মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
৪. নামায অধ্যায়
হাদীস নং: ৮৩
এক কাপড়ে নামায আদায় করা জায়েয
৮৩। হযরত জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি এক কাপড়ে নামাযে ইমামতি করেন অথচ তাঁর নিকট অতিরিক্ত কাপড় ছিল। আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সুন্নতের তালীম দেওয়ার জন্যই তিনি এটা করেছেন।
হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল ! এক কাপড়ে কি মানুষ নামায পড়তে পারে ? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমাদের প্রত্যেকের কি দু'টি কাপড় আছে ?
অপর রিওয়ায়েতে হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট এক কাপড়ে নামায আদায় করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। তখন হযরত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেনঃ তোমাদের সবার তো দু'টি কাপড় নেই।
হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল ! এক কাপড়ে কি মানুষ নামায পড়তে পারে ? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমাদের প্রত্যেকের কি দু'টি কাপড় আছে ?
অপর রিওয়ায়েতে হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট এক কাপড়ে নামায আদায় করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। তখন হযরত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেনঃ তোমাদের সবার তো দু'টি কাপড় নেই।
عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ «أَنَّهُ أَمَّهُمْ فِي قَمِيصٍ وَاحِدٍ، وَعِنْدَهُ فَضْلُ ثِيَابٍ، يُعَرِّفُنَا سُنَّةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
أَبُو قُرَّةَ , قَالَ: ذَكَرَ ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ رَجُلًا، قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، يُصَلِّي الرَّجُلُ فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ؟ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَوَلِكُلِّكُمْ ثَوْبَانِ
قَالَ أَبُو قُرَّةَ: فَسَمِعْتُ أَبَا حَنِيفَةَ يَذْكُرُ , عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ سَأَلَ النَّبِيَّ عَنِ الصّلَاةِ فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيْسَ كُلُّكُمْ يَجِدُ ثَوْبَيْنِ»
أَبُو قُرَّةَ , قَالَ: ذَكَرَ ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ رَجُلًا، قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، يُصَلِّي الرَّجُلُ فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ؟ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَوَلِكُلِّكُمْ ثَوْبَانِ
قَالَ أَبُو قُرَّةَ: فَسَمِعْتُ أَبَا حَنِيفَةَ يَذْكُرُ , عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ سَأَلَ النَّبِيَّ عَنِ الصّلَاةِ فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيْسَ كُلُّكُمْ يَجِدُ ثَوْبَيْنِ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
ইবনে আবী শায়বা (র) বর্ণনা করেন, হযরত আসমা বিনতে আবূ বকর (রা) বলেছেন, আমি আমার পিতাকে একটি কাপড়ে নামায পড়তে দেখেছি। আমি বললাম, আব্বাজান! আপনি একটি কাপড় দ্বারা নামায পড়েন অথচ আপনার অনেক কাপড় রয়েছে। তিনি বললেন হে স্নেহের মেয়ে ! হুযুর (সা) আমার পেছনে সর্বশেষ যে নামায আদায় করেন, তাতে একটি কাপড় তাঁর পরিধানে ছিল।
মুসান্নাফে আবদুর রাযযাকে বর্ণিত আছে, হযরত উবাই ইবনে কা'ব (রা) এবং হযরত ইবনে মাসউদ (রা)-এর মধ্যে এক কাপড়ে নামায আদায় করা সম্পর্কে মতানৈক্যের সৃষ্টি হয়। হযরত উবাই (রা) বলেন এক কাপড়ে নামায পড়ায় কোন দোষ নেই। কেননা হুযূর (সা) একটি কাপড়ে নামায আদায় করেছেন। হযরত ইবনে মাসউদ (রা) বলেন, এটা ঐ সময় প্রযোজ্য ছিল যখন মানুষের নিকট কাপড়ের প্রাচুর্য ছিল না। কিন্তু মানুষ যখন সচ্ছলতা লাভ করে, তখন নামায দু'কাপড়ে পড়তে হবে।
হযরত উমর (রা) মিম্বরের উপর দাঁড়িয়ে হযরত উবাই (রা)-এর মতের উপর ফয়সালা দান করেন। তবে ফযীলতের ব্যাপারে হযরত ইবনে মাসউদ (রা)-এর উক্তিও সঠিক। কিন্তু এক কাপড়ে নামায জায়েয হওয়ার ব্যাপারে কারো মতানৈক্য নেই। যদি উভয়ের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি হয়, তাহলে হযরত উমর (রা)-এর ফয়সালা অনুযায়ী হযরত উবাই (রা)-এর মত সঠিক বলে গণ্য করতে হবে।
মুসান্নাফে আবদুর রাযযাকে বর্ণিত আছে, হযরত উবাই ইবনে কা'ব (রা) এবং হযরত ইবনে মাসউদ (রা)-এর মধ্যে এক কাপড়ে নামায আদায় করা সম্পর্কে মতানৈক্যের সৃষ্টি হয়। হযরত উবাই (রা) বলেন এক কাপড়ে নামায পড়ায় কোন দোষ নেই। কেননা হুযূর (সা) একটি কাপড়ে নামায আদায় করেছেন। হযরত ইবনে মাসউদ (রা) বলেন, এটা ঐ সময় প্রযোজ্য ছিল যখন মানুষের নিকট কাপড়ের প্রাচুর্য ছিল না। কিন্তু মানুষ যখন সচ্ছলতা লাভ করে, তখন নামায দু'কাপড়ে পড়তে হবে।
হযরত উমর (রা) মিম্বরের উপর দাঁড়িয়ে হযরত উবাই (রা)-এর মতের উপর ফয়সালা দান করেন। তবে ফযীলতের ব্যাপারে হযরত ইবনে মাসউদ (রা)-এর উক্তিও সঠিক। কিন্তু এক কাপড়ে নামায জায়েয হওয়ার ব্যাপারে কারো মতানৈক্য নেই। যদি উভয়ের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি হয়, তাহলে হযরত উমর (রা)-এর ফয়সালা অনুযায়ী হযরত উবাই (রা)-এর মত সঠিক বলে গণ্য করতে হবে।
