মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
১১. ত্বালাক - বিবাহ বিচ্ছেদ অধ্যায়
হাদীস নং: ২৯৬
সূরা বাকারায় উল্লিখিত মৃত্যুর ইদ্দতের সময় রহিত
হাদীস নং- ২৯৬
হযরত আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে আমি তার সাথে এ বিষয়ে মুবাহালা করতে প্রস্তুত যে, ছোট সূরাতুন নিসা (সুরা তালাক) দীর্ঘ সূরার (সূরা বাকারার) পরে নাযিল হয়েছে।
অপর এক রিওয়ায়েতে হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (ﷺ) বলেছেন : ছোট সূরা নিসা গর্ভবতীর সমস্ত ইদ্দত রহিত করে দিয়েছে। অর্থাৎ গর্ভবতীর ইদ্দত হলো সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত।
হযরত আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে আমি তার সাথে এ বিষয়ে মুবাহালা করতে প্রস্তুত যে, ছোট সূরাতুন নিসা (সুরা তালাক) দীর্ঘ সূরার (সূরা বাকারার) পরে নাযিল হয়েছে।
অপর এক রিওয়ায়েতে হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (ﷺ) বলেছেন : ছোট সূরা নিসা গর্ভবতীর সমস্ত ইদ্দত রহিত করে দিয়েছে। অর্থাৎ গর্ভবতীর ইদ্দত হলো সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত।
عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «مَنْ شَاءَ بَاهَلْتَهُ أَنَّ سُورَةَ النِّسَاءِ الْقُصْرَى نَزَلَتْ بَعْدَ الطُّولَى» ، وَفِي رِوَايَةٍ: عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " نَسَخَتْ سُورَةُ النِّسَاءُ الْقُصْرَى كُلَّ عِدَدٍ: {وَأُولاتُ الأَحْمَالِ أَجَلُهُنَّ أَنْ يَضَعْنَ حَمْلَهُنَّ} [الطلاق: 4] "
হাদীসের ব্যাখ্যা:
কোন নারীর স্বামী মারা গেলে কত দিন তার ইদ্দত পালন করতে হবে এ
মাস‘আলার ব্যাখ্যা হলো এই যে, সুরা বাকারার আয়াত :
وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا يَتَرَبَّصْنَ بِأَنْفُسِهِنَّ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا
"তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করে এবং বিধবা স্ত্রী রেখে যায়, তাহলে তার বিধবা স্ত্রী অপেক্ষা করবে চার মাস দশ দিন।" (২:২৩৪)
এ আয়াতের সামগ্রিকতার কারণে এ ধরনের সমস্ত মহিলার ইদ্দত চার মাস দশ দিন স্থির হয়েছে, যার স্বামী মৃত্যুবরণ করেছে। ঐ মহিলা গর্ভবর্তী হোক বা না হোক। অতঃপর সূরা তালাকে বর্ণিত আছে : وَأُولَاتُ الْأَحْمَالِ أَجَلُهُنَّ أَنْ يَضَعْنَ حَمْلَهُنَّ (গর্ভবতী নারীদের ইদ্দতের সময় হলো সন্তান প্রসব পর্যন্ত)। সুতরাং এ আয়াতের দৃষ্টিকোণ থেকে গর্ভবতী নারীর যদিও তার স্বামী মৃত্যুবরণ করে থাকে, সন্তান প্রসব দ্বারা ইদ্দত নির্ধারিত হয়ে থাকে। যদিও সবচেয়ে কম সময়ে সন্তান প্রসব করে। সুতরাং হযরত আলী (রা) থেকে দু'টি আয়াতকে একত্র করার জন্য সতর্কতার নীতি বা পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে। যদি চার মাস দশ দিন পর সন্তান প্রসব করে, তা হলে সন্তান প্রসবের সাথে সাথে ইদ্দত শেষ হয়ে যাবে। আর যদি চার মাস দশ দিনের পূর্বে সন্তান প্রসব করে, তাহলে চার মাস দশ দিনের পর ইদ্দত শেষ হয়ে যাবে।
শাফিঈগণ এ ব্যাপারে দ্বন্দ্বের মধ্যে রয়েছে যে, সূরা বাকারার আয়াতকে সূবায়য়ার হাদীস দ্বারা সুনির্দিষ্ট হিসেবে মেনে নিবেন অথবা রহিত করবেন, কিন্তু হানাফীদের মতে সুবায়য়ার হাদীস যারা সূরা বাকারার আয়াত সুনির্দিষ্টও হয় না, আবার রহিতও হয় না। কেননা خبر واحد (একক ব্যক্তির বর্ণিত হাদীস) কুরআনের আয়াতের জন্য নির্দিষ্টকারী নয়, আবার রহিতকারীও নয়। অবশ্য সূরা তালাকের আয়াত وَأُولَاتُ الْأَحْمَالِ দ্বারা সূরা বাকারার আয়াত রহিত হয়ে যায়। কেননা হযরত ইব্ন মাসউদ (রা)-এর হাদীস হলো এ বিষয়ে স্পষ্ট দলীল এবং এটা প্রমাণ করে যে, সূরা তালাকের আয়াত হলো পরে নাযিলকৃত আয়াত, কাজেই এর রহিতকারী হয়েছে। তবে خبر واحد দ্বারা ইতিহাসের খোঁজ নেয়া যায়, কিন্তু সূরা বাকারার আয়াত সূরা তালাকের আয়াত দ্বারা। রহিত হয়েছে।
মুজামে তিবরানীতে হযরত উবাই (রা) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি আঁ হযরত (সা)-কে জিজ্ঞাসা করেন, وَأُولَاتُ الْأَحْمَالِ আয়াত তিন তালাক প্রদত্ত নারীর জন্য; না ঐ নারীর জন্য, যার স্বামী ইনতিকাল করেছে? তিনি বলেছেন : উভয়ের জন্য। সারকথা হলো এই যে, গর্ভবর্তী নারীর ইদ্দত সূরা তালাকের আয়াত দ্বারা সন্তান প্রসব পর্যন্ত নির্ধারিত হয়েছে। চাই স্বামীর মৃত্যুর এক ঘন্টা পরই সন্তান প্রসব হোক না কেন। ইমাম মালিকের মুসনাদে হযরত উমর (রা)-এর একটি বর্ণনা আছে, গর্ভবতী নারী যদি এমন সময় সন্তান প্রসব করে যে, তার স্বামীর মৃতদেহ এখনও কাঠের উপর রয়েছে, দাফন করা হয়নি, তবুও তার ইদ্দত শেষ হয়ে গিয়েছে।
মাস‘আলার ব্যাখ্যা হলো এই যে, সুরা বাকারার আয়াত :
وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا يَتَرَبَّصْنَ بِأَنْفُسِهِنَّ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا
"তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করে এবং বিধবা স্ত্রী রেখে যায়, তাহলে তার বিধবা স্ত্রী অপেক্ষা করবে চার মাস দশ দিন।" (২:২৩৪)
এ আয়াতের সামগ্রিকতার কারণে এ ধরনের সমস্ত মহিলার ইদ্দত চার মাস দশ দিন স্থির হয়েছে, যার স্বামী মৃত্যুবরণ করেছে। ঐ মহিলা গর্ভবর্তী হোক বা না হোক। অতঃপর সূরা তালাকে বর্ণিত আছে : وَأُولَاتُ الْأَحْمَالِ أَجَلُهُنَّ أَنْ يَضَعْنَ حَمْلَهُنَّ (গর্ভবতী নারীদের ইদ্দতের সময় হলো সন্তান প্রসব পর্যন্ত)। সুতরাং এ আয়াতের দৃষ্টিকোণ থেকে গর্ভবতী নারীর যদিও তার স্বামী মৃত্যুবরণ করে থাকে, সন্তান প্রসব দ্বারা ইদ্দত নির্ধারিত হয়ে থাকে। যদিও সবচেয়ে কম সময়ে সন্তান প্রসব করে। সুতরাং হযরত আলী (রা) থেকে দু'টি আয়াতকে একত্র করার জন্য সতর্কতার নীতি বা পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে। যদি চার মাস দশ দিন পর সন্তান প্রসব করে, তা হলে সন্তান প্রসবের সাথে সাথে ইদ্দত শেষ হয়ে যাবে। আর যদি চার মাস দশ দিনের পূর্বে সন্তান প্রসব করে, তাহলে চার মাস দশ দিনের পর ইদ্দত শেষ হয়ে যাবে।
শাফিঈগণ এ ব্যাপারে দ্বন্দ্বের মধ্যে রয়েছে যে, সূরা বাকারার আয়াতকে সূবায়য়ার হাদীস দ্বারা সুনির্দিষ্ট হিসেবে মেনে নিবেন অথবা রহিত করবেন, কিন্তু হানাফীদের মতে সুবায়য়ার হাদীস যারা সূরা বাকারার আয়াত সুনির্দিষ্টও হয় না, আবার রহিতও হয় না। কেননা خبر واحد (একক ব্যক্তির বর্ণিত হাদীস) কুরআনের আয়াতের জন্য নির্দিষ্টকারী নয়, আবার রহিতকারীও নয়। অবশ্য সূরা তালাকের আয়াত وَأُولَاتُ الْأَحْمَالِ দ্বারা সূরা বাকারার আয়াত রহিত হয়ে যায়। কেননা হযরত ইব্ন মাসউদ (রা)-এর হাদীস হলো এ বিষয়ে স্পষ্ট দলীল এবং এটা প্রমাণ করে যে, সূরা তালাকের আয়াত হলো পরে নাযিলকৃত আয়াত, কাজেই এর রহিতকারী হয়েছে। তবে خبر واحد দ্বারা ইতিহাসের খোঁজ নেয়া যায়, কিন্তু সূরা বাকারার আয়াত সূরা তালাকের আয়াত দ্বারা। রহিত হয়েছে।
মুজামে তিবরানীতে হযরত উবাই (রা) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি আঁ হযরত (সা)-কে জিজ্ঞাসা করেন, وَأُولَاتُ الْأَحْمَالِ আয়াত তিন তালাক প্রদত্ত নারীর জন্য; না ঐ নারীর জন্য, যার স্বামী ইনতিকাল করেছে? তিনি বলেছেন : উভয়ের জন্য। সারকথা হলো এই যে, গর্ভবর্তী নারীর ইদ্দত সূরা তালাকের আয়াত দ্বারা সন্তান প্রসব পর্যন্ত নির্ধারিত হয়েছে। চাই স্বামীর মৃত্যুর এক ঘন্টা পরই সন্তান প্রসব হোক না কেন। ইমাম মালিকের মুসনাদে হযরত উমর (রা)-এর একটি বর্ণনা আছে, গর্ভবতী নারী যদি এমন সময় সন্তান প্রসব করে যে, তার স্বামীর মৃতদেহ এখনও কাঠের উপর রয়েছে, দাফন করা হয়নি, তবুও তার ইদ্দত শেষ হয়ে গিয়েছে।
