মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

৪. নামায অধ্যায়

হাদীস নং: ১৪৬
মহিলাদের কোন কল্যাণকর কাজে এবং সমস্ত মুসলমানদের দু'আয় অংশগ্রহণের
উদ্দেশ্যে গমনের অনুমতি
১৪৬। হযরত উম্মে আতিয়্যা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, নবী করীম (ﷺ)-এর পক্ষ থেকে। মহিলাদেরকে দু ঈদের নামাযে অংশগ্রহণের জন্য অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। ফলে দুটি বালিকা একটি কাপড়ে (ওড়না) আবৃত হয়ে বের হতো। এমনকি ঋতুবতী মহিলাও বের হতো এবং মানুষ থেকে দূরে গিয়ে পৃথক হয়ে বসত। এ সমস্ত মহিলা দুআর মধ্যে অংশগ্রহণ করত কিন্তু নামায পড়ত না।
عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، مَنْ سَمِعَ , أُمَّ عَطِيَّةَ، تَقُولُ: «رُخِّصَ لِلنِّسَاءِ فِي الْخُرُوجِ إِلَى الْعِيدَيْنِ، حَتَّى لَقَدْ كَانَتِ الْبِكْرَانِ تَخْرُجَانِ فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ، حَتَّى لَقَدْ كَانَتِ الْحَايِضُ تَخْرُجُ، فَتَجْلِسُ فِي عُرْضِ النَّاسِ يَدْعُونَ وَلَا يُصَلِّينَ»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এই হাদীসের দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, হুযুর (সা)-এর যুগে মহিলাদের মসজিদ ও ঈদগাহে গিয়ে নামাযে অংশগ্রহণের অনুমতি ছিল। এমন কি যুবতী মেয়ে এবং ঋতুবতী মহিলারাও উপস্থিত হতো কিন্তু তারা নামাযে অংশগ্রহণ করত না। বুখারী ও মুসলিম শরীফে হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত আছে,لا تمنعوا إماء الله مساجد الله “আল্লাহর বান্দীদের (মহিলাদের )-কে আল্লাহর মসজিদে (গমনে) বাধা প্রদান কর না। অবশ্য তাদের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার না করার কঠোর নির্দেশ ছিল। যেমন হযরত আবদুল্লাহর স্ত্রী হযরত যয়নব (রা) থেকে মরফু হাদীস বর্ণিত আছে, যখন তোমাদের (মহিলাদের মধ্যে কেউ মসজিদে গমন করবে, তখন সুগন্ধি ব্যবহার করবে না। কিন্তু এর সাথে বুখারী ও মুসলিম শরীফে হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন। যদি নবী করীম (সা) তাঁর পরে বর্তমান মহিলাদের অবস্থা প্রত্যক্ষ করতেন, তাহলে নিশ্চয়ই তিনি তাদেরকে মসজিদে আগমণে বাধা দান করতেন। এই কারণেই পরবর্তী উলামায়ে কিরাম (علماء متأخرين) মহিলাদের মসলিনে গমণকে নিষেধ করে দিয়েছেন। সায়দালানী (صيدلانى) বলেন : এ অনুমতি ঐ সময় ছিল। কিন্তু বর্তমানে মহিলালের পূর্বের ন্যায় বের হওয়া মাকরূহ। কেননা বর্তমানে সামাজিক অবস্থা খুবই বিপদজনক। তাই এর থেকে নিরাপদ থাকাই উত্তম। তবে বর্তমানেও যদি কোন মসজিদে মহিলাগণ উপস্থিত হয় এবং এতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকে, তাহলে ক্ষতি নেই।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান