মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
৭. হজ্ব - উমরার অধ্যায়
হাদীস নং: ২২৪
ইহরাম বাঁধার স্থান
হাদীস নং - ২২৪
অনুবাদঃ হযরত আসওয়াদ ইবনে ইয়াযীদ (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) জনগণের সামনে খুতবা পেশ করে বলেনঃ তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি হজ্জ পালনের ইচ্ছা করে সে যেন মীকাতে না পৌঁছে ইহরাম না বাঁধে, যে মীকাত তোমাদের নবী (ﷺ) নির্ধারণ করে নিয়েছেন। অর্থাৎ মদীনাবাসী এবং মদীনার উপর দিয়ে রাস্তা অতিক্রমকারী ভিন দেশীয় লোকদের জন্য যুল হুলাইফা, শাম বা সিরিয়াবাসী এবং সিরিয়ার উপর দিয়ে রাস্তা অতিক্রমকারী ভিন দেশীয় লোকদের জুহফা, নজদবাসী এবং এর উপর দিয়ে রাস্তা অতিক্রমকারী ভিন দেশীয় লোকদের জন্য কারন (قرن), ইয়েমেনবাসী এবং ইয়েমেনের উপর দিয়ে রাস্তায় অতিক্রমকারী লোকদের জন্য ইয়ালামলাম, ইরাকবাসী এবং অন্যান্য সমস্ত লোকদের জন্য যাতু ইরক।
অনুবাদঃ হযরত আসওয়াদ ইবনে ইয়াযীদ (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) জনগণের সামনে খুতবা পেশ করে বলেনঃ তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি হজ্জ পালনের ইচ্ছা করে সে যেন মীকাতে না পৌঁছে ইহরাম না বাঁধে, যে মীকাত তোমাদের নবী (ﷺ) নির্ধারণ করে নিয়েছেন। অর্থাৎ মদীনাবাসী এবং মদীনার উপর দিয়ে রাস্তা অতিক্রমকারী ভিন দেশীয় লোকদের জন্য যুল হুলাইফা, শাম বা সিরিয়াবাসী এবং সিরিয়ার উপর দিয়ে রাস্তা অতিক্রমকারী ভিন দেশীয় লোকদের জুহফা, নজদবাসী এবং এর উপর দিয়ে রাস্তা অতিক্রমকারী ভিন দেশীয় লোকদের জন্য কারন (قرن), ইয়েমেনবাসী এবং ইয়েমেনের উপর দিয়ে রাস্তায় অতিক্রমকারী লোকদের জন্য ইয়ালামলাম, ইরাকবাসী এবং অন্যান্য সমস্ত লোকদের জন্য যাতু ইরক।
عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ: أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ خَطَبَ النَّاسَ، فَقَالَ: «مَنْ أَرَادَ مِنْكُمُ الْحَجَّ، فَلَا يُحْرِمَنَّ إِلَّا مِنَ الْمِيقَاتِ، وَالْمَوَاقِيتُ الَّتِي وَقَّتَهَا نَبِيُّكُمْ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَهْلِ الْمَدِينَةِ، وَمَنْ مَرَّ بِهَا مِنْ غَيْرِ أَهْلِهَا ذُو الْحُلَيْفَةِ، وَلِأَهْلِ الشَّامِ، وَمَنْ مَرَّ بِهَا مِنْ غَيْرِ أَهْلِهَا الْجُحْفَةُ، وَلِأَهْلِ نَجْدٍ، وَمَنْ مَرَّ بِهَا مِنْ غَيْرِ أَهْلِهَا قَرْنٌ، وَلِأَهْلِ الْيَمَنِ، وَمَنْ مَرَّ بِهَا مِنْ غَيْرِ أَهْلِهَا يَلَمْلَمُ، وَلِأَهْلِ الْعِرَاقِ، وَلِسَائِرِ النَّاسِ ذَاتُ عِرْقٍ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
ব্যাখ্যা: ইরাকবাসীদের জন্য মীকাত হিসেবে যাতু ইরক-এর নির্ধারণ নবী করীম (সা) থেকে বর্ণিত কিংবা হযরত উমর (রা)-এর ইজতিহাদ, এটা নিয়ে শাফিঈ এবং হানাফী মাযহাবের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। শাফিঈ মাযহাবের মত হলো এই যে, এটা যদিও সাহাবায়ে কিরামের সকলের গ্রহণযোগ্য মাসয়ালা কিন্তু এটা হযরত উমর (রা)-এর ইজতিহাদ। নবী করীম (সা) থেকে এটা মীকাত হওয়ার ব্যাপারে কোন রিওয়ায়েত নেই। বুখারী শরীফে হযরত ইবনে উমর (রা) বর্ণিত হাদীস এই মতের স্বপক্ষে দলীল হিসেবে পেশ করা হয়ে থাকে।
হযরত ইমাম আবূ হানীফা (রা) বলেনঃ স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সা) এটা নির্ধারণ করেছেন, এটা হযরত উমর (রা)-এর ইজতিহাদ নয়। তিনি উপরোক্ত হাদীস দলীল হিসেবে পেশ করেছেন। এছাড়া এর পূর্ববর্তী হাদীসও হানাফী মাযহাবের দলীল হিসেবে পেশ করা যায়। দ্বিতীয়ত মুসলিম হযরত আবূ যুবায়র-এর সূত্রে তিনি হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। রিওয়ায়েতে ধারণায় বিধান যেহেতু বিশ্বাসের মত, তাই হয়ত এই বাক্য رفع حديث এর প্রমাণ করে।
তৃতীয়ত আবূ দাঊদ ও অন্যান্য গ্রন্থে হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত আছে, স্বয়ং আঁ হযরত (সা) ইরাকবাসীর জন্য যাতু ইরক (ذات عرق) ইহরামের স্থান হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। চতুর্থত ইবনে মাজাহ আবু যুবায়রের সূত্রে হযরত জাবির (রা) থেকে যে হাদীস বর্ণনা করেছেন, তা এই হাদীসের সমর্থন করে। এছাড়া খুব সম্ভব বিষয়টি হযরত উমর (রা)-এর ইজতিহাদ এবং নবী করীম (সা)-এর মীকাত নির্ধারণের বিষয়টি তাঁর নিকট পৌঁছেনি। কিন্তু হযরত উমর (রা)-এর মতমত হুযুর (সা)-এর মীকাত নির্ধারণের সাথে পরস্পর মিলে গিয়েছে।
হযরত ইমাম আবূ হানীফা (রা) বলেনঃ স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সা) এটা নির্ধারণ করেছেন, এটা হযরত উমর (রা)-এর ইজতিহাদ নয়। তিনি উপরোক্ত হাদীস দলীল হিসেবে পেশ করেছেন। এছাড়া এর পূর্ববর্তী হাদীসও হানাফী মাযহাবের দলীল হিসেবে পেশ করা যায়। দ্বিতীয়ত মুসলিম হযরত আবূ যুবায়র-এর সূত্রে তিনি হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। রিওয়ায়েতে ধারণায় বিধান যেহেতু বিশ্বাসের মত, তাই হয়ত এই বাক্য رفع حديث এর প্রমাণ করে।
তৃতীয়ত আবূ দাঊদ ও অন্যান্য গ্রন্থে হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত আছে, স্বয়ং আঁ হযরত (সা) ইরাকবাসীর জন্য যাতু ইরক (ذات عرق) ইহরামের স্থান হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। চতুর্থত ইবনে মাজাহ আবু যুবায়রের সূত্রে হযরত জাবির (রা) থেকে যে হাদীস বর্ণনা করেছেন, তা এই হাদীসের সমর্থন করে। এছাড়া খুব সম্ভব বিষয়টি হযরত উমর (রা)-এর ইজতিহাদ এবং নবী করীম (সা)-এর মীকাত নির্ধারণের বিষয়টি তাঁর নিকট পৌঁছেনি। কিন্তু হযরত উমর (রা)-এর মতমত হুযুর (সা)-এর মীকাত নির্ধারণের সাথে পরস্পর মিলে গিয়েছে।
