মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

৪. নামায অধ্যায়

হাদীস নং: ১৩১
দু'জনের জামাআত
১৩১। হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, করীম (ﷺ) তার পিছনে এক ব্যক্তি এবং ঐ ব্যক্তির পিছনে এক মহিলাকে নিয়ে জামাআতে নামায আদায় করেন।
عَنِ الْهَيْثَمِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى بِرَجُلٍ فَصَلَّى خَلْفَهُ، وَامْرَأَةٌ خَلْفَ ذَلِكَ، صَلَّى بِهِمْ جَمَاعَةً»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

উপরোক্ত হাদীসে এটা বর্ণনা করা হয়নি যে, এই পুরুষ ও মহিলা কে ছিলেন। সম্ভবত হযরত আনাস (রা) এবং তাঁর মা হযরত উম্মে সুলায়ম (রা) সম্পর্কে এই ঘটনা হতে পারে। হুযূর (সা)-এর পিছনে হযরত আনাস (রা) এবং তাঁর পিছনে হযরত উম্মে সুলায়ম ছিলেন। অথবা এই ঘটনা হযরত আলী (রা) এবং হযরত খাদীজা (রা) সম্পর্কে হতে পারে। হুযূর (সা)-এর পিছনে হযরত আলী (রা) একা ছিলেন এবং পিছনে হযরত খাদীজা (রা) ছিলেন। ইমাম আবূ হানীফা এরদ্বারা দলীল পেশ করেন নামাযে পুরুষ মহিলা বরাবর দাঁড়ালে পুরুষের নামায ফাসেদ হয়ে যাবে। যদি এই আশংকা না হতো, তা হলে মহিলাদেরকে পুরুষদের সাথে দাঁড়াবার অনুমতি দেওয়া হতো। কেননা কাতারে একা দাঁড়ানোও ঠিক নয়। ইমাম আবূ হানীফা (র)-এর মতে মাকরূহ এবং ইমাম আহমদ (র)-এর মতে ফাসেদ। যখন দু'টি মন্দ একত্র হয়, তখন সাধারণত অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র মন্দকে গ্রহণ করা হয়। এখানে পুরুষ ও মহিলা বরাবর দাঁড়ানোর মন্দ থেকে অপেক্ষাকৃত কম দূষণীয় হলো একা দাঁড়ানো। তাই এটা গ্রহণ করা হয়েছে।