মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
১১. ত্বালাক - বিবাহ বিচ্ছেদ অধ্যায়
হাদীস নং: ২৯৭
যে নারীর স্বামী মৃত্যু বরণ করেছে কিন্তু তার মাহর নির্ধারণ করা হয়নি এবং তার সাথে সহবাসও করা হয়নি
হাদীস নং- ২৯৭
হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, যে নারীর স্বামী মৃত্যুরবরণ করেছে কিন্তু তার মাহর নির্ধারণ করা হয়নি এবং তার সাথে সহবাসও করা হয়নি, এমন নারীর জন্য হলো মাহরে মিসাল (مهرمثل)। সে স্বামীর সম্পদের অংশীদার হবে এবং স্বামীর মৃত্যুর কারণে তার উপর ইদ্দত পালন ওয়াজিব হবে। এ বিষয়ে মা'কিল ইব্ন সিনান আশজাঈ (রাযিঃ) বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বারদা বিনতে ওয়াশিকের জন্য তোমার মতই বা সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।
হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, যে নারীর স্বামী মৃত্যুরবরণ করেছে কিন্তু তার মাহর নির্ধারণ করা হয়নি এবং তার সাথে সহবাসও করা হয়নি, এমন নারীর জন্য হলো মাহরে মিসাল (مهرمثل)। সে স্বামীর সম্পদের অংশীদার হবে এবং স্বামীর মৃত্যুর কারণে তার উপর ইদ্দত পালন ওয়াজিব হবে। এ বিষয়ে মা'কিল ইব্ন সিনান আশজাঈ (রাযিঃ) বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বারদা বিনতে ওয়াশিকের জন্য তোমার মতই বা সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।
عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ " فِي الْمَرْأَةِ تُوُفِّيَ عَنْهَا، وَلَمْ يَفْرِضْ لَهَا صَدَاقًا، وَلَمْ يَكُنْ دَخَلَ بِهَا، فَقَالَ: لَهَا صَدَقَةُ نِسَائِهَا، وَلَهَا الْمِيرَاثُ، وَعَلَيْهَا الْعِدَّةُ ".
فَقَالَ مَعْقِلُ بْنُ سِنَانٍ الْأَشْجَعِيُّ: أَشْهَدُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضَى فِي بَرْوَعَ بِنْتِ وَاشِقٍ مِثْلَ مَا قَضَيْتَ
فَقَالَ مَعْقِلُ بْنُ سِنَانٍ الْأَشْجَعِيُّ: أَشْهَدُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضَى فِي بَرْوَعَ بِنْتِ وَاشِقٍ مِثْلَ مَا قَضَيْتَ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীসের বর্ণিত মাসয়ালার ব্যাপারে হযরত আলী (রা)-এর মতপার্থক্য রয়েছে বলে বর্ণিত আছে। তিনি এরূপ নারীর জন্য মাহর প্রদান করতে হবে বলে মনে করেন না। কেনন তার সাথে স্বামীর সহবাস হয়নি। কিন্তু তাঁর এ মত সহীহ রিওয়ায়েতের দ্বারা বর্ণিত হয়নি। পক্ষান্তরে হযরত আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রা)-এর হাদীস সঠিক পদ্ধতিতে বর্ণিত হয়েছে। ইমাম তিরমিযী এ হাদীসকে হাসান সহীহ (حسن صحيح) বলেছেন। এ ছাড়া হযরত মা'কিল (রা) হযরত আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রা)-এর মতামতের উপর মরফু হাদীস দ্বারা সাক্ষ্য পেশ করেছেন। এমনকি মা'কিল আশজাঈ (রা) ছাড়াও অনেকে এরূপ সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।এদের মধ্যে জাররাহ এবং আবূ সিনানাও রয়েছেন। কাতাদার সূত্রে বর্ণিত আবু দাউদের রিওয়ায়েত দ্বারা বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। সুতরাং হযরত আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রা)-এর মতামত নিঃসন্দেহে এ বিষয়ে দলীল ও প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। বরং আবূ দাউদ ও তিরমিযীর রিওয়ায়েতে এটাও আছে। হযরত মাসউদ (রা) যখন এ সাক্ষ্যের কথা শ্রবণ করেন, তখন তিনি অত্যন্ত খুশি হয়েছেন। কেননা তাঁর মতামত আঁ হযরত (সা)-এর ফয়সালার সাথে মিলে গিয়েছে। কাজেই এ হাদীসের ব্যাপারে কোন সন্দেহ বাকী নেই। ইমাম শাফিঈ (র) থেকে এ বিষয়ে দুটি রিওয়ায়েত বর্ণিত আছে। একটি হলো হযরত আলী (রা)-এর মতামতের স্বপক্ষের অপরটি হযরত আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রা)-এর অনুসরণে। বরং এটাও বর্ণিত আছে যে, ইমাম শাফিঈ (র) মিসরে হযরত আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রা)-এর পক্ষে স্বীয় মতামত প্রকাশ করেছেন।
