মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
৮. বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
হাদীস নং: ২৬০
বৃদ্ধা, বিধবা এবং তালাকপ্রাপ্তা সন্তানের মাকে বিবাহ করা থেকে বিরত থাকা
হাদীস নং-২৬০
একদা হযরত যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ)-এর খেদমতে হাযির হলেন। তখন তিনি হযরত যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলেনঃ তুমি কি বিবাহ করেছ? তিনি আরয করলেন, জী না। তখন তিনি ইরশাদ করলেনঃ তোমার মত সৎ, পূণ্যশীল রমণীকে বিবাহ কর। কিন্তু পাঁচ প্রকার মহিলাকে বিবাহ করবে না। হযরত যায়দ (রাযিঃ) আরয করলেন, ঐ পাঁচজন কে কে? তিনি বললেন: শাহবারাহ, নাহবারাহ, লারাবাহ, হাবদারাহ এবং লাগওয়াত মহিলাদেরকে বিবাহ করবে না। তখন হযরত যায়দ (রাযিঃ) বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আপনি যা বললেনঃ তা আমি কিছুই বুঝিনি। রসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ (তা হলে শোন) শাহবারাহ হলো বিড়ালের মত চোখের অধিকারী মোটা মহিলা, নাহবারাহ হলো হালকা পাতলা লম্বা মহিলা, লাহবারাহ হলো কামভাব হারানো বৃদ্ধা মহিলা, হাবদারাহ হলো কুৎসিত আকারের মহিলা, লাগওয়াত হলো, যে নারী পূর্ব স্বামী কর্তৃক সন্তান লাভ করেছে।
শায়বানী বলেনঃ ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এই হাদীস বর্ণনা করে অনেক্ষণ হাসেন।
একদা হযরত যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ)-এর খেদমতে হাযির হলেন। তখন তিনি হযরত যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলেনঃ তুমি কি বিবাহ করেছ? তিনি আরয করলেন, জী না। তখন তিনি ইরশাদ করলেনঃ তোমার মত সৎ, পূণ্যশীল রমণীকে বিবাহ কর। কিন্তু পাঁচ প্রকার মহিলাকে বিবাহ করবে না। হযরত যায়দ (রাযিঃ) আরয করলেন, ঐ পাঁচজন কে কে? তিনি বললেন: শাহবারাহ, নাহবারাহ, লারাবাহ, হাবদারাহ এবং লাগওয়াত মহিলাদেরকে বিবাহ করবে না। তখন হযরত যায়দ (রাযিঃ) বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আপনি যা বললেনঃ তা আমি কিছুই বুঝিনি। রসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ (তা হলে শোন) শাহবারাহ হলো বিড়ালের মত চোখের অধিকারী মোটা মহিলা, নাহবারাহ হলো হালকা পাতলা লম্বা মহিলা, লাহবারাহ হলো কামভাব হারানো বৃদ্ধা মহিলা, হাবদারাহ হলো কুৎসিত আকারের মহিলা, লাগওয়াত হলো, যে নারী পূর্ব স্বামী কর্তৃক সন্তান লাভ করেছে।
শায়বানী বলেনঃ ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এই হাদীস বর্ণনা করে অনেক্ষণ হাসেন।
عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَخْبَرَنِي شَيْخٌ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّهُ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُ: " هَلْ تَزَوَّجْتَ؟ قَالَ: لَا، قَالَ: " تَزَوَّجْ تَسْتَعِفَّ مَعَ عِفَّتِكَ، وَلَا تَزَوَّجَنَّ خَمْسًا: شَهْبَرَةً وَلَا نَهْبَرَةً، وَلَا لَهْبَرَةً وَلَا هَيْدَرَةً وَلَا لَفُوتًا، قَالَ زَيْدٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَا أَعْرِفُ شَيْئًا مِمَّا قُلْتَ، قَالَ: أَمَّا الشَّهْبَرَةُ: فَالزَّرْقَاءُ الْبَدِينَةُ، وَأَمَّا النَّهْبَرَةُ: فَالطَّوِيلَةُ الْمَهْزُولَةُ، وَأَمَّا اللَّهْبَرَةُ: فَالْعَجُوزُ الْمُدْبِرَةُ، وَأَمَّا الْهَيْدَرَةُ: فَالْقَصِيرَةُ الذَّمِيمَةُ، وَأَمَّا اللَّفُوتُ: فَذَاتُ الْوَلَدِ مِنْ غَيْرِكَ "، قَالَ الشَّيْبَانِيُّ: ضَحِكَ أَبُو حَنِيفَةَ مِنْ هَذَا الْحَدِيثِ طَوِيلًا
হাদীসের ব্যাখ্যা:
বর্ণিত হাদীসে যে পাঁচ প্রকার নারীকে বিবাহ সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞা উল্লেখ করা হয়েছে, তা হারাম নয়; বরং নাহী তানযীহ্ (نهي تنزيه) হিসেবে। যেভাবে কুমারী মেয়েদেরকে বিবাহবা করার امر বা নির্দেশ মুস্তাহাৰ কিন্তু ওয়াজিব নয়। কেননা নবী করীম (সা)-এর সম্মানিত স্ত্রীদের মধ্যে হযরত আয়েশা (রা) ব্যতীত সবাই প্রাপ্তবয়স্কা বিধবা ছিলেন। হযরত সওদা (রা) স্থূলদেহী ও লম্বা ছিলেন এবং হযরত খাদীজা (রা) বৃদ্ধা ছিলেন। চল্লিশ বছর বয়সে তিনি আঁ হযরত (সা)-এর সাথে বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ হন। ষাট বছরের চেয়ে কিছু বেশি দিন জীবিত ছিলেন এবং নবী করীম (সা)-এর সাথে দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করেন। অধিকন্তু হযরত খাদীজা (রা) এবং হযরত উম্মে সালমা (রা) উভয়ই পূর্ববর্তী স্বামীর সন্তান সাথে নিয়ে এসেছিলেন।


বর্ণনাকারী: