মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
৪. নামায অধ্যায়
হাদীস নং: ৮৯
আসরের নামায কাযা হওয়া সম্পর্কে হুঁশিয়ারী
৮৯। হযরত আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন : ফজরের নামাযের পর সূর্য উদয় হওয়া পর্যন্ত কোন নামায় নেই এবং আসর নামাযের পর সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বে কোন নামায নেই । ঈদুল আযহা এবং ঈদুল ফিতরের দিন কোন রোযা রাখা যাবে না। তিনটি মসজিদ ব্যতীত অন্য কোথাও সফর করা যাবে না। মসজিদে হারাম, মসজিদে আকসা এবং আমার এ মসজিদ (মসজিদে নববী)। আর মহিলাগণ মুহরিম ব্যতীত দু'দিনও সফর করবে না।
عنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ قَزْعَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا صَلَاةَ بَعْدَ الْغَدَاةِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ، وَلَا صَلَاةَ بَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغِيبَ، وَلَا يُصَامُ هَذَانِ الْيَوْمَانِ: الْأَضْحَى وَالْفِطْرُ، وَلَا تُشَدُّ الرِّحَالُ إِلَّا إِلَى ثَلَاثَةِ مَسَاجِدَ: إِلَى الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ، وَالْمَسْجِدِ الْأَقْصَى، وَإِلَى مَسْجِدِي هَذَا، وَلَا تُسَافِرُ الْمَرْأَةُ يَوْمَيْنِ إِلَّا مَعَ ذِي مَحْرَمٍ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
সিহাহ সিত্তাহ গ্রন্থসমূহে প্রায় একই বাক্য দ্বারা এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে, বরং এত অধিক সংখ্যক সাহাবা থেকে এ হাদীস বর্ণিত হয়েছে যে, হানাফী ফকীহগণ এটিকে মুতাওয়াতির হিসেবে গণ্য করেছেন।
এ হাদীসে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মাসয়ালা বর্ণনা করা হয়েছে। প্রথম মাসয়ালা ফজর নামাযের পর সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত এবং আসর নামাযের পর সূর্যাস্তের পূর্বে কোন নামায পড়া মাকরূহ। এ হাদীস ঐ লোকদের মতামতকে খন্ডন করেছে, যারা আসর নামাযের পর দু'রাকআত নামার জায়েয বলে মনে করে। অথবা এমন সময় ফজর নামায জায়েয মনে করে যখন সূর্য উদিত হয়। অথবা যারা ফজর নামাযের পর সুন্নতের কাযা জায়েয মনে করে। অথবা জুমুআর দিন মাকরূহ সময়ে নফল নামায জায়েয মনে করে। উক্ত চারটি মতামতকে হাদীসের প্রথম অংশের দ্বারা খন্ডন করা হয়েছে। তবে আসরের পর দু'রাকআত নামায কোন কোন সহীহ রিওয়ায়েতে বর্ণিত আছে। এমনকি বুখারী ও মুসলিম শরীফে এ হাদীস বর্ণিত আছে। বরং এর উপর হুযূর (সা)-এর অনবরত আমলেরও প্রমাণ রয়েছে। কিন্তু এ হাদীসের দৃষ্টিকোণ থেকে এ আমল হুযূর (সা)-এর সাথে সম্পৃক্ত বা নির্ধারিত ছিল। উম্মতের জন্য এ বিধান নিষিদ্ধ। এতে জায়েয হওয়ার কোন পথ নেই। যেমন হুযূৱ (সা) অনবরত রোযা (صوم وصال) রাখতেন। কিন্তু তা উম্মতের জন্য
নিষেধ করেছেন। এটা ছিল হুযুর (সা)-এর বিশেষ আমল।
দ্বিতীয় মাসয়ালা হলো, দু'ঈদের দিন রোযা রাখা নিষিদ্ধ। বুখারী ও মুসলিম শরীফে হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, نهى صوم والفطر والنحر এটি অর্থাৎ হুযূর (সা) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন রোযা রাখার ব্যাপারে নিষেধ করেছেন। ঈদুল আযহার সাথে এগার, বার এবং তেরই যিলহজ্জও এ বিধানের অন্তর্ভুক্ত। কেননা মুসলিম শরীফে নাবীশা থেকে মরফূ রিওয়ায়েতে বর্ণিত আছে যে, ايام التشريق ايام اكل وشراب وذكر الله অর্থাৎ আইয়্যামে তাশরীক (এগার, বার ও তেরই যিলহজ্জ) পানাহার ও আল্লাহর যিকিরের দিন। সুতরাং রোযা রেখে নিজের উপর পানাহার হারাম করে নেওয়া কিভাবে জায়েয় হবে? মোটকথা, এ দিনসমূহে রোযা হারাম হওয়ার ব্যাপারে আইম্মায়ে কিরাম একমত; তবে এ সমস্ত দিনে হানাফী মাযহাবমতে শুধু মান্নতের রোযা রাখা জায়েয আছে। কেননা তাঁদের মতে মান্নতের রোষাও একটি ইবাদত। রোযার জন্য দিন নির্দিষ্ট করার ফলে অন্যান্য রোযা হারাম হওয়া রোয়ার মূল কাজকে বাধা প্রদান করে, দিন নির্ধারণকে নয়। সুতরাং এই পার্থক্যের কারণে মান্নতের রোযা জায়েয ও সঠিক হবে। কিন্তু উপরোক্ত হাদীসের মর্মানুযায়ী এ দিনসমূহে রোযা রাখার কোন সুযোগ নেই। এ মান্নতের কাযা অন্য কোন দিন আদায় করতে হবে।
এ হাদীসের মধ্যে তৃতীয় মাসয়ালা হলো এই যে, সওয়াব হাসিলের উদ্দেশ্যে কোন্ কোন্ মসজিদের দিকে সফর করা জায়েয় এবং কোন কোন মসজিদের দিকে জায়েয় নয়। কোন কোন মুহাদ্দিস এবং ইমাম বাহ্যিক হাদীসের উপর ভিত্তি করে তিনটি মসজিদ ব্যতীত অন্য কোন মসজিদের দিকে সফর করা জায়েয নয় বলে মনে করেন। তাঁরা সফরের উদ্দেশ্যের মধ্যে কিছু বৈশিষ্ট্য সংযোগ করে অন্যান্য মসজিদকে এ নির্দেশ ও বিধান থেকে পৃথক করেছেন। অর্থাৎ এ নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হলো এই যে, যদি আল্লাহর নৈকট্যলাভের কামনা থাকে, তাহলে এ তিনটি মসজিদের দিকে সফর করতে হবে। কেননা সমস্ত মসজিদের মধ্যে তিনটি মসজিদের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। তবে কেউ যদি ইলম অন্বেষণ, ব্যবসা এবং কারো হক আদায়ের উদ্দেশ্যে সফর করে, তাহলে অন্যান্য মসজিদের দিকে এরূপ সফর করা জায়েয হবে। সুতরাং মোল্লা আলী কারী (র)-এর উক্তি এ দিকেই ইঙ্গিত করেছে। কোন কোন নিষেধাজ্ঞাকে ফযীলতের তুলনা করে বলা হয় যে, অন্যান্য মসজিদের তুলনায় এ তিন মসজিদের যিয়ারত অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ ও মর্যাদাসম্পন্ন। আল্লামা নববী (র) এ ধারণাকে জমহুর বা অধিকাংশ উলামায়ে কিরামের মত বলে উল্লেখ করেছেন।
আবার কেউ কেউ নিষেধাজ্ঞার সীমাকে আরো বৃদ্ধি করে নেককার ব্যক্তি ও আত্মীয়-স্বজনদের কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্য সফর করাকেও শরীয়ত বিরোধী ও খারাপ মনে করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে উল্লেখিত কাজসমূহ এ নির্দেশের আওতায় পড়ে না। হাদীসে বর্ণিত তিনটি মসজিদের ফযীলতের বর্ণনার দ্বারা অন্যান্য মসজিদকে পৃথক করা হয়েছে। এতে কবর যিয়ারত বিতর্কিত। কেউ কেউ এটাকে মুবাহ বলেছেন। আবার কেউ কেউ নিষিদ্ধ বলেছেন। অবশ্য নেককার আত্মীয়-স্বজন অথবা ব্যবসার উদ্দেশ্যে সফর মাকরূহ ছাড়াই জায়েয। সুতরাং আল্লামা ইরাকী এ বিষয়টিকে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন বরং ইমাম আহমদ (র)-এর বর্ণনায় এর বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে।
চতুর্থ মাসয়ালা দু'টি অবস্থার উপর বিদ্যমান। প্রথমতঃ মহিলাগণ স্বামী কিংবা অন্যান্য মুহরিম তথা পুত্র, ভাই, মামা, চাচা, ছাড়া সফর করতে পারবে কিনা? দ্বিতীয়তঃ তাদের সফরের সময়সীমা, কোথাও কোথাও একদিন একরাত বর্ণিত আছে। যদি সফরের আভিধানিক অর্থ গ্রহণ করা হয়, তাহলে একদিন এক রাতের কম সময়ের সফরও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মুসলিম শরীফের রিওয়ায়েতে একরাত, আবার অন্যান্য গ্রন্থে একদিন। ইমাম আবূ হানীফা (র) এবং ইমাম আবূ ইউসুফ (র) থেকে একটি এরূপ রিওয়ায়েত বর্ণিত আছে যে, মহিলাদের একদিনের জন্য মুহরিম ব্যতীত সফর করা নিষেধ। কিন্তু গ্রহণযোগ্য মত হলো এই যে, সবচেয়ে কম সময়ের সফরে মহিলাগণ স্বামী ও মুহরিম ব্যতীত সফর করতে পারবে।
এ হাদীসে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মাসয়ালা বর্ণনা করা হয়েছে। প্রথম মাসয়ালা ফজর নামাযের পর সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত এবং আসর নামাযের পর সূর্যাস্তের পূর্বে কোন নামায পড়া মাকরূহ। এ হাদীস ঐ লোকদের মতামতকে খন্ডন করেছে, যারা আসর নামাযের পর দু'রাকআত নামার জায়েয বলে মনে করে। অথবা এমন সময় ফজর নামায জায়েয মনে করে যখন সূর্য উদিত হয়। অথবা যারা ফজর নামাযের পর সুন্নতের কাযা জায়েয মনে করে। অথবা জুমুআর দিন মাকরূহ সময়ে নফল নামায জায়েয মনে করে। উক্ত চারটি মতামতকে হাদীসের প্রথম অংশের দ্বারা খন্ডন করা হয়েছে। তবে আসরের পর দু'রাকআত নামায কোন কোন সহীহ রিওয়ায়েতে বর্ণিত আছে। এমনকি বুখারী ও মুসলিম শরীফে এ হাদীস বর্ণিত আছে। বরং এর উপর হুযূর (সা)-এর অনবরত আমলেরও প্রমাণ রয়েছে। কিন্তু এ হাদীসের দৃষ্টিকোণ থেকে এ আমল হুযূর (সা)-এর সাথে সম্পৃক্ত বা নির্ধারিত ছিল। উম্মতের জন্য এ বিধান নিষিদ্ধ। এতে জায়েয হওয়ার কোন পথ নেই। যেমন হুযূৱ (সা) অনবরত রোযা (صوم وصال) রাখতেন। কিন্তু তা উম্মতের জন্য
নিষেধ করেছেন। এটা ছিল হুযুর (সা)-এর বিশেষ আমল।
দ্বিতীয় মাসয়ালা হলো, দু'ঈদের দিন রোযা রাখা নিষিদ্ধ। বুখারী ও মুসলিম শরীফে হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, نهى صوم والفطر والنحر এটি অর্থাৎ হুযূর (সা) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন রোযা রাখার ব্যাপারে নিষেধ করেছেন। ঈদুল আযহার সাথে এগার, বার এবং তেরই যিলহজ্জও এ বিধানের অন্তর্ভুক্ত। কেননা মুসলিম শরীফে নাবীশা থেকে মরফূ রিওয়ায়েতে বর্ণিত আছে যে, ايام التشريق ايام اكل وشراب وذكر الله অর্থাৎ আইয়্যামে তাশরীক (এগার, বার ও তেরই যিলহজ্জ) পানাহার ও আল্লাহর যিকিরের দিন। সুতরাং রোযা রেখে নিজের উপর পানাহার হারাম করে নেওয়া কিভাবে জায়েয় হবে? মোটকথা, এ দিনসমূহে রোযা হারাম হওয়ার ব্যাপারে আইম্মায়ে কিরাম একমত; তবে এ সমস্ত দিনে হানাফী মাযহাবমতে শুধু মান্নতের রোযা রাখা জায়েয আছে। কেননা তাঁদের মতে মান্নতের রোষাও একটি ইবাদত। রোযার জন্য দিন নির্দিষ্ট করার ফলে অন্যান্য রোযা হারাম হওয়া রোয়ার মূল কাজকে বাধা প্রদান করে, দিন নির্ধারণকে নয়। সুতরাং এই পার্থক্যের কারণে মান্নতের রোযা জায়েয ও সঠিক হবে। কিন্তু উপরোক্ত হাদীসের মর্মানুযায়ী এ দিনসমূহে রোযা রাখার কোন সুযোগ নেই। এ মান্নতের কাযা অন্য কোন দিন আদায় করতে হবে।
এ হাদীসের মধ্যে তৃতীয় মাসয়ালা হলো এই যে, সওয়াব হাসিলের উদ্দেশ্যে কোন্ কোন্ মসজিদের দিকে সফর করা জায়েয় এবং কোন কোন মসজিদের দিকে জায়েয় নয়। কোন কোন মুহাদ্দিস এবং ইমাম বাহ্যিক হাদীসের উপর ভিত্তি করে তিনটি মসজিদ ব্যতীত অন্য কোন মসজিদের দিকে সফর করা জায়েয নয় বলে মনে করেন। তাঁরা সফরের উদ্দেশ্যের মধ্যে কিছু বৈশিষ্ট্য সংযোগ করে অন্যান্য মসজিদকে এ নির্দেশ ও বিধান থেকে পৃথক করেছেন। অর্থাৎ এ নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হলো এই যে, যদি আল্লাহর নৈকট্যলাভের কামনা থাকে, তাহলে এ তিনটি মসজিদের দিকে সফর করতে হবে। কেননা সমস্ত মসজিদের মধ্যে তিনটি মসজিদের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। তবে কেউ যদি ইলম অন্বেষণ, ব্যবসা এবং কারো হক আদায়ের উদ্দেশ্যে সফর করে, তাহলে অন্যান্য মসজিদের দিকে এরূপ সফর করা জায়েয হবে। সুতরাং মোল্লা আলী কারী (র)-এর উক্তি এ দিকেই ইঙ্গিত করেছে। কোন কোন নিষেধাজ্ঞাকে ফযীলতের তুলনা করে বলা হয় যে, অন্যান্য মসজিদের তুলনায় এ তিন মসজিদের যিয়ারত অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ ও মর্যাদাসম্পন্ন। আল্লামা নববী (র) এ ধারণাকে জমহুর বা অধিকাংশ উলামায়ে কিরামের মত বলে উল্লেখ করেছেন।
আবার কেউ কেউ নিষেধাজ্ঞার সীমাকে আরো বৃদ্ধি করে নেককার ব্যক্তি ও আত্মীয়-স্বজনদের কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্য সফর করাকেও শরীয়ত বিরোধী ও খারাপ মনে করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে উল্লেখিত কাজসমূহ এ নির্দেশের আওতায় পড়ে না। হাদীসে বর্ণিত তিনটি মসজিদের ফযীলতের বর্ণনার দ্বারা অন্যান্য মসজিদকে পৃথক করা হয়েছে। এতে কবর যিয়ারত বিতর্কিত। কেউ কেউ এটাকে মুবাহ বলেছেন। আবার কেউ কেউ নিষিদ্ধ বলেছেন। অবশ্য নেককার আত্মীয়-স্বজন অথবা ব্যবসার উদ্দেশ্যে সফর মাকরূহ ছাড়াই জায়েয। সুতরাং আল্লামা ইরাকী এ বিষয়টিকে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন বরং ইমাম আহমদ (র)-এর বর্ণনায় এর বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে।
চতুর্থ মাসয়ালা দু'টি অবস্থার উপর বিদ্যমান। প্রথমতঃ মহিলাগণ স্বামী কিংবা অন্যান্য মুহরিম তথা পুত্র, ভাই, মামা, চাচা, ছাড়া সফর করতে পারবে কিনা? দ্বিতীয়তঃ তাদের সফরের সময়সীমা, কোথাও কোথাও একদিন একরাত বর্ণিত আছে। যদি সফরের আভিধানিক অর্থ গ্রহণ করা হয়, তাহলে একদিন এক রাতের কম সময়ের সফরও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মুসলিম শরীফের রিওয়ায়েতে একরাত, আবার অন্যান্য গ্রন্থে একদিন। ইমাম আবূ হানীফা (র) এবং ইমাম আবূ ইউসুফ (র) থেকে একটি এরূপ রিওয়ায়েত বর্ণিত আছে যে, মহিলাদের একদিনের জন্য মুহরিম ব্যতীত সফর করা নিষেধ। কিন্তু গ্রহণযোগ্য মত হলো এই যে, সবচেয়ে কম সময়ের সফরে মহিলাগণ স্বামী ও মুহরিম ব্যতীত সফর করতে পারবে।


বর্ণনাকারী: