আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
১- ঈমানের অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৫৫
৪১. আমল নিয়ত ও সাওয়াবের আশা অনুযায়ী প্রত্যেক মানুষের প্রাপ্য তার নিয়ত অনুযায়ী।
৫৩। হাজ্জাজ ইবনে মিনহাল (রাহঃ) ......... আবু মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেনঃ মানুষ তার পরিবারের জন্য সাওয়াবের নিয়তে যখন খরচ করে তখন তা হয় তার সাদ্কা স্বরূপ।
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পরিবারবর্গের পেছনে অর্থব্যয়কে সদাকা সাব্যস্ত করেছেন, যদি তা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে করা হয়। يحتسب ক্রিয়াপদটির উৎপত্তি احتساب) (ইহতিসাব) থেকে। ইহতিসাব অর্থ যে আমল করা হয় তাতে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টিলাভের ইচ্ছা রাখা এবং তার জন্য যে ছাওয়াব নির্দিষ্ট আছে তা পাওয়ার আশা রাখা। এ হাদীছ জানাচ্ছে, ইহতিসাবের সঙ্গে পরিবার-পরিজনের পেছনে ব্যয় করলে সে ব্যয় সদাকারূপে গণ্য হয়। অর্থাৎ তাতে সদাকার ছাওয়াব পাওয়া যায়।
সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ কতইনা দয়াময়। পরিবার-পরিজনের পেছনে মানুষ স্বভাবতই ব্যয় করে থাকে। এ ব্যাপারে অবহেলা করে ঘোর নিষ্ঠুর কিংবা চরম উদাসীন প্রকৃতির লোক। এরকম লোক ছাড়া প্রায় সকলেই নিজ মনের আনন্দ ও পরিতৃপ্তির জন্যই বিবি-বাচ্চার জন্য টাকা-পয়সা খরচ করে এবং তাদের জন্যই আয় রোযগার করে। তো যে কাজটি মানুষ স্বভাবতই মনের আগ্রহে করে থাকে, কেবল নিয়তের বদলের কারণে তা সদাকা ও ছাওয়াবের কাজে পরিণত হয়ে যায়।
আবার এভাবেও চিন্তা করা যায় যে, পরিবার-পরিজনের পেছনে ব্যয় করা প্রত্যেকের অবশ্যকর্তব্য। শরীআত এটাকে ওয়াজিব করেছে। তাদের পেছনে ব্যয় করার দ্বারা ওয়াজিব আদায় ও কর্তব্য পালন হয়। তো যে ব্যয়ের দ্বারা কর্তব্য পালন হয় তাতে ছাওয়াবের প্রশ্ন কী? কিন্তু আল্লাহ তাআলা এতেও ছাওয়াব রেখেছেন। এটা কেবলই তাঁর রহমত ও দয়া। এর জন্য তাঁর হাজারও শোকর।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. পরিবার-পরিজনের পেছনে টাকা-পয়সা খরচ করা কেবল দুনিয়াবী কাজ নয়; এটা ছাওয়াবের কাজও বটে। তাই এরূপ কাজেও ছাওয়াবের আশা রাখা চাই।
খ. দুনিয়ার স্বভাবগত কাজসমূহও নেক নিয়তের কারণে ছাওয়াবের কাজে পরিণত হয়। তাই মুমিন-মুসলিমের কর্তব্য এ জাতীয় কাজেও নেক নিয়তের চর্চা করা।
সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ কতইনা দয়াময়। পরিবার-পরিজনের পেছনে মানুষ স্বভাবতই ব্যয় করে থাকে। এ ব্যাপারে অবহেলা করে ঘোর নিষ্ঠুর কিংবা চরম উদাসীন প্রকৃতির লোক। এরকম লোক ছাড়া প্রায় সকলেই নিজ মনের আনন্দ ও পরিতৃপ্তির জন্যই বিবি-বাচ্চার জন্য টাকা-পয়সা খরচ করে এবং তাদের জন্যই আয় রোযগার করে। তো যে কাজটি মানুষ স্বভাবতই মনের আগ্রহে করে থাকে, কেবল নিয়তের বদলের কারণে তা সদাকা ও ছাওয়াবের কাজে পরিণত হয়ে যায়।
আবার এভাবেও চিন্তা করা যায় যে, পরিবার-পরিজনের পেছনে ব্যয় করা প্রত্যেকের অবশ্যকর্তব্য। শরীআত এটাকে ওয়াজিব করেছে। তাদের পেছনে ব্যয় করার দ্বারা ওয়াজিব আদায় ও কর্তব্য পালন হয়। তো যে ব্যয়ের দ্বারা কর্তব্য পালন হয় তাতে ছাওয়াবের প্রশ্ন কী? কিন্তু আল্লাহ তাআলা এতেও ছাওয়াব রেখেছেন। এটা কেবলই তাঁর রহমত ও দয়া। এর জন্য তাঁর হাজারও শোকর।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. পরিবার-পরিজনের পেছনে টাকা-পয়সা খরচ করা কেবল দুনিয়াবী কাজ নয়; এটা ছাওয়াবের কাজও বটে। তাই এরূপ কাজেও ছাওয়াবের আশা রাখা চাই।
খ. দুনিয়ার স্বভাবগত কাজসমূহও নেক নিয়তের কারণে ছাওয়াবের কাজে পরিণত হয়। তাই মুমিন-মুসলিমের কর্তব্য এ জাতীয় কাজেও নেক নিয়তের চর্চা করা।


বর্ণনাকারী: