মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
৬. রোযার অধ্যায়
হাদীস নং: ২১১
রোযা অবস্থায় চুমো দেওয়া
২১১। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এ অবস্থায় ফজর নামাযের জন্য গমন করতেন যে, তার পবিত্র মাথা থেকে (গোসলের পানির ফোঁটা পড়ত। (অতঃপর) তিনি রোযা রাখতেন। ।
একই সনদে বর্ণিত আছে, নবী করীম (ﷺ) রমযান মাসে তাঁর স্ত্রীদের চুমো দিতেন।
একই সনদে বর্ণিত আছে, নবী করীম (ﷺ) রমযান মাসে তাঁর স্ত্রীদের চুমো দিতেন।
عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْرُجُ إِلَى الْفَجْرِ، وَرَأْسُهُ يَقْطُرُ، وَيَظَلُّ صَائِمًا» وَبِإِسْنَادِهِ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «يُقَبِّلُ نِسَاءَهُ فِي رَمَضَانَ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
উপরোক্ত হাদীসের দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, রোযা অবস্থায় চুমো দেওয়াতে রোযা ভঙ্গ হয় না। হযরত আয়েশা (রা) থেকে বুখারী শরীফে মরফু' রিওয়ায়েত বর্ণিত আছে যে, হুযুর (সা) রোযা অবস্থায় (স্বীয় স্ত্রীদের) চুমো দিতেন, মেলামেশা করতেন এবং তিনি স্বীয় কামনা আবেগের উপর তোমাদের থেকে অধিক নিয়ন্ত্রণ রাখতেন। হাদীসের মূল কথা হলো এই যে, যেহেতু আঁ হযরত (সা)-এর আবেগের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল, সুতরাং প্রত্যেকের স্বীয় আবেগ ও কামনার উপর পূর্ণ আস্থা থাকতে হবে। তাই ফিকহর কিভাবে قبلة এর সাথে ان امن শব্দ বৃদ্ধি করেছে, যার অর্থ চুমো সঙ্গম পর্যন্ত সীমাতিক্রম না করার ব্যাপারে সম্পূর্ণ আস্থা থাকতে হবে।
ইমাম শাফিঈ (রা) চুমো জায়েয হওয়ার বিষয়টি কোন শর্তের সাথে যুক্ত করেন নি।
ইমাম শাফিঈ (রা) চুমো জায়েয হওয়ার বিষয়টি কোন শর্তের সাথে যুক্ত করেন নি।
