মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

৪. নামায অধ্যায়

হাদীস নং: ৯১
আযান ও ইকামতের বর্ণনা
৯১। হযরত ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন: নবী (ﷺ) মুয়াযিযনের আযানের সময় ঐ বাক্যসমূহ উচ্চারণ করতেন, যা মুয়াযযিন বলত।
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، يَقُولُ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِذَا أَذَّنَ الْمُؤَذِّنُ قَالَ مِثْلَ مَا يَقُولُ الْمُؤَذِّنُ»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

ইমাম বুখারী (র) হযরত আবূ সাঈদ (রা) থেকে মরফূ' রিওয়ায়েত করেন যে, যখন তোমরা আযান শোন, তখন মুয়াযযিন যেরূপ বলেন, তোমরাও তদ্রূপ বলতে থাক। ইবনে মাজাহ হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে মরফু রিওয়ায়েত করেন যে, যখন মুয়াযযিন আযান দিবে তখন মুয়াযযিন যা বলবে, তোমরাও তা বলতে থাক। মোটকথা, সহীহ্ হাদীস ও সুনানে প্রায় একই বাক্যের দ্বারা এ হাদীস বর্ণিত আছে। কিন্তু যখন মুয়াযযিন حي على الصلاة এবং حي على الفلاح বলবে, এর জবাবে لا حول ولا قوة الا بالله পড়তে হবে। কেননা তাহাবী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত আছে যে, যখন হযরত (সা) মুয়াযযিনের আযান শুনতেন তখন মুয়াযিযনের উচ্চারিত বাক্যসমূহ তিনিও উচ্চারণ করতেন। তবে যখন মুয়াযযিন حي على الصلاة এবং حي على الفلاح বলত, তখন তিনি لا حول ولا قوة الا بالله বলতেন। নিশ্চয়ই এ বাক্যসমূহ উচ্চারণে যথেষ্ট সওয়াব ও ফযীলত রয়েছে। কোন কোন মুহাদ্দিস বর্ণনা করেছেন যে, যে ব্যক্তি আযানের জবাব প্রদান করবেন, তিনি কিয়ামতের দিন সমস্ত মানুষের মধ্যে অধিক সম্মানের অধিকারী হবেন।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান