মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
৪. নামায অধ্যায়
হাদীস নং: ১৩২
কাতার মিলানোর ফযীলতের বর্ণনা
১৩২। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন : নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা এবং ফিরিশতাগণ ঐ সমস্ত লোকের উপর দরূদ পাঠ করেন যারা (নামাযে) কাতার বরাবর রাখে [(কাতারের) মাঝে ফাঁক ও খোলা না রাখে]।
عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الَّذِينَ يَصِلُونَ الصُّفُوفَ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
ইমাম ইবনে মাজাহ হযরত আয়েশা (রা) থেকে এই হাদীস মরফূ' রিওয়ায়েত করেছেন। এতে শুধু এতটুকু বেশি আছে من صد فرجة رفعه الله بها درجة যে ব্যক্তি ফাঁকা জায়গা পূরণ করে, আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করেন।" আহমদ, ইবনে হাব্বান, হাকিম অন্যান্য মুহাদ্দিসগণ এই রিওয়ায়েত করেছেন। মোট কথা কাতার মিলানোর ব্যাপারে বিভিন্ন হাদীসে জোর তাকীদ ও গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। অবহেলা করার জন্য কঠোর শাস্তির কথা বর্ণিত আছে। হাকিম হযরত ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি কাতার কাটবে (ফাঁক রাখবে), আল্লাহ তাকে কাটবেন (শাস্তি প্রদান করবেন)। কাতার মিলানোর অর্থ হলো এই যে, দু'জনের মধ্যে কোন ফাঁক রাখবে না, বরং কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে হবে। খলীফা চতুষ্টয় তাঁদের খিলাফত আমলে এর উপর অত্যন্ত গুরুত্ব প্রদান করতেন। হযরত আলী (রা) এবং হযরত উসমান (রা) স্বয়ং এর তত্ত্বাবধান করতেন। হযরত আলী (রা) মুকতাদীদের কাউকে বলতেন, তুমি সামনে যাও এবং কাউকে বলতেন তুমি পিছনে যাও।


বর্ণনাকারী: