গুণাবলী ও মর্যাদা সম্পর্কে অনেক হাদীস রয়েছে। উন্মুল মু'মিনীন হযরত আয়েশা (রা) যিনি স্বয়ং অত্যন্ত মর্যাদার অধিকারী, তিনি বলেছেনঃ হযরত খাদীজা (রা) ব্যতীত আর কারো প্রতি আমার এত ঈর্ষা হতো না। তিনি কয়েকটি বৈশিষ্ট্যের কারণে গৌরবান্বিত ছিলেন। প্রথমত তাঁর কোন সতীন বা প্রতিদ্বন্ধী ছিল না। দ্বিতীয়ত উন্মুল মু'মিনীনগণের মধ্যে দ্বিগুণের চেয়ে বেশি নবী করীম (সা)-এর সাহচর্য লাভের সৌভাগ্য তাঁর হয়েছে। তৃতীয়ত তিনি কখনো আঁ হযরত (সা)-এর মেজাজের মধ্যে সামন্যতম বিষাদ সৃষ্টি করেননি। চতুর্থত নারীদের নেত্রী (سيدة النساء) নবী বংশের গৌরব হযরত ফাতিমা (রা) তাঁরই কন্যা ছিলেন।
প্রথমে হযরত খাদীজা (রা)-এর ইব্ন হালা ইব্ন যুরারার সাথে বিবাহ হয়। অতঃপর আতীক ইব্ন আয়িযের সাথে, এরপর নবী করীম (সা)-এর পবিত্র স্ত্রী (زوجة مطهرة) হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। যখন হযরত খাদীজার (রা) চল্লিশ বছর, তখন আঁ হযরত (সা)-এর বয়স ছিল পঁচিশ বছর। এরপূর্বে তিনি কখনো বিবাহ করেননি এবং হযরত খাদীজা (রা) জীবিত থাকাকালে তিনি দ্বিতীয় কোন বিবাহও করেননি। হযরত ইবরাহীম ব্যতীত হুযূর (সা)-এর সমস্ত সন্তান হযরত খাদীজা (রা)-এর গর্ভজাত ছিল। বিভিন্ন বর্ণনামতে হিজরতের পাঁচ অথবা চার বা তিন বছর পূর্বে তাঁর ইনতিকাল হয়। এ সময় নবুওয়তের দশ বছর অতিবাহিত হয়ে যায়।ইনতিকালের সময় তাঁর বয়স হয়েছিল পঁয়ষট্টি বছর। পঁচিশ বছর তিনি রাসূলুল্লাহ (সা)-এর সাহচর্যে জীবিত ছিলেন। বিভিন্ন বর্ণনার দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, তিনিই সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান