মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
১৮. ফযীলত ও সম্মানের বর্ণনা
হাদীস নং: ৩৭৯
হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযিঃ)-এর ফযীলত
হাদীস নং- ৩৭৯
হযরত আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মৃত্যু আমার উপর সহজ হয়ে গিয়েছে যে, আমি বেহেশতের মধ্যে তোমাকে আমার স্ত্রী হিসেবে দেখেছি।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, নবী করীম (ﷺ) বলেছেন : আমি বেহেশতের মধ্যে তোমাকে (আয়েশাকে) আমার স্ত্রী হিসেবে দেখেছি। এরপর দৃষ্টি দিলেন এবং বললেন : আমার উপর মৃত্যু সহজ হয়ে গিয়েছে। কেননা আমি আয়েশা (রাযিঃ)-কে বেহেশতে আমার স্ত্রী হিসেবে দেখেছি।
হযরত আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মৃত্যু আমার উপর সহজ হয়ে গিয়েছে যে, আমি বেহেশতের মধ্যে তোমাকে আমার স্ত্রী হিসেবে দেখেছি।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, নবী করীম (ﷺ) বলেছেন : আমি বেহেশতের মধ্যে তোমাকে (আয়েশাকে) আমার স্ত্রী হিসেবে দেখেছি। এরপর দৃষ্টি দিলেন এবং বললেন : আমার উপর মৃত্যু সহজ হয়ে গিয়েছে। কেননা আমি আয়েশা (রাযিঃ)-কে বেহেশতে আমার স্ত্রী হিসেবে দেখেছি।
عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيْمَ النَّخَعِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، قَالَتْ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّهُ لَيُهَوِّنُ عَلَيَّ الْمَوْتَ أَنِّيْ رَأَيْتُكِ زَوْجَتِيْ فِي الْجَنَّةِ».
وَفِيْ رِوَايَةٍ: «أَنِّيْ رَأَيْتُكِ زَوْجَتِيْ فِي الْجَنَّةِ»، ثُمَّ الْتَفَتَ، وَقَالَ: «هُوِّنَ عَلَيَّ الْمَوْتُ، لِأَنِّيْ رَأَيْتُ عَائِشَةَ فِي الْجَنَّةِ».
وَفِيْ رِوَايَةٍ: «أَنِّيْ رَأَيْتُكِ زَوْجَتِيْ فِي الْجَنَّةِ»، ثُمَّ الْتَفَتَ، وَقَالَ: «هُوِّنَ عَلَيَّ الْمَوْتُ، لِأَنِّيْ رَأَيْتُ عَائِشَةَ فِي الْجَنَّةِ».
হাদীসের ব্যাখ্যা:
উম্মুল মু'মিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা)-এর সাথে হুযুর (সা)-এর গভীর মহব্বত ও ভালবাসা ছিল। তাঁকে ব্যতীত তিনি শান্তি ও আরাম পেতেন না। ফলে আল্লাহ্ তা'আলা আঁ হযরত (সা)-কে বেহেশতে হযরত আয়েশা (রা) সাদৃ্শ্য দেখিয়ে দিয়েছেন, যাতে বেহেশতের জীবনে তাঁর পবিত্র আত্মা আরো বন্ধুবৎসল হয়ে যায়। কেননা জীবনের আনন্দ-বেদনা প্রিয় ব্যক্তিদের বিদ্যমান থাকা ও অনুপস্থিতির উপর নির্ভর করে। এটা আঁ হযরত (সা)-এর কিভাবে সহনীয় হতে পারে যে, তাঁর দুঃখ-বেদনার বন্ধু, জীবন সাথী ও অংশীদার, দুঃখ ও আনন্দের সাথী, ভালবাসার প্রাণকেন্দ্র, পবিত্র স্ত্রী উম্মুল মু'মিনীন হযরত আয়েশা (রা) বেহেশতে স্বীয় সাহচর্য থেকে তাঁর অন্তরের শান্তির কারণ না হবেন। সুতরাং দুনিয়াতেই তাঁকে এ সুসংবাদ দেয়া হয়েছে যে, হযরত আয়েশা (রা) বেহেশতে তাঁর সাথী হবেন। এছাড়া স্বয়ং নবী করীম (সা) এ আন্তরিক ভালবাসা ও মহব্বতের কথা উল্লেখ করে বলেছেনঃ হযরত আয়েশা (রা)-কে বেহেশতে প্রত্যক্ষ করায় আমার মৃত্যু সহজ হয়ে গিয়েছে। কেননা এখন এ সন্দেহ দূরীভূত হয়েছে যে, হয়ত মৃত্যু এ অন্তরঙ্গ বন্ধুর বিচ্ছেদের কারণ হবে এবং এর দ্বারা চিরদিনের জন্য পৃথক ও আলাদা করে দেবে।
