মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
৪. নামায অধ্যায়
হাদীস নং: ১৮৭
জানাযার বর্ণনা
১৮৭। হযরত উম্মে হানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন : যে ব্যক্তি এটা জানে অথবা মনে করে যে, আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করে দিবেন, তা হলে তাকে ক্ষমা করা হয়েছে।
عن إسماعيل عن أبي صالح عن أم هانىء قالت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: "من علم أن الله يغفر له. فهو مغفور
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এই হাদীসের মূল হলো অন্য একটি হাদীস যা বুখারী, মুসলিম ও নাসাঈ শরীফে বর্ণিত আছে যে, এক ব্যক্তি পাপকাজে লিপ্ত হওয়ার পর (অনুতপ্ত হয়ে) বলে, হে আমার প্রতিপালক! আমি পাপ করেছি, আমাকে ক্ষমা করে দাও। তখন তার প্রতিপালক (আল্লাহ্) বলেন : আমার বান্দা এটা জানে যে, তার একজন প্রতিপালক রয়েছেন যিনি পাপ মার্জনা করে থাকেন এবং শাস্তিও দিয়ে থাকেন। সুতরাং আমি আমার বান্দার গুনাহ ক্ষমা করে দিলাম। এরপর আল্লাহর যতদিন ইচ্ছা, সে এভাবে চলতে থাকে এবং দ্বিতীয়বার সে পাপকাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে। অতঃপর বলে থাকে, হে আমার রব! দ্বিতীয়বার আমার দ্বারা গুনাহ্ সাধিত হয়েছে, অনুগ্রহ করে আমাকে ক্ষমা কর। আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ আমার বান্দা কি মনে করে যে, তার একজন প্রতিপালক রয়েছেন যিনি গুনাহ মার্জনা করেন এবং গুনাহ্ কারণে তাকে শাস্তিও দিয়ে থাকেন ? সুতরাং আমার বান্দার গুনাহ মার্জনা করে দিলাম। অতঃপর আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী কিছু দিন থাকার পর পুনরায় সে তৃতীয়বার গুনাহ কাজে লিপ্ত হয় এবং (অনুতপ্ত হয়ে) বলে, হে আমার প্রতিপালক! আমি পুনরায় গুনাহ্ করেছি, আমাকে তুমি ক্ষমা কর। তখন আল্লাহ্ ইরশাদ করেন, সে কি এটা জানে যে, তার একজন রব রয়েছেন, যিনি গুনাহ মাফ করে থাকেন এবং এরজন্য শাস্তিও দিতে পারেন । সুতরাং আমি তৃতীয়বারও আমার বান্দার গুনাহ্ মাফ করে দিলাম। কিন্তু আল্লাহ্ তাআলার এই ক্ষমা প্রদর্শন ঐ সময়, যখন গুনাহ্ করার সাথে সাথে বান্দা খালেসভাবে তাওবা করে থাকে। এরপর ঘটনাক্রমে হঠাৎ করে মানবীয় জৈবিক চাহিদার কারণে ত্রুটি ও গুনাহ্ হয়ে যায়। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, উক্ত আদেশের দ্বারা (নাউযুবিল্লাহ্) মানুষের জন্য গুনাহ্ করার এক প্রশস্ত ও সহজ রাস্তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে মানুষ গুনাহ্ করতে থাকবে এবং প্রত্যেক গুনাহর পর ইয়াহুদীদের মত سيغفرلنا উচ্চারণ করবে। এটা গুনাহ্ মাফের আবেদন নয় ; বরং আল্লাহর সাথে ঠাট্টা করার নামান্তর বৈ আর কিছু নয়। نعوذ بالله من ذلك


বর্ণনাকারী: