মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

৭. হজ্ব - উমরার অধ্যায়

হাদীস নং: ২৩১
মুহরিম ব্যক্তির জন্য সুগন্ধি ব্যবহার
হাদীস নং-২৩১

অনুবাদঃ হযরত আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি হজ্জে তামাত্তুর নিয়্যতে পৰিত্ৰ মক্কায় গমন করেন। এ অবস্থায় তিনি ঋতুবতী হয়ে পড়েন। তখন নবী করীম (ﷺ) তাঁকে উমরা ভঙ্গ করার নির্দেশ প্রদান করেন।
عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: أَنَّهَا قَدِمَتْ مُتَمَتِّعَةً، وَهِيَ حَائِضٌ، فَأَمَرَهَا النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «فَرَفَضَتْ عُمْرَتَهَا

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হজ্জ তিন প্রকার। যথাঃ (১) ইফরাদ (افراد), (২) তামাত্তু (تمتع), (৩) কিরান (قران)। হজ্জ ইফরাদ হলো এই যে, মীকাত থেকে ইহরাম বেধে মক্কা প্রবেশ করবে। অতঃপর তাওয়াফ সাঈ করে হালাল হয়ে যাবে। তারপর হজ্জের মৌসুমে মক্কাবাসীদের মত হজ্জের নিয়্যত করবে। হজ্জে তামাত্তু হলো এই যে, হজ্জ ও উমরার এক সাথে নিয়্যত করবে। হজ্জে কিরান ও তামাত্তু প্রায়ই একই ধরনের। তবে পার্থক্য হলো এই যে, হজ্জে তামাত্তুর মধ্যে উমরার আরকান পালন করার পর হালাল হয়ে যাবে। কিন্তু সহবাস জায়েয হবে না। অতঃপর ৮ই যিলহজ্জ ইহরাম বাঁধতে হয় এবং হজ্জে কিরানে হজ্জ আদায় করা পর্যন্ত ইহরাম অবস্থায় থাকতে হবে।