মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
১১. ত্বালাক - বিবাহ বিচ্ছেদ অধ্যায়
হাদীস নং: ২৯২
বিবাহিত দাসীর আযাদীলাভের পর সাথে থাকা বা না থাকার ব্যাপারে অধিকার রয়েছে
হাদীস নং- ২৯২
হযরত আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বারীরাহ নামক এক দাসীকে আযাদ করে দেন। তার স্বামী ছিল আবু আহমদের পরিবারের আযাদকৃত দাস। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে এ ক্ষমতা প্রদান করেন যে, সে তার স্বামীর বিবাহ বন্ধনে থাকবে অথবা পৃথক হয়ে যাবে। সুতরাং সে পৃথক হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে তিনি উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে দেন। অথচ তার স্বামী আযাদ ছিল।
হযরত আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বারীরাহ নামক এক দাসীকে আযাদ করে দেন। তার স্বামী ছিল আবু আহমদের পরিবারের আযাদকৃত দাস। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে এ ক্ষমতা প্রদান করেন যে, সে তার স্বামীর বিবাহ বন্ধনে থাকবে অথবা পৃথক হয়ে যাবে। সুতরাং সে পৃথক হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে তিনি উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে দেন। অথচ তার স্বামী আযাদ ছিল।
عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا أَنَّهَا «أَعْتَقَتْ بَرِيرَةَ، وَلَهَا زَوْجٌ مَوْلًى لِآلِ أَبِي أَحْمَدَ، فَخَيَّرَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاخْتَارَتْ نَفْسَهَا فَفَرَّقَ بَيْنَهُمَا، وَكَانَ زَوْجُهَا حُرًّا»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীস হলো একটি বিতর্কিত বিষয়ে শাফিঈ ও মালিকী মাযহাবের বিরুদ্ধে হানাফী মাযহাবের দলীল। বিষয়টি হলো এই যে, ইমাম আবূ হানীফা (র)-এর মতে আবাদকৃত দাসীর স্বামীর আযাদ হোক অথবা গোলাম হোক, স্বামীর সাথে থাকা বা না থাকার ব্যাপারে তার অধিকার রয়েছে। ইমাম শাফিঈ ও মালিক (র)-এর মতে, স্বামী গোলাম হলে আযাদকৃত দাসীর এ অধিকার থাকবে। এখানে একটি প্রশ্ন হতে পারে যে, বারীরাহ্-এর স্বামী গোলাম ছিল, না আযাদ? উক্ত হাদীসের দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, তার স্বামী আযাদ ছিল। তাই এ হাদীস হলো হানাফীদের দলীল। বস্তুত হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ঐ ব্যক্তি আযাদ ছিল। হযরত আয়েশা (রা) থেকে দু'টি সূত্রে এ হাদীস বর্ণিত আছে। এক আসওয়াদ থেকে, দ্বিতীয়টি উরওয়াতুল কাসিম থেকে। আসওয়াদের রিওয়ায়েতে তার আযাদ হওয়ার প্রমাণ রয়েছে। উরওয়া থেকে দু'টি বর্ণনা রয়েছে। একটি থেকে আযাদ হওয়া প্রতীয়মান হয়, আর দ্বিতীয়টিতে সন্দেহের আশংকা রয়েছে। সুতরাং এ অবস্থায় আযাদ হওয়াই প্রমাণিত হয়েছে এবং উরওয়ার রিওয়ায়েতে যে সামান্য সন্দেহ রয়েছে, তা বাতিল হয়েছে।
