মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

৭. হজ্ব - উমরার অধ্যায়

হাদীস নং: ২৩৮
ইহরামরত ব্যক্তির জন্য কোন জীব হত্যা করা জায়েয
হাদীস নং-২৩৮

হযরত ইবনে উমর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন: মুহরিম বা ইহুরামরত ব্যক্তি ইঁদুর, সাপ, কুকুর, চিল এবং বিচ্ছু মারতে পারবে।
باب ما يجوز للمحرم قتله
عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «يَقْتُلُ الْمُحْرِمُ الْفَأْرَةَ وَالْحَيَّةَ وَالْكَلْبَ الْعَقُورَ وَالْحِدَأَةَ وَالْعَقْرَبَ»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

যে সমস্ত জন্তু ইহরাম অবস্থায় মারা জায়েয, হাদীসে এগুলোর বিভিন্ন সংজ্ঞা উল্লেখ করা হয়েছে। কোন কোন হাদীসে كلب -এর সাথে عقور সংযুক্ত করা হয়েছে। আবার কোন হাদীসে سبع (জন্তু), কোন হাদীসে غراب অতিরিক্ত যোগ করা হয়েছে। এ সমস্ত জন্তু সম্পর্কে উলামায়ে কিরামের মধ্যে সামান্য মতপার্থক্য রয়েছে। যেমন কোন দৃষ্টিকোণ থেকে এ সমস্ত জন্তু মারা জায়েয। সুতরাং ইমাম শাফিঈ (র)-এর মত হলো এই যে, যে সমস্ত জন্তু খাওয়া জায়েয নয় এবং যে জন্তু খাওয়া যায় না, এগুলো মারা মুহরিমের (ইহরামরত ব্যক্তির) জন্য জায়েয এবং এর উপর ফিদয়া নেই। ইমাম মালিক (র)-এর মত হলো এই যে, সমস্ত জন্তু ক্ষতিকর এবং প্রত্যেক ক্ষতিকর জন্তু ইহরাম অবস্থায় মারা জায়েয। সুতরাং যে সমস্ত জন্তু ক্ষতিকর নয়, যেমন খেঁকশিয়াল, বিড়াল ইত্যাদি মারা ইহরাম অবস্থায় জায়েয নয়। যদি কেউ মেরে ফেলে, তাহলে তাকে ফিদয়া দিতে হবে। অতঃপর কুকুর সম্পর্কেও কিছু মতপার্থক্য রয়েছে। কেউ কেউ এরদ্বারা কুকুর বুঝিয়ে থাকেন। সুতরাং হুমাম আওযাঈ ও ইমাম আবূ হানীফা (র) থেকে এটাই বর্ণিত আছে এবং এই বিধানের মধ্যে শিয়ালও রয়েছে। ইমাম যুফার (রা)-এর মতে এরদ্বারা শৃগাল বুঝানো হয়েছে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান